ময়মনসিংহ ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিলির ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে মিলছে না প্যারাসিটামল

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১১:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
  • / ২৯১ বার পড়া হয়েছে

মুসা মিয়া,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারীর মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের হিলির ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে মিলছে না কোন কোম্পানির জ্বরের ঔষধ প্যারাসিটামল। যদিও দুই একটি দোকানে মিলছে তাও আবার চাহিদা ভেদে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে এসব জ্বরের ঔষধ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ফার্মেসী,বাজারের ফার্মেসী এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকানগুলোতে মিলছে না জ্বরের উপশমকারী প্যারাসিটামল। বেক্সিমকো গ্রুপের নাপা সিরাপ, নাপা ট্যাবলেট, নাপা এক্সটেন্ডেড, নাপা এক্সট্রা , নাপা ওয়ান,এবং স্কয়ার গ্রুপের এইচ, এইচ প্লাস, এইচ ৫০০ সহ অন্যান্য কোম্পানির জ্বরের ঔষধ।

জ্বরের ঔষধ নিতে আসা মাসুদ রানা নামের একজনের সাথে কথা হয় তিনি বলেন, আমার মেয়ের কয়েকদিন থেকে জ্বরে ভুগছে তাই ঔষধের দোকানে জ্বরের ঔষধ নিতে আসলাম। এসে শুনি দোকানে জ্বরের ঔষধই নেই। এতে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

কথা হয় নাসিম আহম্মেদ নামের আর একজনের সাথে তিনিও বলেন, সবার ঘরে ঘরে জ্বর দেখে কি কেউ ঔষধের সংকট তৈরি করলো কি না সেটা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। কারন আমরা হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা আমাদের এসব ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু ক্রয় করতে গেলে তা আর পাওয়া যাচ্ছে না।

আমিরুল ইসলাম নামের আরেকজন অভিযোগ করে বলেন, যদিও দুই একটি দোকানে ঔষধ মিলছে কিন্তু চাহিদা থাকায় তারা বেশি দামে বিক্রি করছে।

বেক্সিমকোর হিলির রিপ্রেজেন্টিভ আলেমন হোসেন জানান, বর্তমানে সবার ঘরে ঘরে জ্বর হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাড়ছে যে কারনে বাজারে সরবরাহ কমেছে। তবে এই মাসের মধ্যে বাজারে ঔষধটির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

হাকিমপুর (হিলি) ঔষধ ফার্মেসীর সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, আমাদের উপজেলায় নাপা এক্সট্রা,নাপা এক্সটেনসহ এই গ্রুপের ঔষধগুলোর সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে এতে আতংকিত হবার কিছুই নেই খুব দ্রæত এই সমস্যার সমাধান হবে।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএসও) ডাক্তার গাদ্দাফী সিকদার ,বলেন আমাদের উপজেলায় জ্বরের প্রকোপটা একটু বেশি। বাজারে কোন ঔষধের সরবরাহ নেই সেটা আমি বলতে পারবো না তবে জ্বরের সব ধরনের ঔষধ পর্যাপ্ত হাসপাতালে রয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলম জানান, করোনা মহামারীর এ সংকট মহূর্তে যদি কোন ঔষধ ফার্মেসীর মালিকরা সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঔষধের সংকট তৈরি করে দাম বেশি নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

হিলির ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে মিলছে না প্যারাসিটামল

আপলোড সময়: ১১:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১

মুসা মিয়া,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ করোনা মহামারীর মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের হিলির ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে মিলছে না কোন কোম্পানির জ্বরের ঔষধ প্যারাসিটামল। যদিও দুই একটি দোকানে মিলছে তাও আবার চাহিদা ভেদে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে এসব জ্বরের ঔষধ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ফার্মেসী,বাজারের ফার্মেসী এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের দোকানগুলোতে মিলছে না জ্বরের উপশমকারী প্যারাসিটামল। বেক্সিমকো গ্রুপের নাপা সিরাপ, নাপা ট্যাবলেট, নাপা এক্সটেন্ডেড, নাপা এক্সট্রা , নাপা ওয়ান,এবং স্কয়ার গ্রুপের এইচ, এইচ প্লাস, এইচ ৫০০ সহ অন্যান্য কোম্পানির জ্বরের ঔষধ।

জ্বরের ঔষধ নিতে আসা মাসুদ রানা নামের একজনের সাথে কথা হয় তিনি বলেন, আমার মেয়ের কয়েকদিন থেকে জ্বরে ভুগছে তাই ঔষধের দোকানে জ্বরের ঔষধ নিতে আসলাম। এসে শুনি দোকানে জ্বরের ঔষধই নেই। এতে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

কথা হয় নাসিম আহম্মেদ নামের আর একজনের সাথে তিনিও বলেন, সবার ঘরে ঘরে জ্বর দেখে কি কেউ ঔষধের সংকট তৈরি করলো কি না সেটা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। কারন আমরা হাসপাতালে গেলে ডাক্তাররা আমাদের এসব ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু ক্রয় করতে গেলে তা আর পাওয়া যাচ্ছে না।

আমিরুল ইসলাম নামের আরেকজন অভিযোগ করে বলেন, যদিও দুই একটি দোকানে ঔষধ মিলছে কিন্তু চাহিদা থাকায় তারা বেশি দামে বিক্রি করছে।

বেক্সিমকোর হিলির রিপ্রেজেন্টিভ আলেমন হোসেন জানান, বর্তমানে সবার ঘরে ঘরে জ্বর হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাড়ছে যে কারনে বাজারে সরবরাহ কমেছে। তবে এই মাসের মধ্যে বাজারে ঔষধটির সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

হাকিমপুর (হিলি) ঔষধ ফার্মেসীর সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, আমাদের উপজেলায় নাপা এক্সট্রা,নাপা এক্সটেনসহ এই গ্রুপের ঔষধগুলোর সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে এতে আতংকিত হবার কিছুই নেই খুব দ্রæত এই সমস্যার সমাধান হবে।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএসও) ডাক্তার গাদ্দাফী সিকদার ,বলেন আমাদের উপজেলায় জ্বরের প্রকোপটা একটু বেশি। বাজারে কোন ঔষধের সরবরাহ নেই সেটা আমি বলতে পারবো না তবে জ্বরের সব ধরনের ঔষধ পর্যাপ্ত হাসপাতালে রয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলম জানান, করোনা মহামারীর এ সংকট মহূর্তে যদি কোন ঔষধ ফার্মেসীর মালিকরা সংকট তৈরি করে দাম বেশি নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঔষধের সংকট তৈরি করে দাম বেশি নিচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।