শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা (প্রক্সি) দেয়ার অপরাধে উপজেলার তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার ৬ ভূয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র-২ থেকে তাদের আটক করা হয়। ভূয়া পরীক্ষার্থীরা হলো-খেতাছিড়া গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে তোহা (১৮), বেতমোর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আরাফাত (১৭), তাফালবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ হোসেনের ছেলে সানাউল্লাহ (১৮), বাদশা মিয়ার ছেলে নাইম (১৮), সোনা মিয়ার ছেলে আবু তাহের (১৯) ও নলী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে হাসিব (১৭)।
জানা গেছে, উপজেলার তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার ১৭ জন শিক্ষার্থী মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র-২ এ পরীক্ষা দিতে অংশ নয়। এদের ১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৫ জন অন্যের বদলি পরীক্ষা দিচ্ছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি মুঠোফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর ও প্রবেশ পত্রের মিল না থাকায় ভুয়া ৬ পরীক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশে দেন। এসময় আরও ৬ মহিলা পরীক্ষার্থীসহ ৯ জন পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে পালিয় যায়।
পরীক্ষার হল সুপার দাউদখালী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, অন্যের হয়ে বদলী পরীক্ষা দিচ্ছেন এটা আমাদের জানা ছিল না। ধরা পরার পর ওই ৬ ভূয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাফালবাড়িয়া হাসানিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছ চিঠি দেয়া হবে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে ৬ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে হাতে নাতে আটক করা হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব বাদি হয়ে ভূয়া ৬ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত পরীক্ষার্থীদের শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।