খলিলুর রহমান: দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারামারি, কারণে অকারণে শোডাউন, হোটেল রেস্তোরায় চা-নাস্তা খেয়ে বিল কম দেয়া,বলে উঠা আমি ছাত্রলীগ। এসব আমাদের খুবই পরিচিত পূরনো সোনা বা দেখা। পুরনো এসব দেন ধারণা পাল্টে দিয়ে মানবিক কাজের উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে ভালুকার হ্যালো ছাত্রলীগ টিম লিডার ইফতেখার আহমেদ সুজন। শুধু করোনা মহামারী নয় ইতিমধ্যে মানবিক মনোভাব নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে ভালুকার রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশংসিত হয়েছেন ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ সুজন। বিশেষ করে করোনার মহামারীতে শেখ রাসেল ফ্রী অক্সিজেন সার্ভিস সেবা দিয়ে মানবিকতার অনন্য উচ্চতায় এখন ভালুকার হ্যালো ছাত্রলীগ ও টিম লিডার ইফতেখার আহমেদ সুজন। সারা ভালুকা যখন গভীর ঘুমে তখনো সুজনের নেতৃত্বে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় রাত জেগে ‘হ্যালো ছাত্রলীগের’ টিমের মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত রোগীকে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌছে দিচ্ছেন হ্যালো ছাত্রলীগ টিম। করোনার এই মহা সংকটে এমন উদ্যোগকে একটি মানবিক, দায়িত্বশীল উদ্যোগ হিসেবেই দেখছেন এ অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ। মানবিক কাজের স্বীকৃতি ও সাধারণ মানুষের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত হ্যালো ছাত্রলীগ ও টিম লিডার সুজন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এশিয়ার প্রাচীন এই ছাত্রসংগঠনের ভাবমূর্তি অনেকটাই উľল করে তুলেছেন ভালুকার হ্যালো ছাত্রলীগ ও ইফতেখার আহমেদ সুজন। করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম থেকেই উপজেলার সর্বত্রই করোনা প্রতিরোধে একটি কার্যকর ও দৃশ্যমান প্রচেষ্টায় সর্বদা সক্রিয় ছিলো হ্যালো ছাত্রলীগ। সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় ইফতেখার আহমেদ সুজনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভালুকায় যখন প্রথম করোনা হানা দেয় তখন ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ সুজনের নেতৃত্বে এ এলাকায় হটলাইনের মাধ্যমে একটি টিম করা হয়। যেটার নাম দেয়া হয় ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’। এ টিম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে করোনার আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ প্রকাশের সাথে সাথে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম, লিফলেট ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন তারা। কর্মহীন, অসহায়, হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা খাদ্য সহায়তা পেতে ফোন করলেই খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দরজায় হাজির হয়েছে হ্যালো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নিজেদের অর্থে এই খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম চলে বছরব্যাপী। যা এখনো চলমান রয়েছে। এদিকে দেশে করোনার শুরুর দিকে আক্রান্তরা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপনś হয়ে চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। ঠিক এই সময়ে সুজনের নেতৃত্বে যাদের সব থেকেও কিছুই ছিলোনা ঐ সকল অসহায় মানুষের পাশে দাড়ায় সুজন ও হ্যালো ছাত্রলীগ। প্রথম থেকেই হ্যালো ছাত্রলীগের পৃষ্টপোষকতায় ছিলেন, মানবিক এম এ ওয়াহেদ। এম এ ওয়াহেদ এর পৃষ্ঠপোষকতায় ২২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে এই পর্যন্ত ২৯জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছে। উপজেলার সর্বত্র মহামারীর শুরু থেকে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ টিম করোনায় আক্রান্ত রোগীদের পাশে থেকে করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তি, সেবাদান, তাদের ঔষধ, খাদ্য সরবরাহ, সেনিটাইজার, মাক্স সহ অন্যান্য সেবায় অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন সহ মানবিক সেবা দান করায়, এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিনś শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষ এখন হ্যালো ছাত্রলীগ ও উফতেখার আহমেদ সুজনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহাম্মেদ সুজন বলেন, আর্তমনবতার সেবায় জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সারাদিয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য আলহাজ্ব এম. এ ওয়াহেদ সাহেব এর নির্দেশে ও পৃষ্টপোষকতায় ফ্রি শেখ রাসেল অক্সিজেন সার্ভিস (হ্যালো ছাত্রলীগ) চালুকরা হয়েছে। সুজন বলেন, এম এ ওয়াহেদ সাহেব এর দেয়া আমানত আমাদের কাছে তাঁরই নির্দেশনায় আমরা হ্যালো ছাত্রলীগ ২৪ ঘন্টা সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় ও জরুরী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু এখন লকডাউন চলছে সেহেতু সাধারণ মানুষের বাহিরে আসার সুযোগ নেই। তাই এম এ ওয়াহেদ সাহেব এর নির্দেশনায়, যার প্রয়োজন তার কাছেই আমরা অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিচ্ছি এবং শুধু অক্সিজেনই নয় করোনাকালীন সংকটে মানুষের যা প্রয়োজনে তাই নিয়ে (হ্যালো ছাত্রলীগ) মানুষের পাশে হাজির থাকছে। তাদের এই কার্যক্রম সংকট কালিন সময়ে চলমান থাকবে বলে জানান ইফতেখার আহমেদ সুজন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- শফিকুল ইসলাম সবুজ।
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ- ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন আল-মদিনা সুপার মার্কেট, সিড্ ষ্টোর বাজার, ভালুকা,ময়মনসিংহ। ই-মেইলঃ bhalukainfo@gmail.com
যোগাযোগঃ- ✆ ০১৭১৫৮১৫৬৪৭, ০১৯১৮১৯৯৮৭৩
Copyright © 2024 মুক্তকণ্ঠ. All rights reserved.