টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিশোরী শিক্ষার্থীকে (১৭) কে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়েছে কিশোরী। উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর বাড়িতে সোমবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে পরিবারের সকলের সাথে ঘরের ভেতরে ওই কিশোরী টেলিভিশন দেখছিল। হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী হয়দেবপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে বাবুল মিয়া (৩০) দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ বেশ কয়েকজন মানুষ নিয়ে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে।
ঘরের ভেতরে গিয়ে কিশোরীর বাবা নিয়ামত আলীর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাবুল ও বাবুলে ভাবি তাছলিমা। এসময় নিয়ামত ও তার বাড়ির লোকজনের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসীরা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে সিএনজিসহ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। কিন্তু অভিযুক্ত বাবুল ও তার সাথে থাকা লোকজন সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাবুলের পরিবারের দাবি ওই শিক্ষার্থীর সাথে দীর্ঘ চার বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিশোরী সম্পর্কে বাবুলের ভাবির ছোট বোন (বেয়াইন) আত্মীয় হয়। তাই বাবুলের ভাবী কিশোরীর বড় বোন তাসলিমা সহ বিয়ে করানোর জন্য উঠিয়ে আনতে যান। অস্ত্রশস্ত্রের কথা অস্বীকার করেন বাবুল ও তার ভাবি।
ওই শিক্ষার্থী জানান, বাবুলের সাথে কোন ধরনের প্রেমের সম্পর্ক নেই। সে আমাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো। গত দুই বছর পূর্বে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বাবুলে বিয়ের প্রস্তাবে আমি এবং আমার পরিবারের কেউ রাজি হয়নি। গত সোমবার জোরপূর্বক আমাকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীরা আমাকে উদ্ধার করেন।
কাওরাইদ ইউপি সদস্য আকবর আলী জানান, এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত বাবুল উপস্থিত না থাকার কারনে মীমাংসা হয়নি,পরে কিশোরীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
শ্রীপুর থানার এস.আই সালাউদ্দিন রাসেল মুঠোফোনে জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার (৩নভেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে,ঘটনার তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।