ময়মনসিংহ ১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের চেক জালিয়াতি করে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ‘ডাক দিয়ে যাই’ এনজিও‘র কর্মকর্তারা চেক জালিয়াতি করে খলিলুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হয়রানী থেকে রেহাই পেতে ও ঋণ গ্রহণের অনুকূলে জমাকৃত স্বাক্ষরিত সাদা চেক ফেরৎ পাওয়ার দাবীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। সে পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকার ইট-বালু ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডাকদিয়ে যাই এনজিওর তিনি একজন নিয়মিত গ্রাহক। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিনś অংকে ৬ টি ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের অনুকূলে এনজিও‘র শর্তানুযায়ী তার স্বাক্ষরিত সাদা চেক ১২ টি ও জামানতকারীর ৬ টি চেক জমা দেন। দীর্ঘ দিনের লেনদেনের সম্পর্কে ডাকদিয়ে যাই’র মঠবাড়িয়ার তৎকালীন ম্যানেজার নাজমুল এর ভাগিś সাদিয়ার সাথে তার ছেলে নাসির উদ্দিনের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়। কিছু দিন পর তার পুত্রবধূ জনৈক জাহিদের পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পিরোজপুর একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করে। পরে রাত্রি যাপনের নগś ছবি তার ছেলে নাসির উদ্দিনের ইমুতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়রের মধ্যস্থতায় মিমাংসা না হলে নাসির উদ্দিন চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তার স্ত্রী সাদিয়াকে রেজিট্রি তালাক দেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি করার জন্য সাবেক ম্যানেজার নাজমুল হোসেন ডাক দিয়ে যাই এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার শাহ আলম, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জলিল, শাখা হিসাবরক্ষ আউয়াল এর নিকট থেকে তার (খলিলুর রহমান) ঋণ গ্রহণের অনুকূলে জমাকৃত ওই স্বাক্ষরিত একটি সাদা চেক নিয়ে নাজমুলের বোন রেকসোনা এমদাদ এর নাম বসিয়ে ব্যাংক ডিজঅনার করিয়া ১০ লাখ টাকার একটি মামলা করে। এছাড়া বাকি চেকগুলো ডিজঅনার করিয়া তাকে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। নাজমুল বর্তমানে রিক এনজিওতে কর্মরত রয়েছেন।
এব্যপারে অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন বলেন, মামলা দেয়ার ওই চেকটি এনজিওর নয়। খলিলুর রহমান চেকটি আমার বোন রেকসোনা এমদাদ কে দিয়ে টাকা নিয়েছিল।
ডাক দিয়ে যাই এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার শাহ আলম এর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেলেও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জলীল বলেন, আমাদের নামে যেহেতু মামলা হয়েছে। মামলায় যা হবার হবে। আমার কোন মন্তব্য নেই।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মঠবাড়িয়ায় এনজিও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের চেক জালিয়াতি করে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

আপলোড সময়: ১২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ‘ডাক দিয়ে যাই’ এনজিও‘র কর্মকর্তারা চেক জালিয়াতি করে খলিলুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হয়রানী থেকে রেহাই পেতে ও ঋণ গ্রহণের অনুকূলে জমাকৃত স্বাক্ষরিত সাদা চেক ফেরৎ পাওয়ার দাবীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। সে পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর এলাকার ইট-বালু ব্যবসায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ডাকদিয়ে যাই এনজিওর তিনি একজন নিয়মিত গ্রাহক। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিনś অংকে ৬ টি ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের অনুকূলে এনজিও‘র শর্তানুযায়ী তার স্বাক্ষরিত সাদা চেক ১২ টি ও জামানতকারীর ৬ টি চেক জমা দেন। দীর্ঘ দিনের লেনদেনের সম্পর্কে ডাকদিয়ে যাই’র মঠবাড়িয়ার তৎকালীন ম্যানেজার নাজমুল এর ভাগিś সাদিয়ার সাথে তার ছেলে নাসির উদ্দিনের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয়। কিছু দিন পর তার পুত্রবধূ জনৈক জাহিদের পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পিরোজপুর একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রি যাপন করে। পরে রাত্রি যাপনের নগś ছবি তার ছেলে নাসির উদ্দিনের ইমুতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি মঠবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়রের মধ্যস্থতায় মিমাংসা না হলে নাসির উদ্দিন চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তার স্ত্রী সাদিয়াকে রেজিট্রি তালাক দেয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি করার জন্য সাবেক ম্যানেজার নাজমুল হোসেন ডাক দিয়ে যাই এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার শাহ আলম, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জলিল, শাখা হিসাবরক্ষ আউয়াল এর নিকট থেকে তার (খলিলুর রহমান) ঋণ গ্রহণের অনুকূলে জমাকৃত ওই স্বাক্ষরিত একটি সাদা চেক নিয়ে নাজমুলের বোন রেকসোনা এমদাদ এর নাম বসিয়ে ব্যাংক ডিজঅনার করিয়া ১০ লাখ টাকার একটি মামলা করে। এছাড়া বাকি চেকগুলো ডিজঅনার করিয়া তাকে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। নাজমুল বর্তমানে রিক এনজিওতে কর্মরত রয়েছেন।
এব্যপারে অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন বলেন, মামলা দেয়ার ওই চেকটি এনজিওর নয়। খলিলুর রহমান চেকটি আমার বোন রেকসোনা এমদাদ কে দিয়ে টাকা নিয়েছিল।
ডাক দিয়ে যাই এনজিওর এরিয়া ম্যানেজার শাহ আলম এর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেলেও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জলীল বলেন, আমাদের নামে যেহেতু মামলা হয়েছে। মামলায় যা হবার হবে। আমার কোন মন্তব্য নেই।