ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নেত্রকোনা থেকে চুরি হওয়া চাউল ভালুকায় পীরের বাড়ী থেকে উদ্ধার নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার মেসার্স আবু সাইদ অটো রাইস মিলের চুরি হওয়া ৬০০ বস্তা (২০টন) চাউল ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের গফুর মৌলবির ছেলে শাহাবুদ্দিন পীর সাহেবের ঘর থেকে উদ্ধার করেছে নেত্রকোনা আটপাড়া ও ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
৫ই সেপ্টেম্বর (রবিবার) সন্ধায় চুরি হওয়া চাউল ও শাহাবুদ্দিন পীর সাহেবের ম্যানেজারসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ । আটককৃতরা হলেন, মোঃ আনোয়ার (৬৫) আতাবুল (৩০) শরিফুল ইসলাম (২৬) আরজ আলী (৩০) জানা যায়, ৩১ আগষ্ট রাত ১০টার দিকে আটপাড়া উপজেলার মেসার্স আবু সাইদ অটো রাইস মিল থেকে ৬০০ বস্তা (২০টন) চাউল ট্রাকে করে গাজীপুর জয়দেবপুর বাজার আড়ৎ এ পাঠান মিল কর্তৃপক্ষ, পরে চাউল গুলো জয়দেবপুর বাজার আড়ৎ এ না নিয়ে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী এলাকার একটি চক্রের মাধ্যমে ট্রাক ড্রাইভার আলামিন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় আটপাড়া থানায় ড্রাইভারসহ অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযােগ করেন মিল কর্তৃপক্ষ। আটপাড়া থানার এসআই আবু তালেব ও এসআই সামসুল হকের অধিকতর তদন্তে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় ৫ই সেপ্টেম্বর (রবিবার) সন্ধায় ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের গফুর মৌলবির ছেলে শাহাবুদ্দিন পীর সাহেবের ঘর থেকে ৩৫ বস্তা ও মাজারের সামনের দোকান থেকে ২৬বস্তা মোট ৬১ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়। তবে শাহাবুদ্দিন পীর সাহেবের খাতায় ১০৫ বস্তা চাউলের রেকর্ড পাওয়া গেছে, এ ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে চার জনকে আটক করা হয়।
মেসার্স আবু সাইদ অটো রাইস মিলের সুপারভাইজার মোঃ সুমন বলেন, ৩১ আগষ্ট রাত ১০টার দিকে আটপাড়া উপজেলার মেসার্স আবু সাইদ অটো রাইস মিল থেকে ৬০০ বস্তা (২০টন) চাউল ট্রাকে করে গাজীপুর জয়দেবপুর বাজার আড়ৎ এ পাঠায়, পরে চাউল গুলো জয়দেবপুর বাজার আড়ৎ এ না নিয়ে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী এলাকার একটি চক্রের মাধ্যমে ট্রাক ড্রাইভার আলামিন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে দেন।
এসআই আবু তালেব জানান, চুরিকৃত ৬০০ বস্তা চাউলের মধ্যে গফুর মৌলবির ছেলে শাহাবুদ্দিন পীর সাহেবের ঘর থেকে ৩৫ বস্তা ও একটি দোকান থেকে ২৬বস্তা মোট ৬১ বস্তা চাউল উদ্ধার করা হয়েছে এবং চার জনকে আটক করা হয়েছে, আটককৃদের রিমান্ডে নেওয়া হবে, বাকি চাউল কোথায় কার কাছে পরবর্তীতে জানা যাবে। শাহাবুদ্দিন পীর সাহেব চক্রের সাথে জরিত কিনা তা এখনো জানা যায়নি এজন্য তাকে আটক করা হয়নি।
আটক আনেয়ারের স্ত্রী বলেন আসল অপরাধীকে না ধরে নিরপরাধ আমার স্বামীক আটক করে নিয়ে যাচ্ছে. তিনি অভিযোগ করেন আমার স্বামী নিয়মিত পীর সাহেব ও আতাবুরের কাছ থেকে চাল নিয়ে বিক্রি করেন, সেতো জানেনা এটা চুরির চাল, যারা জানে এটার সাথে জরিত তাদের কাউকে পুলিশ আটক করেনি।