জমি সংক্রান্ত বিরোধে হামলা মাথায় আঘাতের ফলে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় সোলাইমান! প্রতিপক্ষের মামলায় নিরাপত্তাহীনতায় তার পরিবার
- আপলোড সময়: ০৯:৫৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২৮৮ বার পড়া হয়েছে
মোহাম্মদ সেলিম ত্রিশাল থেকে:-ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হন। আহতরা যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল হাসপাতালে, তখন হামলাকারীই আহতদের নামে মামলা দায়ের করে। চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ফিরলেও এখনো সেই মামলা হামলার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিরীহ সোলাইমান ফরাজীর পরিবার। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার বইলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রামের নিরীহ সোলাইমান ফরাজীর ২৬ শতাংশ জমি চক্রান্ত করে গোপনে তার এক বোনের কাছ থেকে দলিল করে নেন ত্রিশাল সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক স্থানীয় প্রভাবশালী ইউনুস হোসেন সরকার। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে অবৈধ দলিল বাতিল ও জমি ফেরতের সিদ্ধান্ত হলে ইউনুস হোসেন স্বহস্তে জমি ফেরতের একটি দলিল লিখে তা সম্পাদন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে রেজিস্ট্রি না করে কালক্ষেপণ করে যাচ্ছিলেন। গ্রাম্য সালিশ ও নিজ হস্তে জমি ফেরতের লিখিত সম্পাদনার দলিল উপেক্ষা করে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ইউনুস হোসেন পুকুর খনন করতে গেলে তাতে বাঁধা দেন সোলাইমান ও পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৩ জুন রোববার ইউনুস হোসেন তার লোকজন নিয়ে সোলাইমান ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর দুইদফা হামলা চালায়। এতে সোলাইমান ফরাজী (৬০), তার ছেলে আয়নাল হক জনি(২৩), জিয়াউল হক (২৬) ও স্ত্রী লাইলী বেগম (৫০) গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাথায় দা’য়ের কোপে ১৭ টি শিলি লাগায় সোলাইমানের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। সোলাইমান যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল, তখন হামলাকারীই আহতদের নামে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করে। মিথ্যা মামলার খবর পেয়ে ঘটনার তিনদিন (১৬ জুন) বিকেলে সোলাইমানের বড় ছেলে জিয়াউল হকও বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন।চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ফিরলেও মাথায় আঘাতের কারনে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন সোলাইমান। নিরীহ সোলাইমান ফরাজীর পরিবার এখনো সেই প্রতিপক্ষের মিথ্যে মামলা আর পুনঃরায় হামলার ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। সোলাইমানের ছেলে জিয়াউল হক জানান, আমার বাবা যখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, বাবাকে সুস্থ করে তোলার জন্য হাসপাতালে ব্যস্ত সময় পার করছি, ওই ফাঁকে প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করে। তাদের দায়ের করা মিথ্যে মামলা ও হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি। এ ব্যাপারে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।