ময়মনসিংহ ১১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ প্রধান শিক্ষকের কক্ষ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৯:২০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৬৪৫ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে. এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক পরিষদের ব্যাংকের টাকা, শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের ও বিদ্যালয়ের স্টলের ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ এবং প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে কাঠ (তক্তা) দিয়ে বন্ধসহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর কাছে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে.এম.লতীফ ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষক পদে মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৭ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক তাকে মেনে নিতে পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই ষড়যন্ত্র করে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির কাছে মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিষয়টি সমাধান করে দেয়। পরবর্তীতে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ২০২০ সালে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিসহ প্রধান শিক্ষক হবার বাসনা নিয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে অপসারণের জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেন। অভিযোগে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষক পরিষদের ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন ও ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন, বিদ্যালয়ের প্রায় ছয়শত স্টলের ঘর ভাড়ার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেজে সরকারি বেতন-ভাতার বিল উত্তোলনের অপচেষ্টাসহ ১৫টি অভিযোগ আনেন। এব্যাপারে সহকারি প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা রশিদের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হয়। টাকা আত্মসাৎ করা আমার একার পক্ষে করার সুযোগ নেই। এটা আমার বিরোধীতা মাত্র।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মঠবাড়িয়ায় সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ প্রধান শিক্ষকের কক্ষ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ

আপলোড সময়: ০৯:২০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে. এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের সহকারি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক পরিষদের ব্যাংকের টাকা, শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের ও বিদ্যালয়ের স্টলের ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ এবং প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে কাঠ (তক্তা) দিয়ে বন্ধসহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর কাছে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী কে.এম.লতীফ ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষক পদে মোস্তাফিজুর রহমান ২০১৭ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে সহকারি প্রধান শিক্ষক তাকে মেনে নিতে পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই ষড়যন্ত্র করে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির কাছে মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিষয়টি সমাধান করে দেয়। পরবর্তীতে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান ২০২০ সালে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিসহ প্রধান শিক্ষক হবার বাসনা নিয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে অপসারণের জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেন। অভিযোগে সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষক পরিষদের ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন ও ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে বিধি বহির্ভূতভাবে উত্তোলন, বিদ্যালয়ের প্রায় ছয়শত স্টলের ঘর ভাড়ার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ, অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেজে সরকারি বেতন-ভাতার বিল উত্তোলনের অপচেষ্টাসহ ১৫টি অভিযোগ আনেন। এব্যাপারে সহকারি প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টাকা রশিদের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা হয়। টাকা আত্মসাৎ করা আমার একার পক্ষে করার সুযোগ নেই। এটা আমার বিরোধীতা মাত্র।