বিশেষ প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহের ভালুকায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পবিত্র কোরআন খতম, মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় মিলাদ ও দোয়া, প্রার্থনা ও এতিমখানায় খাবার পরিবেশন, আলোচনা সভা।দিনের শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সকাল ৯টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুনের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর পরই সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকালে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভালুকায় জাতীয় শোক দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করেন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য এম এ ওয়াহেদ।আংগারগাড়া জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল সহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জায় মিলাদ ও দোয়া, প্রার্থনা ও এতিমখানায় তাঁর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও খাবার বিতরণ করেন।বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এম এ ওয়াহেদ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘জাতির পিতা না থাকলে আমরা কখনো স্বাধীনতার স্বাদ পেতাম না। তাঁর নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা আর তাঁরই যোগ্য সন্তান শেখ হাসিনা আমাদের এনেদিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি আরো বলেন, ঘাতকরা রাতের অন্ধকারে নির্মমভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করে, আমাদের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করতে ও মুজিবাদর্শকে সমূলে বিনাশ করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা জানতো না মুজিব মানেই বাংলাদেশ। এম এ ওয়াহেদ বলেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে অর্থনৈতিক মুক্তি প্রয়োজন। তাই আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকার গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এম এ ওয়াহেদ বলেন, সকল ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে পদ্মাসেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।এই অসাধ্য সাধন করা শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে পদ্ধাসেতু হতো না, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিও হতো না। তিনি বলেন, মানুষের মাথা পিচু আয় বেরেছে, বাংলাদেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, শিক্ষার হার বেরেছে এই সবই শেখ হাসিনার চৌকস নেতৃত্বের কারনে। এম এ ওয়াহেদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটবে, বাংলাদেশ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান। এসময় জাতীয় শ্রমিকলীগ ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সভাপতি, নজরুল ইসলাম সরকার ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ সুজন, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল করিম রিপন ও আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার সাথে ছিলেন।