সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই ষড়যন্ত্র করা হয়………ভালুকায় চীফহুইপ আওয়ামীলীগ অবৈধ ভাবে গনতন্ত্রকে হরন করেছে বাংলাদেশের মানুষ ভোট ও গনতন্ত্রের অধিকার চায়………….ড.আবদুল মঈন খান ত্রিশালে অ্যাড. জিয়াউল হক সবুজকে সম্বর্ধনা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি স্মরণে ফুটবল টুর্নামেন্ট ভালুকায় কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জন্মদিন পালিত ভালুকায় ডিবির হাতে ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী ভালুকায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ভালুকায় বাদীকে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামি ‘নিশ্চুপ’ পুলিশ নেত্রকোণায় বাংলাদেশ ক্বওমী ব্লাড ডোনার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দার্জিলিং কবিতা উৎসবে অংশগ্রহন করছেন—-আতিকুল ইসলাম জাকারিয়া

ভালুকায় কারখানার বর্জে হুমকির মুখে বোরো আবাদ দিশেহারা কৃষক 

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১, ৩.০৯ এএম
  • ১৮৮ বার পাঠিত

ষ্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরী হতে বিষাক্ত বর্জ মিশ্রিত কালো পানি নদী খাল বিলে মিশে একাকার হওয়ায় বোরো আবাদ ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন এলাকার কৃষকরা। উপজেলার ভালুকা, ভরাডোবা ও হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া ও কাশর এলাকার অসংখ্য ডাইং মিল থেকে দুর্গন্ধযুক্ত কালোপানি লাউতি খাল দিয়ে খীরু নদীতে নামায় মাছ ও জলজ প্রাণীর বিলুপ্তি ও নষ্ট হচ্ছে কৃষকের ক্ষেতের ফসল।

স্থানীয়রা জানায় নদীর কিনার সহ খাল বিলের ধানি জমির মাটি আলকাতরার মত কিচকিচে কালো হয়ে গেছে। এসব কালো পানির জমিতে নামলে কিছুক্ষনের মধ্যে হাত পা ও শরীরে চুলকানি শুরু হয়। এর ফলে নানা রকম চর্ম রোগের সৃষ্টি হয়। এসব কারনে সময়মত জমি চাষ ও ধান রোপন করার জন্য শ্রমিক পাওয়া যায়না।ভালুকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খীরু নদীর উভয় পাড়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার জুরে বিভিন্ন গ্রামে বোরো ধান সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে নদী হতে বহু বছর যাবৎ দমকলের সাহায্যে পানি সেচ দিয়ে প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব এলাকার কৃষকদের অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে খীরু নদীতে বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরী হতে দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত কালো পানি নামায় ব্যবহারের অনোপযোগী হয়ে পরেছে। বাধ্য হয়ে ফসলের জমিতে নদীর বিষাক্ত পানি সেচ দিতে হয়। কিন্তু তাতে ধানের গোছা ভাল হলেও থোর বের হওয়ার পর ধান চিটা হয়ে যায়। অপরদিকে দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ পানি খেয়ে প্রায়ই হাঁস, গরু ছাগল মারা যায়। হবিরবাড়ী এলাকার বিলাইজুড়ি ও লাউতি খাল দিয়ে বিভিন্ন ডাউং ফ্যাক্টরী হতে দুর্গন্ধযুক্ত কালো রংয়ের গরম পানি দিন রাত প্রবাহিত হয়। খালের আশ পাশের বাড়ী ঘরের মানুষ দুর্গন্ধে অতিষ্ট। এসব এলাকার শিশুরা নানা রকম পেটের পীড়া সহ প্রায়ই বিভিন্ন জটিল রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। অধিকাংশ ডাইং ফ্যাক্টরীতে ইটিপি থাকলেও সেগুলি সচল না রেখে অপরিশোধিত বর্জপানি সরাসরি কারখানার পাইপ দিয়ে খাল বিলে ছেড়ে পরিবেশ ধংস করছে। আর পরিবেশের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ নিজেদের কালো চশমার আড়ালে রাখায় ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ খাল বিল নদী নালা সহ সারা এলাকা নিজের মনে করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্য সচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল (সাংবাদিক) জানান “ হবিরবাড়ীর লাউতি, বিলাইজুড়ি, ভালুকা কাঠালীর বেতিয়া হাঙ্গুন সহ অসংখ্য সংযোগ খাল দিয়ে খীরু নদীতে বিভিন্ন ডাইং মিল হতে দূষিত বর্জ ফেলা হচ্ছে যেটিকে তিনি পরিবেশে নৈরাজ্য বলে উল্লেখ করেছেন, তার মতে পরিবেশ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এসব ডাইং ফ্যাক্টরী গুলি ইটিপি সচল না রেখে সরাসরি কারখানার বর্জ নদীতে ফেলে পরিবেশ ধ্বংস করে চলেছে।তিনি আরও জানান পরিবেশ রক্ষায় মিল ফ্যাক্টরীর দূষিত বর্জ পানি বন্ধের দাবীতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপার) উদ্যোগে একাধিকবার ভালুকায় মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন ও স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। মিল কারখানা হতে ইটিপির মাধ্যমে বর্জ পানি পরিশোধন করে নদীতে ফেললে যেমন কৃষিকাজে সেচ উপযোগী হবে তেমনি দেশীয় প্রজাতির মাছ গুলির বংশ বিস্তার সহ জীব বৈচিত্র রক্ষা পাবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি সচেতন মহলের দাবী মিল কারখানার বর্জপানি নদীখালে ফেলা বন্ধ হলে সবুজ শ্যামল ভালুকার পরিবেশে পুনরায় প্রাণ ফিরে আসবে। ক্ষেতের ফসলে কৃষকের গোলা আর দেশীয় মাছে ভরে উঠবে নদী নালা খাল বিল।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs