ময়মনসিংহ ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের ছয়মাসের মাথায় সন্তান প্রসব কামলালসার ফসল এখন হিজড়ার ঘরে

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৭:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • / ১৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

খলিলুর রহমানঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের ছয়মাসের মাথায় সন্তান প্রসব। স্বামী ও স্বামীর পরিবার নবজাতক মেনে না নেয়ায় হিজড়ার কাছে ৪০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করে পরিচয়হীন সন্তান প্রসবকারী মা পলাতক। আইগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রশাসনের। এঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এলাকার নারী-পুরুষ ভিড় করছে নবজাতককে দেখতে।সরেজমিনে ও এলাকাবসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া ইম্প্রেসিভ মোড় এলাকার ইউসুফ আলী ওরফে বইদ্দার বাড়ীতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছে হিজড়া সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য। হিজড়াদের একজন রুবিনা ওরফে সোহাগী গত বৃহস্পতিবার (৮জুলাই) একটি ছেলে সন্তান ক্রয় করেছেন। ওই শিশুর মা পরিচয়দানকারী আত্মগোপনে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে ঐ সন্তানের মা পরিচয়দানকারী মহিলা কি সন্তানের মা নাকি প্রতারক চক্রের সদস্য। কোথা থেকে কিভাবে এ নবজাতককে আনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে হিজড়া সোহাগী বলেন, আমি নবজাতককে দত্তক এনেছি, নবজাতকের মা আমার কাছে দত্তক দিয়েছে। আমি তাকে চিকিৎসা করার জন্য কিছু টাকা দিয়েছি। শিশু ছেলের মায়ের ঠিকানা ও পরিচয় জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোন ঠিকানা ও পরিচয় দিতে পারেনি সে। আরেক হিজড়া সাথী বলেন, জামিরদিয়া তুলার বাপের মসজিদ সংলগ্ন এলাকার আবু সাঈদের বাসার ভাড়াটিয়া স্থানীয় একটি ফ্যাক্টরীর শ্রমিক মোঃ শাহ আলমের সাথে এই বাচ্চাটির মা মোছাঃ লিমা আক্তারের ছয় মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পরে লিমা আক্তার একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে, সন্তান প্রসবের পরে স্বামী শাহ আলম ও তার পরিবার সন্তানটি তাদের না বলে অস্বীকার করেন, সন্তানটি বিয়ের পূর্বেই গর্ভে ছিলো বলে স্বীকার করে লিমা আক্তার। কিছু দিন পরেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, লিমা আক্তার গরিবের মেয়ে স্বামী ও নেই সন্তান পালনের খরচও জোগাতে সমস্যা হচ্ছিলো পরে আমাদের কাছে দত্তক দিয়ে দেশে চলে গেছে। অপর আরেক হিজড়া রাসেল ওরফে নদী বলেন এইটা পরিচয়হীন সন্তান বাবার পরিচয় নাই তার মা কিভাবে ছেলেকে লালন-পালন করবে তাই আমাদের কাছে চুক্তি নামা করে দত্তক দিয়ে দেশে চলে গেছে। এলাকার অনেকেই জানান, শুনছি হিজড়া সোহাগী ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেলেসন্তান কিনে এনেছে। তবে এলাকায় বাচ্চাটির মা ও বাবাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসির অভিযোগ বাচ্চাটি কোন প্রতারক চক্র বিক্রি করতে পারে, কেউ কেউ বলছেন এটি কারো কামলালসার ফসল। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্য সচিব, ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ছেলেটি যারই হোক বা যে ভাবেই হিজড়ার ঘরে আসুক এই বাচ্চাটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য হিজড়াদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ভালো কোন পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে প্রশসানের হস্তক্ষেপ জরুরী। এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি দেখে শিশুটিকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করছি। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

বিয়ের ছয়মাসের মাথায় সন্তান প্রসব কামলালসার ফসল এখন হিজড়ার ঘরে

আপলোড সময়: ০৭:২৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

খলিলুর রহমানঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় বিয়ের ছয়মাসের মাথায় সন্তান প্রসব। স্বামী ও স্বামীর পরিবার নবজাতক মেনে না নেয়ায় হিজড়ার কাছে ৪০ হাজার টাকায় সন্তান বিক্রি করে পরিচয়হীন সন্তান প্রসবকারী মা পলাতক। আইগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রশাসনের। এঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন এলাকার নারী-পুরুষ ভিড় করছে নবজাতককে দেখতে।সরেজমিনে ও এলাকাবসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া ইম্প্রেসিভ মোড় এলাকার ইউসুফ আলী ওরফে বইদ্দার বাড়ীতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করছে হিজড়া সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য। হিজড়াদের একজন রুবিনা ওরফে সোহাগী গত বৃহস্পতিবার (৮জুলাই) একটি ছেলে সন্তান ক্রয় করেছেন। ওই শিশুর মা পরিচয়দানকারী আত্মগোপনে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে ঐ সন্তানের মা পরিচয়দানকারী মহিলা কি সন্তানের মা নাকি প্রতারক চক্রের সদস্য। কোথা থেকে কিভাবে এ নবজাতককে আনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে হিজড়া সোহাগী বলেন, আমি নবজাতককে দত্তক এনেছি, নবজাতকের মা আমার কাছে দত্তক দিয়েছে। আমি তাকে চিকিৎসা করার জন্য কিছু টাকা দিয়েছি। শিশু ছেলের মায়ের ঠিকানা ও পরিচয় জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোন ঠিকানা ও পরিচয় দিতে পারেনি সে। আরেক হিজড়া সাথী বলেন, জামিরদিয়া তুলার বাপের মসজিদ সংলগ্ন এলাকার আবু সাঈদের বাসার ভাড়াটিয়া স্থানীয় একটি ফ্যাক্টরীর শ্রমিক মোঃ শাহ আলমের সাথে এই বাচ্চাটির মা মোছাঃ লিমা আক্তারের ছয় মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পরে লিমা আক্তার একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে, সন্তান প্রসবের পরে স্বামী শাহ আলম ও তার পরিবার সন্তানটি তাদের না বলে অস্বীকার করেন, সন্তানটি বিয়ের পূর্বেই গর্ভে ছিলো বলে স্বীকার করে লিমা আক্তার। কিছু দিন পরেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, লিমা আক্তার গরিবের মেয়ে স্বামী ও নেই সন্তান পালনের খরচও জোগাতে সমস্যা হচ্ছিলো পরে আমাদের কাছে দত্তক দিয়ে দেশে চলে গেছে। অপর আরেক হিজড়া রাসেল ওরফে নদী বলেন এইটা পরিচয়হীন সন্তান বাবার পরিচয় নাই তার মা কিভাবে ছেলেকে লালন-পালন করবে তাই আমাদের কাছে চুক্তি নামা করে দত্তক দিয়ে দেশে চলে গেছে। এলাকার অনেকেই জানান, শুনছি হিজড়া সোহাগী ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেলেসন্তান কিনে এনেছে। তবে এলাকায় বাচ্চাটির মা ও বাবাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসির অভিযোগ বাচ্চাটি কোন প্রতারক চক্র বিক্রি করতে পারে, কেউ কেউ বলছেন এটি কারো কামলালসার ফসল। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্য সচিব, ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ছেলেটি যারই হোক বা যে ভাবেই হিজড়ার ঘরে আসুক এই বাচ্চাটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য হিজড়াদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ভালো কোন পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে প্রশসানের হস্তক্ষেপ জরুরী। এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি দেখে শিশুটিকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা করছি। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।