ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ দিয়ে মামলা করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক। সোমবার রাতে ওই চিকিৎসক ভালুকা মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ চার থেকে পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, ভালুকা পৌর সদরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ তন্ময় (৩০),উপজেলার গাদুমিয়া গ্রামের মোঃ সাইম (৩৫) এবং পড়–রা গ্রামের হুমায়ুন (৪৫)। হাসপাতালের সিসি টিভির ভিডিও ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন চিকিৎসক ইলা আমাতুল্লাহর নেতৃত্বে কয়েক জন স্বাস্থ্য সহকারী। বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে ফিরোজা খাতুন নামের (৬০) এক রোগীকে নিয়ে আসেন তাঁর কয়েকজন আত্বীয় স্বজন। জরুরী চিকিৎসক ওই রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ বাড়িতে নেওয়ার জন্য স্বজনদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সটি চাওয়া হয়।তখন স্টাফরা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের (হাসপাতালের স্টাফ) উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন লাশের স্বজনেরা। এক পর্যায়ে ওয়ার্ডবয় সঞ্জয় ও ব্রাদার্স মমতাজ উদ্দিনের ওপর হামলা করে। তাদেরকে উদ্ধার করতে গেলে চিকিৎসক ইলা আমাতুল্লাহর গায়ে ধাক্কা লাগে। এতে হাসপাতালের সরকারি মুঠো ফোনটি ছিটকে পড়ে ভেঙ্গে যায়। এরপর হামলার ভয়ে এ্যাম্বোলেন্স চালক স্বপন সাহা ওই লাশ তাৎক্ষণিক বাড়িতে পৌঁছে দেন। এরপর রাতে চিকিৎসক ইলা আমাতুল্লাহ বাদি হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ চার থেকে পাঁচ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেন।
ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক(এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। আসামি গ্রেপ্তারের অভিযানেই আছি।
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মেহেদী হান্নান বলেন, হামলার শিকার চিকিৎসক নিজেই বাদী হয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসা সামগ্রী ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ দিয়ে থানায় মামলা করেছেন।