ময়মনসিংহ ১১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে বেনাপোল দিয়ে ফিরছেন বাংলাদেশিরা

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৫:৪৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৭১৮ বার পড়া হয়েছে

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ ভারতে করোনার নতুন ধরন রোধে বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে ১৪ দিন যাতায়াত বন্ধ ঘোষণায় আটকেপড়া যাত্রীরা দু’দেশের হাইকমিশনের বিশেষ অনুমতিতে দেশে ফিরছেন। তবে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রীদের ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণ এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। ভারত সীমান্তে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, অন্তত একদিন আগে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়া উচিত ছিল। তাহলে সীমান্তে এসে তাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। ওপারে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী এবং শিক্ষার্থী। গত দুইদিন ধরে আটকে থাকায় অনেক রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। ভারতের পেট্রাপোলে আটকা পড়া চার শতাধিক যাত্রীর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৭০ বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোলে একটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা নিজ খরচে সেখানে অবস্থান করবেন। কোলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন অফিস থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) নিয়ে দেশে ফেরেন তারা। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ভারতে করোনার নতুন ধরন সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করে। তবে নিষেধাজ্ঞাপত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশি দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকলে তাদের আসা যাওয়ার সুযোগ থাকবে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দিনভর কোনো যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে না পারলেও হঠাৎ সন্ধ্যায় ছয় বাংলাদেশি দেশে প্রবেশ করেন। এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৭০ জন প্রবেশ করে। ফেরত আসা ৭০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন অফিসে কর্মরত ও তাদের পরিবারের সদস্য। একজন ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বাকিরা সবাই সাধারণ যাত্রী, যাদের বেশিরভাগ গিয়েছিলেন চিকিৎসায়। এদিকে, বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দেরও দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে একটি ওয়েবসাইটে নির্দেশনা দেয় ভারতীয় দূতাবাস। এতে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে দেশে ফেরার অনুমতিও পান। মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত ভারতে ফিরেছেন ১৭ জন। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, সরকার ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৭৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে ফিরতে কলকাতায় বাংলাদেশ দুতাবাসে আবেদন করেছেন। গত দুই দিনে ফিরেছেন ৭৬ জন। বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকরা ভারতীয় হাইকমিশনার বরাবর আবেদন করে দেশে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন ৫৮ জন। সকাল থেকে ভারতে ফিরেছেন ১৭ জন।বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশি উপহাইকমিশনারের ছাড়পত্র থাকায় আটকেপড়া যাত্রীদের কিছু ফেরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশি কোনো পাসপোট যাত্রী নতুন করে ভারতে যাননি এবং ভারত থেকেও কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেননি।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে বেনাপোল দিয়ে ফিরছেন বাংলাদেশিরা

আপলোড সময়: ০৫:৪৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ ভারতে করোনার নতুন ধরন রোধে বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে ১৪ দিন যাতায়াত বন্ধ ঘোষণায় আটকেপড়া যাত্রীরা দু’দেশের হাইকমিশনের বিশেষ অনুমতিতে দেশে ফিরছেন। তবে নতুন করে পাসপোর্টযাত্রীদের ভারত ও বাংলাদেশ ভ্রমণ এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। ভারত সীমান্তে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, অন্তত একদিন আগে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়া উচিত ছিল। তাহলে সীমান্তে এসে তাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। ওপারে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী এবং শিক্ষার্থী। গত দুইদিন ধরে আটকে থাকায় অনেক রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে। ভারতের পেট্রাপোলে আটকা পড়া চার শতাধিক যাত্রীর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ৭০ বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোলে একটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা নিজ খরচে সেখানে অবস্থান করবেন। কোলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশন অফিস থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) নিয়ে দেশে ফেরেন তারা। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ভারতে করোনার নতুন ধরন সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা করে। তবে নিষেধাজ্ঞাপত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশি দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকলে তাদের আসা যাওয়ার সুযোগ থাকবে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দিনভর কোনো যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে না পারলেও হঠাৎ সন্ধ্যায় ছয় বাংলাদেশি দেশে প্রবেশ করেন। এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ৭০ জন প্রবেশ করে। ফেরত আসা ৭০ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন অফিসে কর্মরত ও তাদের পরিবারের সদস্য। একজন ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়। বাকিরা সবাই সাধারণ যাত্রী, যাদের বেশিরভাগ গিয়েছিলেন চিকিৎসায়। এদিকে, বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দেরও দেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে একটি ওয়েবসাইটে নির্দেশনা দেয় ভারতীয় দূতাবাস। এতে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে দেশে ফেরার অনুমতিও পান। মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত ভারতে ফিরেছেন ১৭ জন। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, সরকার ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩৭৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে ফিরতে কলকাতায় বাংলাদেশ দুতাবাসে আবেদন করেছেন। গত দুই দিনে ফিরেছেন ৭৬ জন। বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকরা ভারতীয় হাইকমিশনার বরাবর আবেদন করে দেশে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন ৫৮ জন। সকাল থেকে ভারতে ফিরেছেন ১৭ জন।বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশি উপহাইকমিশনারের ছাড়পত্র থাকায় আটকেপড়া যাত্রীদের কিছু ফেরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বাংলাদেশি কোনো পাসপোট যাত্রী নতুন করে ভারতে যাননি এবং ভারত থেকেও কোনো ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসেননি।