ময়মনসিংহ ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় ক্লিনিকে নবজাতক পরিবর্তনের অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৩:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ক্লিনিকে সিরারিয়ান অপারেশনের পর নবজাতক পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে পৌরসদরে অবস্থিত মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে। এ ঘটনায় হাসপাতালের ভেতর রোগীর স্বজনদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়।

রোগীর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার বিরুনীয়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী শাবনুরের প্রসব ব্যাথা শুরু হলে ভালুকা পৌরসদরে অবস্থিত ভালুকা সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার রোকিয়া বেগমের স্বামী আব্দুর রাľাকের মালিকানাধিন মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সকাল সাড়ে ৯ টায় ডাক্তার রেকেয়া বেগম শাবনুরের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। অপারেশনে ওই প্রসুতির কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিছুক্ষন পর সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সুজন মিয়ার স্ত্রী ইসরাত জাহান মুন্নিরও সিজারিয়ান অপারেশন হওয়ার কথা। কিন্তু ক্লিনিকের নার্স শিল্পি আক্তার রহস্যজনক কারণে সদ্য অপারেশনে শাবনুরের ভূমিষ্ট হওয়া কন্যা সন্তানটি মুন্নির কুলে তুলে দেন। এ নিয়ে ক্লিনিকে তোলপাড় শুরু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রকৃত মায়ের কুলে কন্যা সন্তানটি ফেরত দিয়ে উভয় রোগীর স্বজনদের বিশেষ অনুরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মুন্নির বাবা মজিবর রহমান জানান, আল্ট্রাতে তার মেয়ের ছেলে সন্তান হওয়ার কথা কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুক্ষণ আগে অপারেশন হওয়া অন্য একজন প্রসূতির সদ্য ভূমিষ্ট কন্যা সন্তান তার মেয়ের কুলে তুলে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়তো বিশেষ সুবিধা নিয়ে এ ধরণের বেআইনী কাজ করে থাকতে পারেন। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে আমরা আইনের আশ্রয়ে যাবো।

বিরুনীয়া গ্রামের প্রসূতি শাবনুরের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনবারের আল্ট্রাতে তাদের কন্যা সন্তান হওয়ার কথা এবং সিজারিয়ান অপারেশনে কন্যা সন্তানই হয়েছে। তবে কি কারণে তাদের কন্যা সন্তানটি আরেকজন প্রসুতির কুলে দেয়া হলো তার তাদের জানা নেই।

স্থানীয় লোকজন জানান, ডাক্তার রোকেয়া বেগম ভালুকা সরকারী হাসপাতালের একজন ডাক্তার। তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করে আসছিলেন। তিন্তু সম্প্রতি তিনি নিজে তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাকের তত্বাবধানে পৌরএলাকায় মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক খুলে নিজেই এখানে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সিজারিয়ান অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরণের অপারেশন করে থাকেন। তিনি হাসপাতাল করার পর থেকে সরকারী হাসপাতালে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকার পরও কোন সিজারিয়ান অপারেশন হয়না। এ ব্যাপারে হাসপাতালের মালিক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ভালুকায় ক্লিনিকে নবজাতক পরিবর্তনের অভিযোগ

আপলোড সময়: ০৩:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি ক্লিনিকে সিরারিয়ান অপারেশনের পর নবজাতক পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে পৌরসদরে অবস্থিত মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে। এ ঘটনায় হাসপাতালের ভেতর রোগীর স্বজনদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়।

রোগীর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে উপজেলার বিরুনীয়া গ্রামের আবু রায়হানের স্ত্রী শাবনুরের প্রসব ব্যাথা শুরু হলে ভালুকা পৌরসদরে অবস্থিত ভালুকা সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার রোকিয়া বেগমের স্বামী আব্দুর রাľাকের মালিকানাধিন মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সকাল সাড়ে ৯ টায় ডাক্তার রেকেয়া বেগম শাবনুরের সিজারিয়ান অপারেশন করেন। অপারেশনে ওই প্রসুতির কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিছুক্ষন পর সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সুজন মিয়ার স্ত্রী ইসরাত জাহান মুন্নিরও সিজারিয়ান অপারেশন হওয়ার কথা। কিন্তু ক্লিনিকের নার্স শিল্পি আক্তার রহস্যজনক কারণে সদ্য অপারেশনে শাবনুরের ভূমিষ্ট হওয়া কন্যা সন্তানটি মুন্নির কুলে তুলে দেন। এ নিয়ে ক্লিনিকে তোলপাড় শুরু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রকৃত মায়ের কুলে কন্যা সন্তানটি ফেরত দিয়ে উভয় রোগীর স্বজনদের বিশেষ অনুরোধে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মুন্নির বাবা মজিবর রহমান জানান, আল্ট্রাতে তার মেয়ের ছেলে সন্তান হওয়ার কথা কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুক্ষণ আগে অপারেশন হওয়া অন্য একজন প্রসূতির সদ্য ভূমিষ্ট কন্যা সন্তান তার মেয়ের কুলে তুলে দেন। তিনি অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়তো বিশেষ সুবিধা নিয়ে এ ধরণের বেআইনী কাজ করে থাকতে পারেন। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে আমরা আইনের আশ্রয়ে যাবো।

বিরুনীয়া গ্রামের প্রসূতি শাবনুরের ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনবারের আল্ট্রাতে তাদের কন্যা সন্তান হওয়ার কথা এবং সিজারিয়ান অপারেশনে কন্যা সন্তানই হয়েছে। তবে কি কারণে তাদের কন্যা সন্তানটি আরেকজন প্রসুতির কুলে দেয়া হলো তার তাদের জানা নেই।

স্থানীয় লোকজন জানান, ডাক্তার রোকেয়া বেগম ভালুকা সরকারী হাসপাতালের একজন ডাক্তার। তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন করে আসছিলেন। তিন্তু সম্প্রতি তিনি নিজে তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাকের তত্বাবধানে পৌরএলাকায় মোহাম্মদীয়া মডেল হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক খুলে নিজেই এখানে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সিজারিয়ান অপারেশনসহ বিভিন্ন ধরণের অপারেশন করে থাকেন। তিনি হাসপাতাল করার পর থেকে সরকারী হাসপাতালে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকার পরও কোন সিজারিয়ান অপারেশন হয়না। এ ব্যাপারে হাসপাতালের মালিক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।