ময়মনসিংহ ০৩:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অমলিন থাকুক এই হাসি: কিংবদন্তি শাজাহান খান

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১২:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩৬৫ বার পড়া হয়েছে

খলিলুর রহমান: শাজাহান খান। বীরমুক্তিযোদ্ধা। এক জীবন্ত কিংবদন্তি। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পরিবারের হৃদয়ের স্পন্দন। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠনের অবিসংবাদিত নেতা। যার মুখের হাসির দিকে তাকিয়ে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক তার ক্ষুধার যন্ত্রণা ভুলে যায়। তারা জ্বলন্ত আগুনে ঝাপিয়ে পড়ে, আগুন সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে পারে। যে মুখের দিকে তাকিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে হাজারো শ্রমিক। একজন শাজাহান খান একদিনে তৈরী হয়নি। শত শতাব্দী পড়ে একজন শাজাহান খানের জন্ম হয়, খেটে খাওয়া মেহনতী শ্রমিকের কন্ঠ হয়ে। তাই শাজাহান খান-ই বলতে পারেন মন্ত্রীত্বের জন্য আমি রাজনীতি করিনা। আমার শ্রমিক ভাইদের মুখের দিকে তাকিয়ে এক মিনিটের মধ্যে আমি মন্ত্রীত্ব ছাড়তে পারি। লক্ষ লক্ষ খেটে খাওয়া মেহনতী শ্রমিক শাজাহান খানের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। নিলোর্ভ নিরহংঙ্কারী শাজাহান খান, মেহনতী শ্রমিক সমাজের অভিভাবক ও তাদের মাথার তাজ, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড। মাদারীপুর জেলার কৃতি সন্তান, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান টানা ৬ বারের সফল সংসদ সদস্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সফল নৌ-পরিবহন মন্ত্রী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। পিতা এড. মৌলভী আচমত আলী খান ও মাতা তজন নেসা বেগমের কুল আলো করে ১৯৫২ সনের ১ জানুয়ারী শাজাহান খান পৃথিবীতে আসেন, শ্রমিক সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। পিতা এড. মৌলভী আচমত আলী খান ছিলেন একজন সফল রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী এবং জাতীয় সংসদ সদস্য। ২০১৬ সালে সরকার এড. মৌলভী আচমত আলী খানকে মরণোত্তর “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করেন। রাজনীতির মূল পাঠ পারিবাকি ঐতিহ্য থেকেই। জনাব খান পিতার আদর্শ বুকে ধারন করে রাজনীতি ও সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাজাহান খান ১৯৫৭ সালে মাদারীপুরের নুতন শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন। ১৯৬৮ সালে মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজ (বর্তমান মাদারীপুর সরকারি কলেজ) থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অধীনে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। শাজাহান খান, ১৯৬৪ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগদান করার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তিনি ১৯৬৬-৬৭ এবং ১৯৬৭-৬৮ সালে মাদারীপুর উপবিভাগের ছাত্রলীগের নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়া তিনি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শাজাহান খান সর্বপ্রথম ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে জনাব খান নৌপরিবহন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। নভেম্বর ২০১৩- তে, অন্তর্র্বতীকালীন মন্ত্রিসভায় তাকে নৌপরিবহন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি শুধুমাত্র নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট নারকীয় হত্যাকান্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন, সেই ৮১ সাল থেকে যে ক’জন এখনো শেখ হাসিনার পাশে আছেন, শাজাহান খান তাদের মধ্যে অন্যতম। শাজাহান এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার পাশে আছেন তাঁর নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে। ১/১১ থেকে শুরু করে অদ্যবদি আন্দোলন সংগ্রাম এবং যতবার সরকার পতনের হুমকি এসছে ততবারই শাজাহান খানকে আমরা রাজপথে দেখেছি। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড ও রাজপথের একজন অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে। ২০১৬ এ সরকার পতনের এক অলিক স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামে কিছু আবাল। শাজাহান খানকে নিয়ে শুরু হলো সমালোচনা, ইন্ধন যুগিয়েছেন নিজ দলের কিছু লোকও কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী চিনতে ভূল করেন নি। শেখ হাসিনার পাশে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নির্দেশে বরাবরই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শাজাহান খান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের ধারাবাহিকতার সুফল আজ দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উনśয়নের মহাসড়কে। শত সমালোচনা সয়েও মুখের মুচকি হাসিটাকে ধরে রেখেছেন শাজাহান খান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপেśর সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে, মেহনতী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের ভালো বাসায় যুগ যুগ বেঁচে থাকুন, জননেতা শাজাহান খান। ইতিহাস বলে, শাজাহান খানরা একবার-ই জন্মায়, একবার-ই মরে। আর ভীরু কাপুরুষরা মরে বার বার, হীন স্বার্থের কাছে। সব শেষে প্রার্থনা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে যুগ যুগ বেঁচে থাকুন শাজাহান খান। অমলিন থাকুক জীবন্ত কিংবদন্তি শাজাহান খানের এই হাসি। সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ূ ও সার্বিক সাফল্য কামনা সব সময়।

লেখক: খলিলুর রহমান,সাংবাদিক
সাধারণ সম্পাদক
শ্রমিক কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ
ভালুকা আঞ্চলিক শাখা,ময়মনসিংহ।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

