ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষের উপর নির্মিত নতুন ব্রিজটি এলাকাবাসির গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে ব্রিজের গার্ডারের নিচের অংশ পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থা। ভরা মৌসুম পানির স্বাভাবিক চলাচলে তৈরি হবে প্রতিবন্ধকতা ফলে গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দু’পাড়ের ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি। নদীপথে নৌকা চলাচল সম্পুর্ন ভাবে হয়ে যাবে বন্ধ। যশোর বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছার কপোতাক্ষ নদীর উপর বছর দেড়েক আগে পুরাতন ব্রিজটির পাশে শুরু হয় ৬ লেনের জন্য দুইটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ। মাসখানেক আগে একটি ব্রিজ নির্মাণ শেষ হলে তা চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন প্রতিটি ব্রিজ ১২০ মিটার লম্বা ও ১৫ মিটার চওড়া। দুইটি করে পায়ার বা পিলার ও এবাটমেন্ট ওয়াল এবং ২১টি গার্ডার বা বিম দেয়া হয়েছে। জাইকার অর্থায়নে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো এবং ডেনকো ব্রিজ দুইটি নির্মাণ করছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর ব্রিজটি দেখে হতাশ এবং ক্ষুব্ধা এলাকাবাসী। ভরা মৌসুমেও পুরাতন ব্রিজের নিচ অংশ কখনো নদীর পানি স্পর্শ করতে পারেনি। বড়বড় বজরা নৌকা চলেছে ব্যস্ত এই নদীপথে। অথচ সামান্য বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন নতুন ব্রিজের নিচের অংশ বা তলোদেশ পানি ছুঁতে চলেছে। এলাকাবাসীর আশংকা ভরা মৌসুমে নির্মিত এ ব্রিজের নীচ দিয়ে কপোতাক্ষ নদে কোনো নৌকা তো দূরের কথা একটি ডুঙ্গা কিংবা কলাগাছের তৈরি ভেলাও চলাচল করতে পারবে না। এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা বাজারের ব্যবসায়ি আঃ কাদের জানান, নতুন ব্রিজটি অনেক নীচু করে নির্মান করায় আমরা আশাহত। ব্রিজের কারণে নদী তার নব্যতা আরো হারাবে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে,এতে নদীপাড়ের ঘরবাড়ি এবং ফসলি জমি মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু জানান, বন্যা বা প্রবল বর্ষায় ব্রিজের নীচ দিয়ে কোনো কিছু চলাচল করতে পারবে না। ব্রিজের গার্ডারের উচ্চতা কম করায় এমন হয়েছে। নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে এবং নৌকা চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে নদী পুনঃখনন করা ছাড়া কোন বিকল্প আপাতত নেই।