মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনঃ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই…………উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর এনজিও মালিককে মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মন্ত্রনালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বাস্তবায়ন হয়নি ইউএনও’র বদলির আদেশ ত্রিশালে নৌকার কান্ডারী হতে চন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ত্রিশালে মঠবাড়ী ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত ১৫ মার্চ: কৃষকের রক্ত ঝরার দিন ত্রিশালে বইমেলা কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ বসন্তকে নিয়ে এবার কবি ও ঔপন্যাসিক এরশাদ আহমেদ এর নতুন গল্প “বাউলে বসন্ত” সাহিত্যপ্রেমীদের পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ভালুকায় কিশোরী শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ভালুকায় আবারো বনে আগুণ ও গজারী গাছ কর্তন: আটক ১

গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে দুই মাসেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১, ৯.৪০ এএম
  • ৪৪৭ বার পাঠিত

টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ গাজীপুর শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলেও দুই মাসেও মূল আসামি নাঈম ও শান্ত ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তবে এ ঘটনায় ধর্ষণের সহযোগী দুই নং আসামি উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের মইজউদ্দিনের ছেলে রিফাত (২০) কে গত (২৪ অক্টোবর) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় প্রধান আসামি ফরিদপুর গ্রামের তাইজ উদ্দিনের ছেলে শান্ত (২১), ও একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে নাঈম (১৯)। এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

এবিষয়ে ধর্ষণের শিকার নারীর সাথে কথা বলতে গেলে তার পরিবার জানান, ঘটনার পর স্বামী সোহেলকে তালাক দিয়ে মাটির ট্রাক চালক অারিফ নামে ছেলের কাছে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সে বর্তমানে তার স্বামীর বাড়িতে আছে ‌।

ভুক্তভোগির মা জানান, পূর্বের স্বামী সোহেল মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলছিল। ঘটনার দিন সোহেল সুকৌশলে মোবাইল ফোনে তার স্ত্রীকে অর্থাত অামার মেয়েকে মুঠোফোনে ডেকে নয়নপুরে নিয়ে যায়।

পরে অামার মেয়েকে একটি স্কুলের সামনে রেখে সোহেল পালিয়ে যায়। অামাদের ধারণা তার স্বামী সোহেল এ ঘটনায় সম্পৃক্ত রয়েছে।

এদিকে ঘটনার প্রথক্ষ্য সাক্ষী শামসুল বলেন, ঘটনার দিন মেয়েটিকে নাঈম ও শান্ত মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে এসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়,পরে ওই নারীর চিৎকার শোনে শামসু ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে অভিযোক্তরা পালিয়ে যায়,পরে শামসু, তহু, ও অাফির মাষ্টরের সহযোগিতায় শ্রীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী।

বর্তমানে মামলাটি পরিচালনা করার জন্য খোলা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ওই নারীর স্বাক্ষরের মাধ্যমে রানা নামের এক জনকে দায়ীত্ব দিয়েছে ভুক্তভোগির পরিবার।

তবে ঘটনায় অভিযোক্ত পরিবারের দাবী মামলাটি ওই নারীর পরিবার কয়েক লক্ষ টাকার বিনিময়ে রানা নামের ঢাকার এক লোকের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

রিফাতের মা রেহেনা জানান, মামলার বিষয়ে রানা নামের এক লোক অামাদেরকে ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মিমাংসা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয়বীতি দেখাচ্ছে।

তিনি অারও বলেন, মামলা কিনে নেওয়া রানা নামের লোকটি প্রায় সময় মিমাংসার হুমকী ধামকী দিচ্ছে। বর্তমানে মামলা অাদালতে রয়েছে,অাদালত মামলাটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সমাধান দিবে বলে অামি মনে করি। অামার ছেলে রিফাত নিদোষী, অামার ছেলেকে ফাসিয়েছে। এবং মামলাটির সঠিক নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই।

শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইমতিয়াজ মাহফুজ ভূইয়া জানান, মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি আসামিদের কে শীঘ্রই গ্রেপ্তার করা হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের (২৭ আগস্ট) শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর এলাকার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর মডেল থানায় নির্যাতিতা নারী (মামলা-৪৫) দায়ের করেন। ওই নারী স্থানীয় হংকং সাংহাই মানজালা টেক্সটাইলে হেলপার পদে কাজ করতো।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs