ময়মনসিংহ ১২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়েক দফা লকডাউনের মাঝেও মঠবাড়িয়ায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৩:২২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ কয়েক দফা লকডাউনের কারণে এ বছর ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ ম্লান হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও শেষ সময় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুরোদমে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। রমজানের শুরুতেই একের পর এক লকডাউনের ঘোষণা আশায় ব্যবসায়িদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছিল। বিশেষ করে গার্মেন্টস, শাড়ী-কাপড় ও কসমেটিকস দোকান মালিকরা ব্যবসায়িকভাবে ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীনের কথা ভাবছিলেন। কারণ ঈদ আর শীত গার্মেন্টস ব্যবাসীয়দের এক ভরা মৌসুম। গার্মেন্টস ব্যবসায়িরা সারা বছর ঈদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঈদের বেচাকেনায় নির্ভর করে তাদের পরবর্তী বছরের ব্যবসায়িক লাভ-লোকসান। রমজান মাস এলেই ব্যবসায়িরা আনন্দে মেতে উঠেন অধিক বেচাকেনা এবং অধিক লাভের আশায়। কিন্তু এ বছর রমজানের শুরুতে তাদের মাঝে ছিল এক ধরণের নিরানন্দ। কিন্তু শেষ সময় ব্যাপক ক্রেতা সমাগম ঘটলে তাদের মুখে হাসি ফুটে। তবে অনেক ব্যবসায়ী লকডাউনের কারণে মোকাম থেকে আশানুরƒপ মালামাল সংগ্রহ করতে না পারায় ক্রেতাদের চাহিদা মতো মালামাল সরবরহে ব্যর্থ হন। শহরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, কাপুড়িয়া পট্টি, আজিজ সুপার মার্কেট, খান মার্কেট, কে.এম.লতীফ সুপার মার্কেট, ফার্মেসী রোড ও সদর রোডের গার্মেন্টস, শাড়ী-কাপড়, কসমেটিকস ও জুতার দোকান ঘুরে দেখা গেছে শেষ সময়ে ব্যবসায়িরা ক্রেতা সমাগমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সদর রোডের কসমেটিকস ব্যবসায়ি মোঃ মনির গাজী জানান, বেচাকেনা বিগত বছরের মতো না হলেও মোটামুটি ভালো। খলিল স্টোরের হাফেজ মোঃ আঃ হামিদ জানান, শেষ সময়ে ক্রেতা সমাগম ও বেচাকেনা সন্তোষজনক। কাপুরিয়া পট্টির সাজেদা ক্লোথ স্টোরের স্বত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেন জলিল জানান, লকডাউনে ব্যবসায় তেমন একটা প্রভাব পরেনি। একই রোডের সানমুন টেইলার্সের স্বত্তাধিকারী মোঃ জিয়া জানান, রমজানের প্রথম দিকে হতাশার মাঝে ছিলাম। কিন্তু শেষ সময় ক্রেতা সমাগম ও বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

কয়েক দফা লকডাউনের মাঝেও মঠবাড়িয়ায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

আপলোড সময়: ০৩:২২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মে ২০২১

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ কয়েক দফা লকডাউনের কারণে এ বছর ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ ম্লান হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও শেষ সময় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পুরোদমে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। রমজানের শুরুতেই একের পর এক লকডাউনের ঘোষণা আশায় ব্যবসায়িদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছিল। বিশেষ করে গার্মেন্টস, শাড়ী-কাপড় ও কসমেটিকস দোকান মালিকরা ব্যবসায়িকভাবে ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীনের কথা ভাবছিলেন। কারণ ঈদ আর শীত গার্মেন্টস ব্যবাসীয়দের এক ভরা মৌসুম। গার্মেন্টস ব্যবসায়িরা সারা বছর ঈদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঈদের বেচাকেনায় নির্ভর করে তাদের পরবর্তী বছরের ব্যবসায়িক লাভ-লোকসান। রমজান মাস এলেই ব্যবসায়িরা আনন্দে মেতে উঠেন অধিক বেচাকেনা এবং অধিক লাভের আশায়। কিন্তু এ বছর রমজানের শুরুতে তাদের মাঝে ছিল এক ধরণের নিরানন্দ। কিন্তু শেষ সময় ব্যাপক ক্রেতা সমাগম ঘটলে তাদের মুখে হাসি ফুটে। তবে অনেক ব্যবসায়ী লকডাউনের কারণে মোকাম থেকে আশানুরƒপ মালামাল সংগ্রহ করতে না পারায় ক্রেতাদের চাহিদা মতো মালামাল সরবরহে ব্যর্থ হন। শহরের মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, কাপুড়িয়া পট্টি, আজিজ সুপার মার্কেট, খান মার্কেট, কে.এম.লতীফ সুপার মার্কেট, ফার্মেসী রোড ও সদর রোডের গার্মেন্টস, শাড়ী-কাপড়, কসমেটিকস ও জুতার দোকান ঘুরে দেখা গেছে শেষ সময়ে ব্যবসায়িরা ক্রেতা সমাগমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সদর রোডের কসমেটিকস ব্যবসায়ি মোঃ মনির গাজী জানান, বেচাকেনা বিগত বছরের মতো না হলেও মোটামুটি ভালো। খলিল স্টোরের হাফেজ মোঃ আঃ হামিদ জানান, শেষ সময়ে ক্রেতা সমাগম ও বেচাকেনা সন্তোষজনক। কাপুরিয়া পট্টির সাজেদা ক্লোথ স্টোরের স্বত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেন জলিল জানান, লকডাউনে ব্যবসায় তেমন একটা প্রভাব পরেনি। একই রোডের সানমুন টেইলার্সের স্বত্তাধিকারী মোঃ জিয়া জানান, রমজানের প্রথম দিকে হতাশার মাঝে ছিলাম। কিন্তু শেষ সময় ক্রেতা সমাগম ও বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে।