শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ বলেশ্বর নদ তীরবর্তী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গত দুই দিনের ভারী বর্ষণে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। ভারী বর্ষণের অতিরিক্ত পানিতে নদ তীরবর্তী খেতাছিড়া, কচুবাড়িয়া, ভোলমারাচর, মাঝেরচর, নিজামিয়া ও বড়মাছুয়ার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া পৌর শহরের দক্ষিণ বন্দর ও থানাপাড়া এলাকাসহ নিন্মাঞ্চল ও প্লাবিত হয়েছে। থানাপাড়ার নিচু এলাকাসহ বৃষ্টির পানিতে ওসি’র বাস ভবনও প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নদ তীরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের রান্না ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় গত দুই দিন ধরে অনেক পরিবার রান্না করতে পারছেনা।এছাড়া মুষল ধরে বৃষ্টির কারণে কৃষকদের আমন বীজতলা, সবজি, কলা, পেঁপে ও পান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। অপর দিকে মাছের ঘের ও ফসলী মাঠের পুকুরে চাষকৃত পুকুর মালিকদের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। মাছুয়া স্ট্রীমার ঘাট সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বাসিন্দা রাশিদা বেগম জানান, ভারী বর্ষণের অতিরিক্ত পানি বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ায় রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। সাপলেজার খেতাছিড়ার ইউ,পি সদস্য আফজাল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডরের থেকে বেশি পানি উঠেছে। অতিরিক্ত পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এলাকার মাছের ঘের ও পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। তাছাড়া নিচু এলাকার পরিবারগুলোর পাকের ঘর ডুবে যাওয়ায় রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। সবুজনগর এলাকার কৃষক বাবুল মাঝি বলেন, গত দুই দিনের মুষল ধরে বৃষ্টির কারণে পাকা আমন ধান এক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে থানা চত্বরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে এবং তার বাস ভবনেও পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার জানান, নদ তীরবর্তী পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।