ময়মনসিংহ ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের কথিত লকডাউন ও কঠিন বাস্তবতা

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১০:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
  • / ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

মোখলেসুর রহমানঃ– বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা মহামারি রোধে সরকার বার বার লকডাউন দিচ্ছে। আমরা দেশের প্রতি মানুষের উচিত প্রদেয় লকডাউন যার যার অবস্থান থেকে তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। কিন্ত বার বার দেখছি বেশিরভাগ মানুষই লকডাউনের প্রতি গুরুত্বহীন। আর একশ্রেণির মানুষ আছেন যারা সব সময়ই লকডাউন বিরোধী মত প্রকাশ করে আসছেন। যার কারনে করোনা পরিস্থিতি আজকের এই ভয়াবহ পর্যায়ে চলে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে আমরা মহামারি বলতেই পারি।আমি মনে করি লকডাউন বাস্তবায়নে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা কোন না কোন কারনে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। তাই বলতেই পারি সরকার লকডাউন বাস্তবায়নে সফল হতে পারে নাই।যতবার লকডাউন এসেছে ততবারেই আমরা নিয়ম মেনে লকডাউন পালন করেছি কিন্ত বেশিরভাগ মানুষই তা করে নাই ফলে সংক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে লকডাউন হয়েছে চরম ব্যর্থ। তাই পুনরায় লকডাউনের যাঁতাকলে পরতে হয়েছে। এটা ঠিক যে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে লকডাউন কার্যকর করা একটু কঠিন্। কারন এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের দুর্বল অর্থনীতি। যেখানে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে দিন আনে দিন খায় তাদের খাবার নিশ্চিত না করতে পারলে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।লকডাউনে প্রত্যক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা । লকডাউনে ৫৩ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান আছে তারা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং এ আয় থেকেই দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় চাহিদা ও জীবন নির্বাহ করে থাকেন। দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় এক হাজার ৭৪ কোটি টাকা। লকডাউনের কারণে যদি ব্যবসা বন্ধ হয়ে তাদের অবস্থা আজ পথে বসার সামিল। এই লকডাউনে সবচেয়ে কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়ে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষ এবং সাধারণ দোকানদাররা। কিন্ত করোনার এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে হলে কঠোর লকডাউনের কোনও বিকল্প নেই, লকডাউনের সুফল যেমন রয়েছে, তেমনই দেশব্যাপী এই অচলাবস্থার কারণে কোটি কোটি টাকার ক্ষতিও হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি বহুমাত্রিক।, লকডাউন দেওয়া হলে অর্থনীতির সব খাতই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লকডাউনের ফলে কোনও কোনও খাত সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়ে, আবার কোনও কোনও খাত লকডাউন তুলে নেওয়ার পর ক্ষতির মুখে পড়ে। আমি মনে করি লকডাউনে ছোট উদ্যোক্তারা সরাসরি এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন। ছোট ব্যবসায়ীরা বিপদে পরলে তাদের পরিবারও বিপদে পড়ে। আর বড় উদ্যোক্তারা সরকারের সুবিধা নিয়ে টিকে থাকলেও সেখানেও ছন্দপতন দেখা যায়। অনেক কর্মচারী চাকরি হারান। ফলে অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা। গত বছরের করোনায় লকডাউনে তারা সব পুঁজি নষ্ট করেছেন। এই ক্ষুদ্র ব্যবসা খাতের উদ্যোক্তারা কোনও প্রণোদনা পাননি। নিজেরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বার বার। আজকে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী ঠিকমতো বাজার করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে পারছেন না। আজ তাদের কাছে নগদ টাকার বড়ই অভাব। । গত বছর করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার কম থাকলেও লকডাউন ছিল কঠোর। গত দুই বছর ধরে দেখছি স্বাস্থ্যবিধির জন্য লকডাউন দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্য ঠিকই বন্ধ থাকছে। এর দীর্ঘমেয়াদি ধাক্কা আসবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা আর ব্যবসায় ফিরতে পারবে না। তাই এরকম ভাবে লকডাউন বা শাটডাউন দিয়ে অর্থনীতি বন্ধ করে দিলে কোনো সমাধান হবে না। সরকার বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। সেটা ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে যথাযথ ভাবে বণ্টন হয়নি। এখন ব্যবসায়ীদের ব্যাংকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না। যদি ব্যবসা করতে না পারে তবে তারা এই অর্থ কীভাবে ফেরত দেবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা নিয়ে কোনো রকম অনিয়ম হবে না, এটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রণোদনার অর্থের অপব্যবহার, কতিপয় উদ্যোক্তা প্রণোদনার অর্থ নিয়ে তা শিল্পের চলতি মূলধন হিসাবে ব্যবহার না করে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করেছেন। ব্যাংক গুলোর পরিচালনা পরিষদের যোগ সাজসে অনেকে প্রণোদনা ভাগিয়ে নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চলতি মূলধনের জোগান দিতে সরকার ঋণনির্ভর ১০টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। । প্রণোদনার ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছিল, এ ঋণ নিয়ে আগের কোনো ঋণ শোধ করা যাবে না। যে খাতের জন্য ঋণ নেওয়া হবে তা সে খাতেই ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এ নির্দেশনা অমান্য করে কতিপয় উদ্যোক্তা কম সুদের এ ঋণ নিয়ে নির্দেশনা অমান্য করে ঋণের টাকায় জমি কেনা গাড়ী বাড়ী করেছেন অনেকে। উল্লেখ্য, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জমি কেনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনার তাণ্ডব মানুষের শুভবোধ জাগ্রত করবে, সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বিবেচনা করে তারা একে অন্যের পাশ দাঁড়াবে-এটাই যখন সবাই প্রত্যাশা করছে, তখন কিছু মানুষ কী করে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে, তা আমার বোধগম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে অর্থলোভই এদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। নিয়ম অমান্যকারী লোভী মানুষের সংখ্যা যত নগণ্যই হোক, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। রাস্ট্রীয় সম্পদের অর্থাৎ প্রণোদনার সুষম বন্টন নিশ্চিত করে পিছিয়ে পরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাচাঁতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে করে প্রণোদনার ঋণ সহজ শর্তে পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই বাচঁবে গ্রামীণ অর্থনীতি, বাঁচবে সাধারণ মানুষ।জনগনের টাকা জনগনের প্রয়োজনে বিনিয়োগ করুন। কার্যকরী লকডাউন বাস্তবায়নে বাইরে এসে দেখুন এদেশের অতি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের দুঃখ দূর্দশা কতটা। চাকুরীর পিছনে না ছুটে বার বার উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আহবান করেছেন। একবার খতিয়ে দেখুন প্রদত্ত লকডাউনে পরে কতশত উদ্যোক্তা বিলিন হয়ে গেছে। তাদের পুর্নবাসনে তাদের আবার ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করুন।লেখকঃ প্রেস মালিক ও লেখক

