ময়মনসিংহ ১০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় বাঁশের সাঁকোতে নদী পারাপার

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০১:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৩০০ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বরাইদ গ্রামে খীরু নদীতে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সারা বছর চলাচল করেন ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলার কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার ও কয়েকটি মিল কারখানা ভালুকার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বরাইদ, বগাজান এলাকয় থাকার কারনে ত্রিশাল উপজেলার কয়েক গ্রামের ছাত্র ছাত্রী, ব্যবসায়ী, মিল শ্রমিক ও এলাকাবাসীর নদী পারাপারে এই সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। ২৯ আগষ্ট রোববার দুপুরে ওই গ্রামে গেলে অনেককেই সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে দেখা যায়। এ সময় সাঁকোতে আটকে থাকা কচুরি পরিষ্কার করছিল আঃ আউয়াল নামে একজন গ্রামবাসী।বরাইদ গ্রামের আবু সাঈদ সরকার জানান নদীর এই পাড় ভালুকা আর ওই পাড় ত্রিশাল উপজেলা। ভালুকার বরাইদ ও ত্রিশালের সাপকালি গ্রামের কিছু লোক নিজেদের অর্থায়নে প্রতি বছর বাঁশ ও বিভিনś সামগ্রী ক্রয় করে নিজেরাই সাঁকোটি ˆতরী করে থাকেন পারাপারের সুবিধার্থে। তিনি জানান ভালুকার বরাইদ শহীদ শামছুদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর ফাজিল মাদ্রাসায় অনেক ছাত্র ছাত্রী সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে লেখাপড়া করতে আসে। তাছারা নিজুরি গস্খীণ টেক্সটাইল ও নাফকো ফার্মায় শত শত নারী ও পুরুষ শ্রমিক নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে আসা যাওয়া করে থাকেন। অপরদিকে বরাইদ বাজার, রামপুর বাজার, বগাজান বাজার, উথুরা বাজার ও সাপকালি বাজারে উভয় পাড়ের জন সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। বর্ষা ও বৃষ্টিতে অনেকটাই জীবনের ঝুকি নিয়ে লোকজন দিন রাত পারাপার করছেন বহুকাল পূর্ব থেকে। বরাইদ গ্রামের রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, আঃ আজিজ, রামপুর গ্রামের আঃ আউয়াল জানান জীবনের ঝুকি নিয়ে ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন সাঁকো পার হয়ে স্কুল কলেজে আসা যাওয়া করে। এই স্থানে একটি পাকা সেতুর খুবই প্রয়োজন। তারা জানায় পারাপারের জন্য সাপকালি গ্রামের আঃ আউয়াল, নূর বকস, কাজী আমিন ও বরাইদ গ্রামের আঃ আজিজ, রিয়াদ হোসেন ও আবুল মনছুর আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে সাঁকোটি ˆতরী করেছেন।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ভালুকায় বাঁশের সাঁকোতে নদী পারাপার

আপলোড সময়: ০১:৫৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বরাইদ গ্রামে খীরু নদীতে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে সারা বছর চলাচল করেন ভালুকা ও ত্রিশাল উপজেলার কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার ও কয়েকটি মিল কারখানা ভালুকার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বরাইদ, বগাজান এলাকয় থাকার কারনে ত্রিশাল উপজেলার কয়েক গ্রামের ছাত্র ছাত্রী, ব্যবসায়ী, মিল শ্রমিক ও এলাকাবাসীর নদী পারাপারে এই সাঁকোই এক মাত্র ভরসা। ২৯ আগষ্ট রোববার দুপুরে ওই গ্রামে গেলে অনেককেই সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে দেখা যায়। এ সময় সাঁকোতে আটকে থাকা কচুরি পরিষ্কার করছিল আঃ আউয়াল নামে একজন গ্রামবাসী।বরাইদ গ্রামের আবু সাঈদ সরকার জানান নদীর এই পাড় ভালুকা আর ওই পাড় ত্রিশাল উপজেলা। ভালুকার বরাইদ ও ত্রিশালের সাপকালি গ্রামের কিছু লোক নিজেদের অর্থায়নে প্রতি বছর বাঁশ ও বিভিনś সামগ্রী ক্রয় করে নিজেরাই সাঁকোটি ˆতরী করে থাকেন পারাপারের সুবিধার্থে। তিনি জানান ভালুকার বরাইদ শহীদ শামছুদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর ফাজিল মাদ্রাসায় অনেক ছাত্র ছাত্রী সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে লেখাপড়া করতে আসে। তাছারা নিজুরি গস্খীণ টেক্সটাইল ও নাফকো ফার্মায় শত শত নারী ও পুরুষ শ্রমিক নদী পার হয়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে আসা যাওয়া করে থাকেন। অপরদিকে বরাইদ বাজার, রামপুর বাজার, বগাজান বাজার, উথুরা বাজার ও সাপকালি বাজারে উভয় পাড়ের জন সাধারণ ও ব্যবসায়ীরা সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। বর্ষা ও বৃষ্টিতে অনেকটাই জীবনের ঝুকি নিয়ে লোকজন দিন রাত পারাপার করছেন বহুকাল পূর্ব থেকে। বরাইদ গ্রামের রেজাউল করিম, রফিকুল ইসলাম, আঃ আজিজ, রামপুর গ্রামের আঃ আউয়াল জানান জীবনের ঝুকি নিয়ে ছেলে মেয়েরা প্রতিদিন সাঁকো পার হয়ে স্কুল কলেজে আসা যাওয়া করে। এই স্থানে একটি পাকা সেতুর খুবই প্রয়োজন। তারা জানায় পারাপারের জন্য সাপকালি গ্রামের আঃ আউয়াল, নূর বকস, কাজী আমিন ও বরাইদ গ্রামের আঃ আজিজ, রিয়াদ হোসেন ও আবুল মনছুর আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে সাঁকোটি ˆতরী করেছেন।