ময়মনসিংহ ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় জল-কাঁদায় রাস্তার বেহাল দশা এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৯:৪৯:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
  • / ২৪৮ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের একটি রাস্তা জল কাদায় বছরের পর বছর ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। গ্রামীন গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে বর্ষা মৌসুমে হাঁটু সমান কাদা পানি হওয়ায় স্থানীয় ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় দশ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। প্রায় ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটিতে উনśয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বহুবার ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বড়হারজী বাজারের জামে মসজিদের পাশ দিয়ে ধলাই হাওলাদার বাড়ির সামনে দিয়ে চিরুখালী বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে জল কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় দশহাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী এবং জরুরি রোগীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে প্রসূতি রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে কৃষকদের কষ্টের সীমা থাকে না।
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী মিম আক্তার জানায়, রাস্তায় কাঁদা থাকায় স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না।
অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রেদওয়ান রাকিব জানান, বৃষ্টির সময় প্রতিদিনই জামাকাপড় কাদা পানিতে নষ্ট হয়। কলেজে যেতে হলে সঙ্গে আলাদা পোশাক রাখতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তাটির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কষ্ট ভোগ করছি। বর্ষার দিনে ছেলে-মেয়েদের নৌকা করে স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই এই রাস্তায় রিক্সা ভ্যান ও মোটর সাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা স্থানীয় এমপি সাহেবের কাছে বহু বার বলা হয়েছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার একাধিক বার মাপ ঝোপ নিয়েছে। হবে হবে বলেও রাস্তাটি পাকা করণ হচ্ছে না। দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বর্তমান পেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া সারাদেশের ন্যায় মঠবাড়িয়াতে অনেক উনśয়ন হয়েছে। বর্তমানেও বিভিন্ন এলাকায় উনśয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আশাকরি এ রাস্তাটির কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মঠবাড়িয়ায় জল-কাঁদায় রাস্তার বেহাল দশা এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ

আপলোড সময়: ০৯:৪৯:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের একটি রাস্তা জল কাদায় বছরের পর বছর ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। গ্রামীন গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে বর্ষা মৌসুমে হাঁটু সমান কাদা পানি হওয়ায় স্থানীয় ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় দশ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। প্রায় ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটিতে উনśয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বহুবার ধর্ণা দিয়েও কোনো ফল হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বড়হারজী বাজারের জামে মসজিদের পাশ দিয়ে ধলাই হাওলাদার বাড়ির সামনে দিয়ে চিরুখালী বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে জল কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ প্রায় দশহাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী এবং জরুরি রোগীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে প্রসূতি রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে কৃষকদের কষ্টের সীমা থাকে না।
স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী মিম আক্তার জানায়, রাস্তায় কাঁদা থাকায় স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না।
অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রেদওয়ান রাকিব জানান, বৃষ্টির সময় প্রতিদিনই জামাকাপড় কাদা পানিতে নষ্ট হয়। কলেজে যেতে হলে সঙ্গে আলাদা পোশাক রাখতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তাটির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কষ্ট ভোগ করছি। বর্ষার দিনে ছেলে-মেয়েদের নৌকা করে স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই এই রাস্তায় রিক্সা ভ্যান ও মোটর সাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা স্থানীয় এমপি সাহেবের কাছে বহু বার বলা হয়েছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার একাধিক বার মাপ ঝোপ নিয়েছে। হবে হবে বলেও রাস্তাটি পাকা করণ হচ্ছে না। দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বর্তমান পেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া সারাদেশের ন্যায় মঠবাড়িয়াতে অনেক উনśয়ন হয়েছে। বর্তমানেও বিভিন্ন এলাকায় উনśয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আশাকরি এ রাস্তাটির কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।