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

বাংলাদেশের কথিত লকডাউন ও কঠিন বাস্তবতা

আপলোড সময়: ১০:৪০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

মোখলেসুর রহমানঃ– বর্তমানে বৈশ্বিক করোনা মহামারি রোধে সরকার বার বার লকডাউন দিচ্ছে। আমরা দেশের প্রতি মানুষের উচিত প্রদেয় লকডাউন যার যার অবস্থান থেকে তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। কিন্ত বার বার দেখছি বেশিরভাগ মানুষই লকডাউনের প্রতি গুরুত্বহীন। আর একশ্রেণির মানুষ আছেন যারা সব সময়ই লকডাউন বিরোধী মত প্রকাশ করে আসছেন। যার কারনে করোনা পরিস্থিতি আজকের এই ভয়াবহ পর্যায়ে চলে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে আমরা মহামারি বলতেই পারি।আমি মনে করি লকডাউন বাস্তবায়নে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা কোন না কোন কারনে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। তাই বলতেই পারি সরকার লকডাউন বাস্তবায়নে সফল হতে পারে নাই।যতবার লকডাউন এসেছে ততবারেই আমরা নিয়ম মেনে লকডাউন পালন করেছি কিন্ত বেশিরভাগ মানুষই তা করে নাই ফলে সংক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে লকডাউন হয়েছে চরম ব্যর্থ। তাই পুনরায় লকডাউনের যাঁতাকলে পরতে হয়েছে। এটা ঠিক যে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে লকডাউন কার্যকর করা একটু কঠিন্। কারন এর সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের দুর্বল অর্থনীতি। যেখানে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে দিন আনে দিন খায় তাদের খাবার নিশ্চিত না করতে পারলে লকডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।লকডাউনে প্রত্যক্ষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা । লকডাউনে ৫৩ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান আছে তারা দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং এ আয় থেকেই দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় চাহিদা ও জীবন নির্বাহ করে থাকেন। দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় এক হাজার ৭৪ কোটি টাকা। লকডাউনের কারণে যদি ব্যবসা বন্ধ হয়ে তাদের অবস্থা আজ পথে বসার সামিল। এই লকডাউনে সবচেয়ে কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়ে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষ এবং সাধারণ দোকানদাররা। কিন্ত করোনার এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে হলে কঠোর লকডাউনের কোনও বিকল্প নেই, লকডাউনের সুফল যেমন রয়েছে, তেমনই দেশব্যাপী এই অচলাবস্থার কারণে কোটি কোটি টাকার ক্ষতিও হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি বহুমাত্রিক।, লকডাউন দেওয়া হলে অর্থনীতির সব খাতই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লকডাউনের ফলে কোনও কোনও খাত সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়ে, আবার কোনও কোনও খাত লকডাউন তুলে নেওয়ার পর ক্ষতির মুখে পড়ে। আমি মনে করি লকডাউনে ছোট উদ্যোক্তারা সরাসরি এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন। ছোট ব্যবসায়ীরা বিপদে পরলে তাদের পরিবারও বিপদে পড়ে। আর বড় উদ্যোক্তারা সরকারের সুবিধা নিয়ে টিকে থাকলেও সেখানেও ছন্দপতন দেখা যায়। অনেক কর্মচারী চাকরি হারান। ফলে অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা। গত বছরের করোনায় লকডাউনে তারা সব পুঁজি নষ্ট করেছেন। এই ক্ষুদ্র ব্যবসা খাতের উদ্যোক্তারা কোনও প্রণোদনা পাননি। নিজেরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বার বার। আজকে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী ঠিকমতো বাজার করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেতে পারছেন না। আজ তাদের কাছে নগদ টাকার বড়ই অভাব। । গত বছর করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার কম থাকলেও লকডাউন ছিল কঠোর। গত দুই বছর ধরে দেখছি স্বাস্থ্যবিধির জন্য লকডাউন দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্য ঠিকই বন্ধ থাকছে। এর দীর্ঘমেয়াদি ধাক্কা আসবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। তারা আর ব্যবসায় ফিরতে পারবে না। তাই এরকম ভাবে লকডাউন বা শাটডাউন দিয়ে অর্থনীতি বন্ধ করে দিলে কোনো সমাধান হবে না। সরকার বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিয়েছে। সেটা ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে যথাযথ ভাবে বণ্টন হয়নি। এখন ব্যবসায়ীদের ব্যাংকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না। যদি ব্যবসা করতে না পারে তবে তারা এই অর্থ কীভাবে ফেরত দেবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা নিয়ে কোনো রকম অনিয়ম হবে না, এটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রণোদনার অর্থের অপব্যবহার, কতিপয় উদ্যোক্তা প্রণোদনার অর্থ নিয়ে তা শিল্পের চলতি মূলধন হিসাবে ব্যবহার না করে অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করেছেন। ব্যাংক গুলোর পরিচালনা পরিষদের যোগ সাজসে অনেকে প্রণোদনা ভাগিয়ে নিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চলতি মূলধনের জোগান দিতে সরকার ঋণনির্ভর ১০টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। । প্রণোদনার ঘোষণার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছিল, এ ঋণ নিয়ে আগের কোনো ঋণ শোধ করা যাবে না। যে খাতের জন্য ঋণ নেওয়া হবে তা সে খাতেই ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু এ নির্দেশনা অমান্য করে কতিপয় উদ্যোক্তা কম সুদের এ ঋণ নিয়ে নির্দেশনা অমান্য করে ঋণের টাকায় জমি কেনা গাড়ী বাড়ী করেছেন অনেকে। উল্লেখ্য, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জমি কেনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। করোনার তাণ্ডব মানুষের শুভবোধ জাগ্রত করবে, সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বিবেচনা করে তারা একে অন্যের পাশ দাঁড়াবে-এটাই যখন সবাই প্রত্যাশা করছে, তখন কিছু মানুষ কী করে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে, তা আমার বোধগম্য নয়। প্রকৃতপক্ষে অর্থলোভই এদের চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। নিয়ম অমান্যকারী লোভী মানুষের সংখ্যা যত নগণ্যই হোক, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। রাস্ট্রীয় সম্পদের অর্থাৎ প্রণোদনার সুষম বন্টন নিশ্চিত করে পিছিয়ে পরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাচাঁতে হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে করে প্রণোদনার ঋণ সহজ শর্তে পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই বাচঁবে গ্রামীণ অর্থনীতি, বাঁচবে সাধারণ মানুষ।জনগনের টাকা জনগনের প্রয়োজনে বিনিয়োগ করুন। কার্যকরী লকডাউন বাস্তবায়নে বাইরে এসে দেখুন এদেশের অতি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের দুঃখ দূর্দশা কতটা। চাকুরীর পিছনে না ছুটে বার বার উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আহবান করেছেন। একবার খতিয়ে দেখুন প্রদত্ত লকডাউনে পরে কতশত উদ্যোক্তা বিলিন হয়ে গেছে। তাদের পুর্নবাসনে তাদের আবার ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করুন।লেখকঃ প্রেস মালিক ও লেখক