ময়মনসিংহ ১২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামীদের স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিডিও ছড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৫:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১
  • / ৬৪২ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধ বখাটে কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীদের স্বজনরা মিলে ভূক্তভোগি স্কুল ছাত্রীকে আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ধারন করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি। মঙ্গলবার স্থানীয় মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে মিরুখালী বাজারের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিনś প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এলাকাসি অংশ নেন।

মানববন্ধনে দাউদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রহমান খান এর
সভাপতিতে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খান, মাদ্রাসা সুপার এবিএম রুহুল আমীন, আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইলিয়াস মিয়া, মজিবর রহমান, যুবলীগ নেতা লাভলু তালুকদার , প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, শিক্ষক আবদুর রব, এ কে এম শাকিল আহমেদ, সমাজ সেবক গোলাম মোস্তফা, শিক্ষক পারভেজ তালুকদার ও ছাত্রলীগ নেতা শাহীন তালুকদার প্রমূখ।
উলে­খ্য ২০১৮ সালে মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীপড়ুয়া এক ছাত্রীকে সাইফুল ইসলাম নামে এক বখাটের নেতৃত্বে চার যুবক মিলে পরিত্যাক্ত একটি ঘরে আটকে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বিচার দাবিতে নির্যাতিত মেয়েটির মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আসামীদের গ্রেফতার ও ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ অধ্যক্ষের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আসামীদের পরিবার ও স্বজনরা কলেজ অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খানকে হেনস্থা করতে স¤প্রতি নির্যাতিত মেয়েটিকে দ্বিতীয় দফায় তুলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বানোয়াট স্বীকারোক্তি ধারন করে। পরে ওই ভিডিও আসামীদের স্বজনরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আপলোলোড করে অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মা মঠবাড়িয়া থানায় একটি একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মঠবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামীদের স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিডিও ছড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপলোড সময়: ০৫:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সংঘবদ্ধ বখাটে কর্তৃক এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীদের স্বজনরা মিলে ভূক্তভোগি স্কুল ছাত্রীকে আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ধারন করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি। মঙ্গলবার স্থানীয় মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে মিরুখালী বাজারের প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিনś প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এলাকাসি অংশ নেন।

মানববন্ধনে দাউদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রহমান খান এর
সভাপতিতে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খান, মাদ্রাসা সুপার এবিএম রুহুল আমীন, আওয়ামীলীগ নেতা মো. ইলিয়াস মিয়া, মজিবর রহমান, যুবলীগ নেতা লাভলু তালুকদার , প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, শিক্ষক আবদুর রব, এ কে এম শাকিল আহমেদ, সমাজ সেবক গোলাম মোস্তফা, শিক্ষক পারভেজ তালুকদার ও ছাত্রলীগ নেতা শাহীন তালুকদার প্রমূখ।
উলে­খ্য ২০১৮ সালে মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীপড়ুয়া এক ছাত্রীকে সাইফুল ইসলাম নামে এক বখাটের নেতৃত্বে চার যুবক মিলে পরিত্যাক্ত একটি ঘরে আটকে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় বিচার দাবিতে নির্যাতিত মেয়েটির মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আসামীদের গ্রেফতার ও ধর্ষণ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ অধ্যক্ষের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আসামীদের পরিবার ও স্বজনরা কলেজ অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খানকে হেনস্থা করতে স¤প্রতি নির্যাতিত মেয়েটিকে দ্বিতীয় দফায় তুলে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বানোয়াট স্বীকারোক্তি ধারন করে। পরে ওই ভিডিও আসামীদের স্বজনরা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আপলোলোড করে অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিক্ষার্থীর মা মঠবাড়িয়া থানায় একটি একটি সাধারণ ডায়রি করেন।