ময়মনসিংহ ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আমন ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশংকা

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৯:১০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট নিন্মচাপের বৃষ্টিতে আমন ফসলের ব্যপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের আধাপাকা ক্ষেতের ধান হেলে পড়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিন দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও সোমবার দিনভর ভারী বর্ষনে একরে পর একর আমন ধানের ক্ষেত হেলে পড়েছে। এছাড়া শীতকালিন সবজি ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আশংকা দেখা দিয়েছে। এ বছর মঠবাড়িয়া উপকূলীয় অঞ্চলের আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন কৃষকরা। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় মাঠের আধাপাকা ধান নিয়ে কৃষকরা এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, এ বছর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও ৩৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ করা হয়েছে। মাঠের ধান কেবল সোনা রঙ ধরতে শুরু করেছে। মাঠভরা সোনালী ধানের ফলন আগামী ১৫দিনের মধ্যেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে জাওয়াদের কারণে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতে ধান ক্ষেত নেতিয়ে পড়ায় ব্যাপক ফসলহানীর আশংকায় কৃষকের মুখ এখন মলিন।
উপজেলার বেতমোড় রাজপাড়া গ্রামের কৃষক মো. হারুন জানান, এবছর তারা আমন ধানে বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান পচে চিটা হয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের মো.বশির হোসেন বলেন, এবার আমন ধানের তো বাম্পার ফলন ফলাইছিলাম। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে মাঠ লন্ডভন্ড এখন। আধাপাকা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। কোথাও নিচু মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত রোদ না উঠলে মাঠের আধাপাকা ধান পচে নষ্ট হবে।
জরিপেরচ গ্রামের আঃ কুদ্দুস হাওলাদার জানান, তার একর জমির আমন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সবজি ক্ষেতেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শওকাত হোসেন বলেন, হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় আমন ধানের কিছুটা ক্ষতির আশংঙ্কা রয়েছে। কি পরিমান ক্ষতি হবে তা নিরুপণ করতে দুই একদিন সময় লাগবে। এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা । দুই একদিনের মধ্যে আবহাওয়ার উন্নতি হলে, রোদ উঠলে ক্ষতির পরিমান কমবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আমন ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশংকা

আপলোড সময়: ০৯:১০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্ট নিন্মচাপের বৃষ্টিতে আমন ফসলের ব্যপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের আধাপাকা ক্ষেতের ধান হেলে পড়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিন দিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও সোমবার দিনভর ভারী বর্ষনে একরে পর একর আমন ধানের ক্ষেত হেলে পড়েছে। এছাড়া শীতকালিন সবজি ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আশংকা দেখা দিয়েছে। এ বছর মঠবাড়িয়া উপকূলীয় অঞ্চলের আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন কৃষকরা। বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় মাঠের আধাপাকা ধান নিয়ে কৃষকরা এখন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, এ বছর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও ৩৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ করা হয়েছে। মাঠের ধান কেবল সোনা রঙ ধরতে শুরু করেছে। মাঠভরা সোনালী ধানের ফলন আগামী ১৫দিনের মধ্যেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে জাওয়াদের কারণে বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতে ধান ক্ষেত নেতিয়ে পড়ায় ব্যাপক ফসলহানীর আশংকায় কৃষকের মুখ এখন মলিন।
উপজেলার বেতমোড় রাজপাড়া গ্রামের কৃষক মো. হারুন জানান, এবছর তারা আমন ধানে বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন। কিন্তু আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় ধান গাছগুলো হেলে পড়ে অর্ধেক ধান পচে চিটা হয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার বড়মাছুয়া গ্রামের মো.বশির হোসেন বলেন, এবার আমন ধানের তো বাম্পার ফলন ফলাইছিলাম। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে মাঠ লন্ডভন্ড এখন। আধাপাকা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। কোথাও নিচু মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত রোদ না উঠলে মাঠের আধাপাকা ধান পচে নষ্ট হবে।
জরিপেরচ গ্রামের আঃ কুদ্দুস হাওলাদার জানান, তার একর জমির আমন ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তাছাড়া সবজি ক্ষেতেরও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.শওকাত হোসেন বলেন, হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় আমন ধানের কিছুটা ক্ষতির আশংঙ্কা রয়েছে। কি পরিমান ক্ষতি হবে তা নিরুপণ করতে দুই একদিন সময় লাগবে। এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা । দুই একদিনের মধ্যে আবহাওয়ার উন্নতি হলে, রোদ উঠলে ক্ষতির পরিমান কমবে।