ময়মনসিংহ ১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে বিশ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১০:২১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১
  • / ২৬৮ বার পড়া হয়েছে

টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সরকার,এই জমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন কৃষকেরা ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৭৬ ধারার ১ উপধারায় খাস জমি সম্বন্ধে বলা হয়েছে। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ভূমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে তাহলে সরকার,এই ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন। ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে বিশ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে এক প্রতারক। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের বিধাই গ্রামে এঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালে ৯ বিঘা সরকারি খাস জমি ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।টাকার শোকে পাগল প্রাই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিধাই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম। এবিষয়ে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে গাজীপুর জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযোক্তরা হলেন,ঢাকা-উত্তরখান ফায়দাবাদ এলাকার মৃত ওয়াইজদ্দীনের ছেলে আঃ রাজ্জাক ওরফে মাজম আলী,প্রতারক রাজ্জাক এর স্থায়ী ঠিকানা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদ নগর ইউনিয়নের মাকোরকোল গ্রামে। আঃ রাজ্জাক ওরফে মাজম আলীর ছেলে লুৎফর রহমান, ঢাকা-উত্তরখান ফায়দাবাদ এলাকার নুরুল ইসলাম নুরু মাস্টারের ছেলে মোকলেছ মুজাইদ। মোকলেছ মুজাইদ স্থায়ী ঠিকানা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চফররাজি ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে এবং গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের রমিজ উদ্দিন ফরাজীর ছেলে রহিজ উদ্দিন ফরাজী। ভোক্তভুগি রফিকুল ইসলাম জানান,২০১৭ সালে আমাকে ২৯ বছরের চুক্তিতে ১২নং ধামলই মৌজাস্থিত এস.এ ১নং খতিয়ানের ২৫৫৯ নং দাগে ও আর এস ১ নং খতিয়ানের ১২৬৭৬, ১২৬৭৭, ১২৬৭৮, ১২৬৮০দাগে ৩একর ৩৪ শতাংশের কাতে ২ একর ৯৫শতাংশ জমি ১৪৩৩৪ নং দলিলের মাধ্যমে বুঝাইয়া দেয়। কিন্তু ওই দলিলটা আমি যাচাই বাছাই করে দেখি তাদের করে দেওয়া দলিলটি জাল। পরে তাদেরকে ৯৯ বছরের জন্য যে জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথ বলে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে, সেই জমির বিষয়ে তাদেরকে বললে তারা বলেন ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ করে জমি বন্দেবস্ত করে দেবেন। কিন্তুটাকা নিয়ে বন্দোবস্ত না করে দিয়ে দীর্ঘ ধরে ঘুরাচ্ছেন। তারা আমার সাথে প্রতারনা করে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। পরে ওই টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু ৫ বছরের আমার টাকা ফেরত পাইনি। বর্তমানে তাদের মোবাইর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাদেরকেও খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমি নিরুপাই হয়ে আদালতে আইনের কাছে বিচার দিয়েছি। আমি আশা করি আইন আমাকে সুষ্ট বিচার করে দিবেন। এবং আইনের মাধ্যমে উক্ত প্রতারকদের বিচার করাসহ আমার পাওনা টাকা উদ্ধার করে দিবেন আমি এই আশাবাদি।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

গাজীপুরে খাস জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে বিশ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

আপলোড সময়: ১০:২১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ অগাস্ট ২০২১

টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং সরকার,এই জমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন অথবা অন্য কোনো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন কৃষকেরা ১৯৫০ সালের স্টেট একুইজিশন এন্ড টেনান্সি এক্টের ৭৬ ধারার ১ উপধারায় খাস জমি সম্বন্ধে বলা হয়েছে। উক্ত ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ভূমি যদি সরকারের হাতে ন্যস্ত হয় এবং সেই জমিগুলি যদি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে তাহলে সরকার,এই ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারেন। ভূমিগুলি সরকার কর্তৃক প্রণীত পদ্ধতি অনুযায়ী বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে বিশ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে এক প্রতারক। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের বিধাই গ্রামে এঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালে ৯ বিঘা সরকারি খাস জমি ৯৯ বছরের জন্য বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা বলে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।টাকার শোকে পাগল প্রাই গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিধাই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম। এবিষয়ে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে গাজীপুর জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযোক্তরা হলেন,ঢাকা-উত্তরখান ফায়দাবাদ এলাকার মৃত ওয়াইজদ্দীনের ছেলে আঃ রাজ্জাক ওরফে মাজম আলী,প্রতারক রাজ্জাক এর স্থায়ী ঠিকানা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদ নগর ইউনিয়নের মাকোরকোল গ্রামে। আঃ রাজ্জাক ওরফে মাজম আলীর ছেলে লুৎফর রহমান, ঢাকা-উত্তরখান ফায়দাবাদ এলাকার নুরুল ইসলাম নুরু মাস্টারের ছেলে মোকলেছ মুজাইদ। মোকলেছ মুজাইদ স্থায়ী ঠিকানা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চফররাজি ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে এবং গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের রমিজ উদ্দিন ফরাজীর ছেলে রহিজ উদ্দিন ফরাজী। ভোক্তভুগি রফিকুল ইসলাম জানান,২০১৭ সালে আমাকে ২৯ বছরের চুক্তিতে ১২নং ধামলই মৌজাস্থিত এস.এ ১নং খতিয়ানের ২৫৫৯ নং দাগে ও আর এস ১ নং খতিয়ানের ১২৬৭৬, ১২৬৭৭, ১২৬৭৮, ১২৬৮০দাগে ৩একর ৩৪ শতাংশের কাতে ২ একর ৯৫শতাংশ জমি ১৪৩৩৪ নং দলিলের মাধ্যমে বুঝাইয়া দেয়। কিন্তু ওই দলিলটা আমি যাচাই বাছাই করে দেখি তাদের করে দেওয়া দলিলটি জাল। পরে তাদেরকে ৯৯ বছরের জন্য যে জমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথ বলে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে, সেই জমির বিষয়ে তাদেরকে বললে তারা বলেন ৯৯ বছরের জন্য জমি লিজ করে জমি বন্দেবস্ত করে দেবেন। কিন্তুটাকা নিয়ে বন্দোবস্ত না করে দিয়ে দীর্ঘ ধরে ঘুরাচ্ছেন। তারা আমার সাথে প্রতারনা করে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। পরে ওই টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু ৫ বছরের আমার টাকা ফেরত পাইনি। বর্তমানে তাদের মোবাইর ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তাদেরকেও খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমি নিরুপাই হয়ে আদালতে আইনের কাছে বিচার দিয়েছি। আমি আশা করি আইন আমাকে সুষ্ট বিচার করে দিবেন। এবং আইনের মাধ্যমে উক্ত প্রতারকদের বিচার করাসহ আমার পাওনা টাকা উদ্ধার করে দিবেন আমি এই আশাবাদি।