টি,আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা, মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাট করে এক বিধবা নারীর পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বড়নল গ্রামের মৃত আমির আলীর স্ত্রী বিনোয়ারা বেগম স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই ছেলে তিন মেয়েসহ ৬জন সদস্যের অভাব-অনটনের সংসার হাল ধরেন। বিনোয়ারা বেগমের স্বামীর মৃত্যুর পর তার পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিক মেস্ত্রর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে চলে আসেন। সেই থেকে তার পিতা ছিদ্দিক মেস্ত্রীর রেখে যাওয়া বসতভিটায় ঘরে বিনোয়ারা বেগম ও তার ৫ সন্তানদের নিয়ে ত্রিশ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিধবা নারীর ঘর বাড়ি ভাংচুর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এখন প্রতিপক্ষের ভয়ে বিনোয়ারা বেগম নামে এক বিধবা তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ৩ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান,ওয়ার্ড মেম্বার ও থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না পরিবারটি। অভিযোক্তরা হলেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক মেস্ত্রীর দুই মেয়ে এবং ছেলে সিরাজুল হক,এনামুল হক ছাইফুল,সিরাজুলের ছেলে মাসুদ রানা জীবন, এনামুল হক ছাইফুলের স্ত্রীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন। ময়মনসিংহ জেলার মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিক মেস্ত্রীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বিনোয়ারা বেগম বলেন, সিরাজুলের ছেলে মাসুদ রানা জীবন মঙ্গলবার (২৯ জুন) ভাড়া করে লোকজন নিয়ে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বের করে দিয়েছে আমাকে। ত্রিশ বছর ধরে থাকা ঘরে টিন মাটির দেয়ালসহ সকল কিছু ভাংচু করে মাসুদ রানা জীবন। আমি আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে তিন দিন ধরে রাত দিন খোলা আকাশের নিচে কাটাচ্ছি না খেয়ে না ঘুমিয়ে। তিনি আরও বলেন,প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েদেরকে নানাভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে।
তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছে বিধবার পরিবারটি। এ ঘটনায় বিধবার বিনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। সিরাজুলের ছেলে মাসুদ রানা জীবন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ঘরগুলো মেরামতের জন্য ঘরের চালা খুলে ফেলা হয়েছে। পৈতৃক এবং ক্রয় সূত্রে ওই বসতভিটার মালিক অঅমার চাচা এনামুল হক ছাইফুল। এতদিন আমার ফুফু বিনোয়ারা বেগম অবৈধভাবে ঘর তুলে বসবাস করে আসছিল। তাদের ঘরগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলেছি। এবং বর্তমানে আমার ফুফুকে অন্য জায়গাতে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য বার বার বলা হয়েছে। কিন্তু ফুফু ওই জমিতে যাচ্ছেনা আমাদের বসত ভিটা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব বিষয়ে একাদিক বার চেয়ারম্যান মেম্বার বিচার শালিস করেছে কিন্তু ফুফু এসব কিছুই মানছেনা। আমাদের কাছে ফুফু ১০/১২ শতাংশ জমি ওয়ারিশ হিসেবে পাবেন,আমরা তো সেই ওয়ারিশ সম্পত্তি দিয়ে দিতে চাচ্ছি। এবিষয়ে ফুফু কোর্টে আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। এখন আদালত যে রায় দেয় সেই রায়ের বাহিরে কাজ করা যাবেনা। তাদেরকে কোনো প্রকার ভয় দেখানো হয়নি।