স্কুল খোলার প্রথম দিনেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মাঝে উত্তোজনা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

- আপলোড সময়: ০৯:২৫:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ৯১৪ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে.এম লতীফ ইনস্টিটিউশনের প্রধান ও সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরোধ এখন চরম আকারে ধারণ করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনেই স্কুলে ঢুকতে না পেরে প্রধান শিক্ষক রোববার বিকেলে সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। অপর দিকে রাতে প্রধান শিক্ষককে দোষারোপ করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ কতিপয় শিক্ষকের হুমকির কারণে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি বলে অভিযোগ তুলেন। তিনি রোববার বিকেলে স্থানীয় উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে যোগদানের পর থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান আমাকে মেনে নিতে না পারায় বিভিন্ন সময় অসহযোগিতা ও সহকার্মীদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টিতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া আমি যেন অফিসে প্রবেশ করতে না পারি সেজন্য আমার অফিসে তক্তা পিটিয়ে আটকে রেখেছে। তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। বিষয়টি আমি মঠবাড়িয়া থানাকে লিখিতভাবে অবহিত করি। তিনি আরো বলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষকের অব্যহত হুমকির কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে বিদ্যালয়ের কোয়ার্টার ছেড়ে গত মার্চ মাস থেকে বাগেরহাটে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছি। অপর দিকে রাত ৮টার দিকে বিদ্যালয় মিলনায়তনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমন বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই বিতর্কিত কর্মকান্ড করে গেছেন। তার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে ২০১৮ সালে ২৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী ম্যানেজিং কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তখন তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উক্ত অভিযোগ থেকে মুক্তিপান। এছাড়া ২০২০ সালে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে এক নোংরা খেলায় মেতে ওঠেন এবং তার প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষকদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি হয়। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছেন। এসময় তার পক্ষে বিদ্যালয়ের ২৯ জন সহকারি শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সাথে সাথেই দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়ায় অভিভাবকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা মনে করেন শিক্ষকদের এ গ্রুপিংয়ের কারণে প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে ঐতিহ্য হারিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষারর্থী ফারজানা রহমান রাইসা’র অভিভাবক মজিবর রহমান বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব দ্রুত নিরসনে প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।