কলেজ ছাত্র খুনের সাথে জরিত থাকার অভিযোগে ৩জন গ্রেফতার

- আপলোড সময়: ০৭:০২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
- / ৫২৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের ভালুকায় ফেসবুক মন্তব্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজছাত্র সাঈম খান খুন হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (৫ জুলাই) রাতে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার বাড়ি থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃতরা হলো, আমানউল্লাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির (১৭), হাবিবুল্লাহর ছেলে সোহাগ (১৬) ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সারোয়ার (২০)। থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার তিন আসামীকে সোহাগের ভগ্নিপতি নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মেহেরাবাড়ি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৫) একই গ্রামের আমান উল্ল্যাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির (১৭), হাবিবুল্ল্যাহর ছেলে সোহাগ (১৬) ও সোলমানের ছেলে মনিরকে (২৪) জড়িয়ে ফেসবুকে নেশাখুর মন্তব্য করে একটি স্ট্যাটার্স দেন। এরই জের হিসেবে রোববার সন্ধ্যায় মিরাজের বিচার করার জন্য মনির মোবাইল ফোনে নিহত সাঈম খানসহ ৭/৮ জনকে ডেকে আনেন। এসময় দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে সাঈম খান ও মিরাজ আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মাঝে সাঈম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে সাঈম মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সাঈমের বাবা নাজিম উদ্দিন বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত তিন আসামীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। তাছাড়া অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।