বিশেষ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ভালুকায় অভিযান চালিয়ে জবরদখলকৃত ৪০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় পাঁচ একর বনভূমি উদ্ধার করেছে স্থনীয় বন বিভাগ।ময়মনসিংহ বনবিভাগের ভালুকা রেঞ্জের হবিরবাড়ী বিট অফিস সূত্রে জানা যায়, জামিরদিয়া মৌজায় সিএস ৬৭নং দাগে গেজেট ভুক্ত সংরক্ষিত ও যৌথ জরিপকৃত বনভূমিতে আদালতের সাথে তথ্য গোপনের মাধ্যমে প্রতারণা করে সিএস ৬৭ নং খতিয়ান দেখিয়ে আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা আনে। পরে জনৈক বেলাল ফকিরের নেতৃত্বে ওই বনভূমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়েছিলো।পরে ভালুকা রেঞ্জের হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বাদি হয়ে স্থানীয় বেলাল ফকির, আরিফ স্পিনিং মিলস লিঃ এর এডমিন ম্যানেজার কবির উদ্দির বিপুলসহ মোট ৮জনকে আসামী করে মামলা (নংঃ ৫১/৪৫০) দায়ের করেন।পরে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা প্রসাশক ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নির্দেশনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারীর উপস্থিতিতে সহকারী বনসংরক্ষক ভালুকা জোন আবু ইউসুফ ও ভালুকা রেঞ্জ অফিসার মোঃ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিটের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সহযোগীতায় উপজেলার হবিরবাড়ী বিটের আওতাধীন জামিরদিয়া মৌজার ৬৭নং দাগে জবরদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধার করা হয়।বন বিভাগের হবিরবাড়ী বিট কর্মকর্তা মোঃ দেওয়ান আলী জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী বেলাল ফকিরের নেতৃত্বে দখল হওয়া ওই বনভূমিতে চূড়ান্ত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করেছিল।এ অবস্থায় আমাদের যৌথ অভিযানে তা চূড়ান্তভাবে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত বেলাল ফকির বনের জমি জবর দখল করে ঢাকার বিভিন্ন মালিকের কাছে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন বলেন, এজিসি স্পিনিং মিলস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল গাফফার চৌধুরী বাদি হয়ে আদালতে মামলা করে জামিরদিয়া মৌজায় বেশ কয়েকটি দাগে বনবিভাগের হস্তক্ষেপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, ওই সব নিষেধাজ্ঞাকৃত দাগগুলোর মধ্যে কোথাও সিএস ৬৭ নং দাগের কথা উল্লেখ নেই।স্থানীয় প্রশাসন ও আদালতের সাথে প্রতারনা করে ভূয়া চৌহদ্দি দিয়ে বনভূমি জবরদখলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আবদুল গাফফার চৌধুরীর স্থানীয় প্রভাবশালী ফকির। সকলের সহযোগীতায় আজ জবরদখলকৃত ৪০কোটি টাকা মূল্যের বনভূমি উদ্ধার করা হয়।উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারী জানায়, এডিএম কোর্টের রায় বাস্তবায়নে কোন ধরণের সহিংসতা যেন না ঘটে তার জন্য আমি উপস্থিত থেকে দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধার অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছি।