ময়মনসিংহ ০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকিতে বেনাপোল বন্দর

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০২:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত  পণ্য নিয়ে অাসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও খালাশীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় করোনার নতুন ধরণ ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্দর এলাকার মানুষ। বাংলাদেশ অংশে ভারতীয়  ট্রাক প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক স্প্রে ও ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও  অনেকটা দায় সারা ভাবে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াই অনভিজ্ঞ আনসার সদস্যদের  দিয়ে চলছে  ভারতীয়  ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের  তদারকি না থাকায় সমাজিক দূরত্বের বালাই নেই বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা এসব ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীদের। ভারতীয় ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীরা বিনা কারনে  করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই বেনাপোল বন্দর সহ গোটা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে বন্দর ও কাস্টমস হাউসের প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি,কয়েক হাজার শ্রমিক সহ  বন্দর এলাকার মানুষ চরম উৎকন্ঠার মধ্যে বসবাস করছে। বন্দর ব্যবহারকারি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা  জানান, ভারতের কলকাতা সহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকরা আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসছে। এসময় ট্রাক চালকেরা পিপিই-মাস্ক পরে বেনাপোল বন্দরে আসলেও বন্দরে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে পৌঁছানোর পর পিপিই ও মাস্ক খুলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্রভাবে বন্দর এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে এসব ট্রাকচালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ধরণ ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের। এবং এসব ট্রাকচালকেরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করে সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাকচালকেরা বেনাপোল বন্দরে আসছে। আবার বাংলাদেশর বিভিন্ন এলাকা থেকে ও পণ্য নিয়ে ট্রাকচালকেরা ভারতে যাচ্ছে। এসব ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য সচেতনত না বাড়ালে এদের মাধ্যমে ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা বেশি। তাই বন্দরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে জানান তিনি। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে এসব ট্রাকচালক ও বন্দরের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং বিষয়টি তারা তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকিতে বেনাপোল বন্দর

আপলোড সময়: ০২:১৭:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২১

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত  পণ্য নিয়ে অাসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও খালাশীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় করোনার নতুন ধরণ ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্দর এলাকার মানুষ। বাংলাদেশ অংশে ভারতীয়  ট্রাক প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক স্প্রে ও ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও  অনেকটা দায় সারা ভাবে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াই অনভিজ্ঞ আনসার সদস্যদের  দিয়ে চলছে  ভারতীয়  ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের  তদারকি না থাকায় সমাজিক দূরত্বের বালাই নেই বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা এসব ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীদের। ভারতীয় ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীরা বিনা কারনে  করোনা সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই বেনাপোল বন্দর সহ গোটা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে বন্দর ও কাস্টমস হাউসের প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারি,কয়েক হাজার শ্রমিক সহ  বন্দর এলাকার মানুষ চরম উৎকন্ঠার মধ্যে বসবাস করছে। বন্দর ব্যবহারকারি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা  জানান, ভারতের কলকাতা সহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকরা আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসছে। এসময় ট্রাক চালকেরা পিপিই-মাস্ক পরে বেনাপোল বন্দরে আসলেও বন্দরে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে পৌঁছানোর পর পিপিই ও মাস্ক খুলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্রভাবে বন্দর এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে করে এসব ট্রাকচালকদের মাধ্যমে করোনার নতুন ধরণ ভারতীয় ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের। এবং এসব ট্রাকচালকেরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করে সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাকচালকেরা বেনাপোল বন্দরে আসছে। আবার বাংলাদেশর বিভিন্ন এলাকা থেকে ও পণ্য নিয়ে ট্রাকচালকেরা ভারতে যাচ্ছে। এসব ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য সচেতনত না বাড়ালে এদের মাধ্যমে ভারতের করোনা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা বেশি। তাই বন্দরের কর্মকর্তাদের দ্রুত সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে জানান তিনি। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানতে এসব ট্রাকচালক ও বন্দরের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং বিষয়টি তারা তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।