সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এনজিও মালিককে মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন মন্ত্রনালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বাস্তবায়ন হয়নি ইউএনও’র বদলির আদেশ ত্রিশালে নৌকার কান্ডারী হতে চন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ত্রিশালে মঠবাড়ী ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত ১৫ মার্চ: কৃষকের রক্ত ঝরার দিন ত্রিশালে বইমেলা কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ বসন্তকে নিয়ে এবার কবি ও ঔপন্যাসিক এরশাদ আহমেদ এর নতুন গল্প “বাউলে বসন্ত” সাহিত্যপ্রেমীদের পড়ার আমন্ত্রণ রইলো ভালুকায় কিশোরী শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ভালুকায় আবারো বনে আগুণ ও গজারী গাছ কর্তন: আটক ১ ভালুকায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাঃ আমান উল্লাহ’র মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

বেনাপোল বন্দর চোরাই সেন্টিগেটের দখলে।। বন্দর থেকে চুরি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার পণ্য

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ৬.৩২ এএম
  • ১৪০ বার পাঠিত

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের বিভিন্ন শেডে থেকে কোটি কোটি টাকার পণ্য চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পায়নি বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। প্রতিনিয়ত আমদানি মালামাল চুরির ঘটনা নিয়ে কাস্টমস ও বন্দরের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ । বিশেষ করে কাস্টমস এর নিলামকতৃ পণ্য চুরি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্দরের ১ নম্বর শেড থেকে ১ হাজার ১০২ কেজি উন্নতমানের শার্টিং ও প্যান্টিং চুরি করা হয়েছে। যার আমদানিকারক বেনাপোলের এইচবি ইন্টারন্যাশনাল, কাস্টমস মেনিফেস্ট নম্বর ৩৬৩৪০/১। পণ্যটি মিথ্যা ঘোষণায় আনার অভিযোগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটক করে। পরে চালানটি নিলামে বিক্রি করা হয় ৬১ লাখ টাকায়। নিলামকারী বেনাপোলের নোভা এন্টারপ্রাইজ পণ্যচালানটি ডেলিভারি নিতে গিয়ে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হয়। নিলামকারী তাৎক্ষণিক বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
অন্যদিকে, খুলনার আমদানিকারক সান ওয়ার্ল্ড ট্রেড ভারতে থেকে ১৯ লাখ ৯১ হাজার তিনশ’ ২০ কেজি ব্রোকেন স্টোন আমদানি করেন। যা বন্দরের টিটিআইতে সংরক্ষণ করা হয়। যার কাস্টমস মেনিফেস্ট নম্বর-২৬৪১৩/১৭, ২৪৫১৬/১৩, ২৫৫৩৬/১০, ২৭৩০৮/৭। পণ্য চালানটি কাস্টমসের একজন ডেপুটি কমিশনারের নেতৃত্ব ইনভেন্ট্রি করে ১৭ লাখ ৯১ হাজার তিনশ’ ২০ কেজি কম পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বন্দর কর্তৃপক্ষকে পত্র প্রদান করেছেন। যার নম্বর ৫ম/২০(০৮)এলসি/নিলাম/বেনা-২০২০ /৫৮৭৬(১-৮)।
নিলামকারী বেনাপোলের নোভা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ আলী খান জানান, বন্দরে একটি শক্তিশালী চোর সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা সরাসরি রাজস্ব ফাঁকি ও শেড থেকে মালামাল চুরির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। বন্দরে মোট ৪২টি শেড রয়েছে, যার প্রতিটি শেডে বহিরাগত ট্যান্ডেল বা চোর আছে। যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, বন্দর থেকে পণ্য চুরি হচ্ছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। চুরি যাওয়া মালামালের কোনো ক্ষতিপুরণ দেন না বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের প্রতিটি গেটে নিরাপত্তাকর্মীরা দায়িত্বে থাকার পরও বহিরাগতরা অবাধে প্রবেশ করছে। বন্দর একটি বন্ডেড কেপিআইভুক্ত এলাকা সত্বেও কীভাবে বন্দরে অবৈধ লোকজন প্রবেশ করছে, তা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষর কোন মাথাব্যথা নেই।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান বলেন, বন্দরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। এ নিয়ে কাস্টমস ও রেল কর্তৃপক্ষের রশি টানাটানি হচ্ছে। ফলে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃস্টি হচ্ছে। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জলিল বলেন, ‘বন্দর থেকে পণ্য চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর বন্দরের উপপরিচালক মেহেদী হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দু’ সপ্তার মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে’। বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, ‘বন্দরের অধিকাংশ সমস্যা আমরা বন্দরের বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে সমাধান করেছি। টিটিআই থেকে ব্রোকেন স্টোন ও এক নম্বর শেড থেকে উনśতমানের মূল্যবান ফেব্রিকস চুরি গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs