শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভালুকায় জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ পালিত ভালুকায় মে দিবস উপলক্ষে মটরযান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের র‌্যালী শিল্পবান্ধব স্মার্ট ভালুকা গড়ে তুলতে চান ————- ড. মামুদুল হাসান বৃষ্টির জন্য ভালুকায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় ভালুকায় কলেজ পড়ুয়া ছেলের হাতে শিক্ষক বাবা খুন ভালুকায় ড্রাইভার ও পথচারীদের মাঝে খাবার স্যালাইন বিতরণ ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা ভালুকায় টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের কমিটি দেওয়ার অভিযোগ ভালুকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী সাদিকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত ভালুকায় ল্যান্ডমার্ক সিটি পার্টি সেন্টার উদ্বোধন

পাবনায় পেঁয়াজের দাম না পেয়ে কৃষক ও মজুদদারদের মাথায় হাত

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১, ৫.৪৯ পিএম
  • ৩৭৪ বার পাঠিত

শাহজাহান সরকার,পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনা জেলায় সর্ব্বোচ্চ পেঁয়াজ উৎপাদনকারি এলাকা হলো সুজানগর, বেড়া, সাঁথিয়া উপজেলা। যার সিংহভাগ বিক্রি হয় কাশিনাথপুর,বেড়া ও আতাইকুলা হাটে। সপ্তাহের হাট গুলো ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের দাম  তেমন আশানুরূপ না পেয়ে বিক্রেতাদের মুখে কালো মেঘের ছায়া ভেসে ওঠে। কারণ হিসাবে বর্তমানে বড় পেঁয়াজ মানভেদে ১২০০-১৪০০ টাকা ও রোপন যোগ্য ছোট পেঁয়াজ ১৮০০-২০০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়। এতে উদ্বেগ বেড়েছে কৃষক ও মজুতদারের। সুজানগরের গাজনার বিলের পেঁয়াজ চাষী মো. মোখলেস কাশিনাথপুর হাটে ২০ মন পেঁয়াজ এনেছিলেন। পেঁয়াজের বাজারে ১৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেন। তিনি জানান, যেখানে ভরা মৌসুমে ১মণ পেঁয়াজ ১৫০০-১৬০০ টাকা করে ছিলো সেখানে আজ চাঙে রেখে পেঁয়াজ সুখায়ে বেচলাম ১৪০০ টাকা মণ। বেড়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা শফিউল্লাহ জানান, এ বছরে এমনিতেই পেঁয়াজের বীজের দাম বেশি ছিলো, যে পেয়াজের বীজ প্রতি বছর ১২০০-১৩০০ টাকা করে কিনতাম সে বীজ এ বছরে মানভেদে ৫০০০-১৫০০০ হাজার টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। সে হিসেবে আমাদের চাষ, সার, পরেত খরচ সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রতি মন পেঁয়াজ প্রায় ১৪০০-১৫০০ টাকা মণ খরচ পড়ছে। এখন যে বাজার চলছে এতে করে লাভতো দূরের কথা খরচের টাকাও  উঠা দায়। বড় বিপদের সম্মুখীন পেঁয়াজ মজুতদার , জনাব আলমাস আহমেদ এ বছর প্রায় ২০০ মন পেঁয়াজ হাট থেকে কিনে মজুত করেছেন। তিনি জানান, পেঁয়াজের ভরা মৌসুমে ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ হিসেবে প্রায় ২০০ মণ পেঁয়াজ কিনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংরক্ষণ ক‌রে শুঁকিয়ে যাওয়ার পড়ে বেচতে হচ্ছে ১৩০০-১৪০০ টাকা। এতে করে পেঁয়াজ শুকিয়ে কমে যাওয়ায় গড়ে প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়ায় পেঁয়াজ সরবরাহকারী ব্যাপারী মহীর অভিযোগ করে বলেন, বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় এ বছরে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর পাবনায় প্রায় ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে বিভিন্ন জাতের পেয়াজ। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫হাজার হেক্টর বেশি। যার উৎপাদন ধরা হয়েছিলো ৬ লাখ মেট্রিক টন। উল্লেখ্য, দেশের মোট চাহিদার তিনের একাংশ পেঁয়াজ পাবনার বিভিন্ন উপজেলা থেকে উৎপাদন হয়।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs