রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই ষড়যন্ত্র করা হয়………ভালুকায় চীফহুইপ আওয়ামীলীগ অবৈধ ভাবে গনতন্ত্রকে হরন করেছে বাংলাদেশের মানুষ ভোট ও গনতন্ত্রের অধিকার চায়………….ড.আবদুল মঈন খান ত্রিশালে অ্যাড. জিয়াউল হক সবুজকে সম্বর্ধনা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি স্মরণে ফুটবল টুর্নামেন্ট ভালুকায় কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র জন্মদিন পালিত ভালুকায় ডিবির হাতে ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী ভালুকায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত ভালুকায় বাদীকে হুমকি দিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামি ‘নিশ্চুপ’ পুলিশ নেত্রকোণায় বাংলাদেশ ক্বওমী ব্লাড ডোনার পরিষদের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দার্জিলিং কবিতা উৎসবে অংশগ্রহন করছেন—-আতিকুল ইসলাম জাকারিয়া

কাউখালীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১, ৪.১৬ পিএম
  • ১৭২ বার পাঠিত

শাকিল আহমেদ,পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের কাউখালীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্য বিবাহ। বৃহস্পতিবার ভোর চারটায় ছিল বিয়ের লগ্ন। সন্ধ্যার পর থেকে কনের বাড়িতে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। ১৩ বছরের কিশোরীর বিয়ের এ খবর জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যখন কনের বাড়িতে গেলেন, তখনো বরযাত্রী এসে পৌঁছায়নি। মুঠোফোনে বরযাত্রীদের আসতে নিষেধ করেন ইউএনও। মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেবেন না, মর্মে তার মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নেন। বুধবার রাতে কাউখালী উপজেলায় এভাবে বিবাহ থেকে রক্ষা পায় এক কিশোরী। এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাড়ি কাউখালী উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। সে স্থানীয় গন্ধর্ব জানকীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার সঙ্গে একই উপজেলার বাশুরী গ্রামের রতন হালদার নামের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। রাতে বরযাত্রী কনের বাড়িতে পৌঁছার কথা ছিল। রাতে এই বাল্যবিবাহের খবর পান কাউখালীর ইউএনও মোসা. খালেদা খাতুন। রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি ট্রলারযোগে নদী পার হয়ে রওনা দেন কনের বাড়ির উদ্দেশে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কনের বাড়ি পৌঁছে দেখেন, বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। ইউএনওর পৌঁছানোর খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা পালিয়ে যান। এ সময় ইউএনও মেয়েটির মাকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। এরপর ইউএনও বরপক্ষকে ফোন করে বিয়ে বন্ধ করার কথা জানিয়ে কনের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন। মেয়েটির মা বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি নাই বাল্যবিবাহের কুফল। ইউএনও স্যার বুঝিয়ে বলার পর আমরা বিয়ে বন্ধ করে দেই। আমার মেয়েকে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেব না। ’কাউখালীর ইউএনও খালেদা খাতুন বলেন, এ ব্যাপারটি নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত ছিলাম, আমি পৌঁছানোর আগেই মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায় কি না। তবে বিয়ের লগ্ন ভোর চারটায় হওয়ায় মেয়েটিকে রক্ষা করতে পেরেছি।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs