ভারীবর্ষন ও জলাবদ্ধতায় পচেগেছে কোটি টাকার বীজ আমন বীজ সংকটে মঠবাড়িয়ার কৃষকেরা
- আপলোড সময়: ০১:৫৬:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
- / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধি: গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ভারীবর্ষনে দক্ষিনাঞ্চলের অধিকাংশ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার কারনে মানুষের বাড়িঘর, বসতবাড়ি, কৃষি জমি সবকিছু পানিতে তলিয়ে যায়। সেখানে কৃষি জমিতে বেশ ক’দিন পানি দাঁড়িয়ে থাকার কারনে অসংখ্য বীজতলা পচে নষ্ট হয়ে কৃষকের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।যে কারনে কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে। অনুসন্ধান করে দেখাগেছে, প্রচন্ড ভারী বর্ষনের সময় স্লুইজগেটগুলোর সঠিক ব্যবহার থাকলে বীজতলা ক্ষতির পরিমান অনেক কম হত। দীর্ঘ লকডাউনরে কারনে নিম্নআয়ের মানুষের উপার্জনের পথ বন্ধ থাকায় তাদের কাছে কোন টাকা-পয়সা নেই এমনকি অনেকের ঘরে খাবারের তীব্র সংকট রয়েছে। তার ওপরে এখন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। তাদের মাথায় বাড়তি চিন্তা বীজ ক্রয় করতে হবে আবার কেউ কেউ বলছে জমি অনাবাদি থাকবে। এমন অবস্হায় বীজ সংকট থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলার কিছু ব্যবসায়ীরা নানা রকম যানবাহনে বীজ পরিবহন করে চড়া দামে মুনাফা লাভের আশায় দুরদুরান্ত থেকে বীজ নিয়ে এসে বিক্রি করছে। কৃষকরা যে যার মত চড়া দামে বীজ ক্রয়করে রোপন করছে আবার কেউ কেউ জমী অনাবাদি রাখছে।তবে খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, পর্যাপ্ত বীজ বাজারজাতের কারনে বীজের বাজার নিম্নমূখী হবে এমনটি আশাকরা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রায় দশ কোটি টাকার ধান কম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ও পরবর্তী রবি মৌসুমে কৃষকদের সরকারী সাহায্য পেলে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।