ময়মনসিংহ ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রভাবশালী চাচার বিরুদ্ধে সু-বিচার চেয়ে থানা ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কৃষক পরিবার

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১১:৪৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে

টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ সু-বিচার চেয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন।

স্থানীয় ভাবে একাধিক বার বরমী ইউনিয়নের চেয়াম্যানের কাছে শালিস বৈঠক হলেও এর কোনো মীমাংসা হয়নি। স্থানীয়সহ প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন বিচার পায়নি ভুক্তভোগি ওই কৃষক পরিবারটি।

অসহায় হয়ে প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছেন ভুক্তভোগি কৃষক জালালের পরিবার। সু-বিচার পাওয়ার জন্য গত ১ নভেম্বের ফের শ্রীপুর মডেল থানায় ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন।

এর আগে কয়েকটি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠেছিল প্রভাবশালী চাচা সুরুজ আলীর বিরুদ্ধে। বাড়ির উঠানের সামনে থেকে চলাচলে এক মাত্র রাস্তায় বাঁশের লম্বা বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় অবরুদ্ধ অবস্থায় কষ্টে দিন যাপন করছেন ওই সবপরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের নতুন বাজার এলাকায়।

উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোক্তরা হলেন,উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কাশিজুলি গ্রামের মৃত হরযত আলীর ছেলে সুরুজ আলী (৬০), সালাম মিয়া (৫৫) সুলতান মিয়া (৪৮)। সালাম মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৫)।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন এর দীর্ঘদিন ধরে বাদীর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা শালিস বৈঠক হলেও এর কোনো মীমাংসা হয়নি। কিছুদিন আগে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হলে সুরুজ আলী বাঁশের বেড়া দিয়ে লোকজনের যাতায়াতে একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন ওই পরিবারের লোকজন। এবং জালাল মিয়া দুই হাজার পাঁচ শত ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চা খাবারের অভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হইয়াছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১অক্টোবর) সরেজমিনে গেলে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তাা বন্ধ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ সময় জালাল বলেন, আমরা দুই ভাই পরিবারের লোকজন নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করি। আমরা সবায় পেশায় কৃষক । আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার চাচারা আমাদের বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা করছে। জালাল উদ্দিন আরো বলেন,পৈত্রিক সুত্রে আমি জমির মালিক হইয়া দীর্ঘদিন হইতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে রয়েছি।আমার চাচারা অন্যায় ভাবে আমাকে জোর পূর্বক জবর দখল করিয়া নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করিতেছে। এবিষয়ে ৬নং বরমী ইউনিয়ন পরিষধ গ্রাম আদালতে মোকাদ্দমা নং ৪৬৭/১৮ দায়ের করি।উক্ত মোকাদ্দার প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইউ,পি-সদস্য জাকির হোসেন মাষ্টার এবং অন্যান্য মেম্বারসহ গন্যমান্য লোকজনদের সমম্বয়ে একাধিকবার শালিস দরবার হইলেও বিবাদীগন শালিসিয়ানদের রায় মানে নাই বরং পূর্বের ন্যায় হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এর আগে অনেক বার বার শালিস দরবার হইলেও বিবাদীগন শালিসিয়ানদের রায় মানেননি,এদের চাপে আমার পিতা হনিফ মিয়া ব্রেন স্টোক করে ইন্তেকাল করেন। এর পরও বিবাদীগন থেমে নেই। আমাদে কে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি এর সু-চিার চেয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার সু-ফল পাচ্ছিনা। এখন আর আমার মরন ছাড়া জাওয়ার জায়না নেই।

আমার এক চাচা সুরুজ আলীর এক ছেলে এবং এক মেয়ে পুলিশের পদে চাকুরী করে,তাদের ভয় দেখিয়ে চাচা সুরুজ আলী আমাদের কে মামলা হামলার হুমকী দিয়ে থাকে। যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। আমার একমাত্র অবলম্বন ব্রয়লার মুরগীর খামার যেখানে ১৫ শত মুরগীর বাচ্চা রয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারনে আমি খাবার আনতে পারছিনা। খাবারের অভাবে মুরগীর বাচ্চা অর্ধেক মারা গিয়াছে। এভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকলে আমার পরিবার সহ আমাদের না খেয়ে পথে বসতে হবে। এর সঠিক বিচার চাই আমি।

এই বিষয়ে সুরজ আলী বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। রাস্তাা বন্ধের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার হলুদ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হলুদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা রাস্তা আমি বন্ধ করে দিয়েছি । এ নিয়ে তারা আমাদের সঙ্গে প্রায় সময়েই ঝগড়া করে আবার আমাদের জায়গা দিয়ে অটোরিকশা আনা-নেওয়া করে। আমাদের নিজেদের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়েছি তাদের জায়গায় তো আর বেড়া দেইনি।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তরিকুল ইসলাম ও শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

প্রভাবশালী চাচার বিরুদ্ধে সু-বিচার চেয়ে থানা ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কৃষক পরিবার

আপলোড সময়: ১১:৪৯:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ সু-বিচার চেয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন।

স্থানীয় ভাবে একাধিক বার বরমী ইউনিয়নের চেয়াম্যানের কাছে শালিস বৈঠক হলেও এর কোনো মীমাংসা হয়নি। স্থানীয়সহ প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোন বিচার পায়নি ভুক্তভোগি ওই কৃষক পরিবারটি।

অসহায় হয়ে প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছেন ভুক্তভোগি কৃষক জালালের পরিবার। সু-বিচার পাওয়ার জন্য গত ১ নভেম্বের ফের শ্রীপুর মডেল থানায় ও শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন।

এর আগে কয়েকটি পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠেছিল প্রভাবশালী চাচা সুরুজ আলীর বিরুদ্ধে। বাড়ির উঠানের সামনে থেকে চলাচলে এক মাত্র রাস্তায় বাঁশের লম্বা বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় অবরুদ্ধ অবস্থায় কষ্টে দিন যাপন করছেন ওই সবপরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের নতুন বাজার এলাকায়।

উপজেলার বরমী ইউনিয়ন কাশিজুলী গ্রামের মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় ও শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোক্তরা হলেন,উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কাশিজুলি গ্রামের মৃত হরযত আলীর ছেলে সুরুজ আলী (৬০), সালাম মিয়া (৫৫) সুলতান মিয়া (৪৮)। সালাম মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৫)।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মৃত আবু হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন এর দীর্ঘদিন ধরে বাদীর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা শালিস বৈঠক হলেও এর কোনো মীমাংসা হয়নি। কিছুদিন আগে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হলে সুরুজ আলী বাঁশের বেড়া দিয়ে লোকজনের যাতায়াতে একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন ওই পরিবারের লোকজন। এবং জালাল মিয়া দুই হাজার পাঁচ শত ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চা খাবারের অভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হইয়াছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১অক্টোবর) সরেজমিনে গেলে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তাা বন্ধ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ সময় জালাল বলেন, আমরা দুই ভাই পরিবারের লোকজন নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করি। আমরা সবায় পেশায় কৃষক । আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমার চাচারা আমাদের বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পায়তারা করছে। জালাল উদ্দিন আরো বলেন,পৈত্রিক সুত্রে আমি জমির মালিক হইয়া দীর্ঘদিন হইতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে রয়েছি।আমার চাচারা অন্যায় ভাবে আমাকে জোর পূর্বক জবর দখল করিয়া নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করিতেছে। এবিষয়ে ৬নং বরমী ইউনিয়ন পরিষধ গ্রাম আদালতে মোকাদ্দমা নং ৪৬৭/১৮ দায়ের করি।উক্ত মোকাদ্দার প্রেক্ষিতে স্থানীয় ইউ,পি-সদস্য জাকির হোসেন মাষ্টার এবং অন্যান্য মেম্বারসহ গন্যমান্য লোকজনদের সমম্বয়ে একাধিকবার শালিস দরবার হইলেও বিবাদীগন শালিসিয়ানদের রায় মানে নাই বরং পূর্বের ন্যায় হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এর আগে অনেক বার বার শালিস দরবার হইলেও বিবাদীগন শালিসিয়ানদের রায় মানেননি,এদের চাপে আমার পিতা হনিফ মিয়া ব্রেন স্টোক করে ইন্তেকাল করেন। এর পরও বিবাদীগন থেমে নেই। আমাদে কে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি এর সু-চিার চেয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার সু-ফল পাচ্ছিনা। এখন আর আমার মরন ছাড়া জাওয়ার জায়না নেই।

আমার এক চাচা সুরুজ আলীর এক ছেলে এবং এক মেয়ে পুলিশের পদে চাকুরী করে,তাদের ভয় দেখিয়ে চাচা সুরুজ আলী আমাদের কে মামলা হামলার হুমকী দিয়ে থাকে। যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। আমার একমাত্র অবলম্বন ব্রয়লার মুরগীর খামার যেখানে ১৫ শত মুরগীর বাচ্চা রয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারনে আমি খাবার আনতে পারছিনা। খাবারের অভাবে মুরগীর বাচ্চা অর্ধেক মারা গিয়াছে। এভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকলে আমার পরিবার সহ আমাদের না খেয়ে পথে বসতে হবে। এর সঠিক বিচার চাই আমি।

এই বিষয়ে সুরজ আলী বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে কোন ঝামেলা নেই। রাস্তাা বন্ধের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার হলুদ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হলুদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা রাস্তা আমি বন্ধ করে দিয়েছি । এ নিয়ে তারা আমাদের সঙ্গে প্রায় সময়েই ঝগড়া করে আবার আমাদের জায়গা দিয়ে অটোরিকশা আনা-নেওয়া করে। আমাদের নিজেদের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়েছি তাদের জায়গায় তো আর বেড়া দেইনি।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ তরিকুল ইসলাম ও শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।