অমলিন থাকুক এই হাসি: কিংবদন্তি শাজাহান খান

আপলোড সময়: ১২:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

খলিলুর রহমান: শাজাহান খান। বীরমুক্তিযোদ্ধা। এক জীবন্ত কিংবদন্তি। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পরিবারের হৃদয়ের স্পন্দন। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ব বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠনের অবিসংবাদিত নেতা। যার মুখের হাসির দিকে তাকিয়ে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক তার ক্ষুধার যন্ত্রণা ভুলে যায়। তারা জ্বলন্ত আগুনে ঝাপিয়ে পড়ে, আগুন সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে পারে। যে মুখের দিকে তাকিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারে হাজারো শ্রমিক। একজন শাজাহান খান একদিনে তৈরী হয়নি। শত শতাব্দী পড়ে একজন শাজাহান খানের জন্ম হয়, খেটে খাওয়া মেহনতী শ্রমিকের কন্ঠ হয়ে। তাই শাজাহান খান-ই বলতে পারেন মন্ত্রীত্বের জন্য আমি রাজনীতি করিনা। আমার শ্রমিক ভাইদের মুখের দিকে তাকিয়ে এক মিনিটের মধ্যে আমি মন্ত্রীত্ব ছাড়তে পারি। লক্ষ লক্ষ খেটে খাওয়া মেহনতী শ্রমিক শাজাহান খানের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। নিলোর্ভ নিরহংঙ্কারী শাজাহান খান, মেহনতী শ্রমিক সমাজের অভিভাবক ও তাদের মাথার তাজ, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড। মাদারীপুর জেলার কৃতি সন্তান, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান টানা ৬ বারের সফল সংসদ সদস্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সফল নৌ-পরিবহন মন্ত্রী। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। পিতা এড. মৌলভী আচমত আলী খান ও মাতা তজন নেসা বেগমের কুল আলো করে ১৯৫২ সনের ১ জানুয়ারী শাজাহান খান পৃথিবীতে আসেন, শ্রমিক সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। পিতা এড. মৌলভী আচমত আলী খান ছিলেন একজন সফল রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী এবং জাতীয় সংসদ সদস্য। ২০১৬ সালে সরকার এড. মৌলভী আচমত আলী খানকে মরণোত্তর “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করেন। রাজনীতির মূল পাঠ পারিবাকি ঐতিহ্য থেকেই। জনাব খান পিতার আদর্শ বুকে ধারন করে রাজনীতি ও সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। শাজাহান খান ১৯৫৭ সালে মাদারীপুরের নুতন শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৬ সালে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশ করেন। ১৯৬৮ সালে মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজ (বর্তমান মাদারীপুর সরকারি কলেজ) থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযের অধীনে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। শাজাহান খান, ১৯৬৪ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগদান করার মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ছাত্র রাজনীতিতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। তিনি ১৯৬৬-৬৭ এবং ১৯৬৭-৬৮ সালে মাদারীপুর উপবিভাগের ছাত্রলীগের নির্বাচিত সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়া তিনি নাজিমউদ্দিন কলেজের সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শাজাহান খান সর্বপ্রথম ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে জনাব খান নৌপরিবহন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। নভেম্বর ২০১৩- তে, অন্তর্র্বতীকালীন মন্ত্রিসভায় তাকে নৌপরিবহন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি শুধুমাত্র নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট নারকীয় হত্যাকান্ডের পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ জননেত্রী শেখ হাসিনা যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেন, সেই ৮১ সাল থেকে যে ক’জন এখনো শেখ হাসিনার পাশে আছেন, শাজাহান খান তাদের মধ্যে অন্যতম। শাজাহান এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার পাশে আছেন তাঁর নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে। ১/১১ থেকে শুরু করে অদ্যবদি আন্দোলন সংগ্রাম এবং যতবার সরকার পতনের হুমকি এসছে ততবারই শাজাহান খানকে আমরা রাজপথে দেখেছি। শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড ও রাজপথের একজন অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে। ২০১৬ এ সরকার পতনের এক অলিক স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামে কিছু আবাল। শাজাহান খানকে নিয়ে শুরু হলো সমালোচনা, ইন্ধন যুগিয়েছেন নিজ দলের কিছু লোকও কিন্তু শেখ হাসিনা তাঁর কর্মী চিনতে ভূল করেন নি। শেখ হাসিনার পাশে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার নির্দেশে বরাবরই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শাজাহান খান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের ধারাবাহিকতার সুফল আজ দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উনśয়নের মহাসড়কে। শত সমালোচনা সয়েও মুখের মুচকি হাসিটাকে ধরে রেখেছেন শাজাহান খান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপেśর সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে, মেহনতী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের ভালো বাসায় যুগ যুগ বেঁচে থাকুন, জননেতা শাজাহান খান। ইতিহাস বলে, শাজাহান খানরা একবার-ই জন্মায়, একবার-ই মরে। আর ভীরু কাপুরুষরা মরে বার বার, হীন স্বার্থের কাছে। সব শেষে প্রার্থনা শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে যুগ যুগ বেঁচে থাকুন শাজাহান খান। অমলিন থাকুক জীবন্ত কিংবদন্তি শাজাহান খানের এই হাসি। সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ূ ও সার্বিক সাফল্য কামনা সব সময়।

লেখক: খলিলুর রহমান,সাংবাদিক
সাধারণ সম্পাদক
শ্রমিক কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ
ভালুকা আঞ্চলিক শাখা,ময়মনসিংহ।