প্যরাডাইজ স্পিনিং মিলের কর্মকর্তা কর্মচারীর মানবেতর জীবন! প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ
- আপলোড সময়: ১২:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকুরীচ্যুত করায় ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের প্যরাডাইজ স্পিনিং মিলস লিমিটেড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১৭ জনের পক্ষে রোববার বিকেল ৪টায় শ্রীপুর থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন প্যরাডাউজ স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক হোসেন, স্টোর ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকতা শফিকুল ইসলাম। অভিযোগকারীদের পক্ষে ওই কারখানার প্রশাসন বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৯ আগস্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ ভাড়াটিয়া লোকজন এনে খুন জখমের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকুরীচ্যুত করেন। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন-ভাতার দাবী জানালে ভাড়াটিয়া লোকজনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ভয় দেখিয়ে বের করে দেয়। বর্তমানে বেতন না পেয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কারখানার জ্যেষ্ঠ উৎপাদন কর্মকর্তা শাহজাহান জানান, বেতন না পাওয়ায় দোকান বাকী, বাসা ভাড়া আটকে গেছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এয়ার কন্ডিশনার সংরক্ষণকর্মী মাসুদ জানান, হঠাৎ করে বেতন বন্ধ ও চাকুরীচ্যুত করায় জীবিকা নির্বাহে দুঃসময় মোকাবিলা করতে হচ্ছে। চাকুরীচ্যুত করলেও শ্রম আইন অনুযায়ী ভাতা প্রদান না করে পাল্টা মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে কারখানার জ্যেষ্ঠ প্রশাসিনক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর কারখানার গ্যাস লাইন বিচ্ছন্ন করা হয়েছে। এরপর থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ। তাছাড়া আগে যিনি কারখানা পরিচালনা করতেন তিনি ভাড়ায় চালিয়েছেন। বর্তমানে মূল মালিক এসেছেন। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়নি। আগস্ট মাসের বেতন দেওয়ার সময় হয়নি। কারখানার কেউ বেতন পায়নি। আমরা বেতন পেলে তারাও পাবে। এখন কারখানা বন্ধ রয়েছে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান জানান, চাকুরীচ্যুতি ও ন্যায্য পাওনার দাবীতে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহোদয় তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।