রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভালুকায় কলেজ পড়ুয়া ছেলের হাতে শিক্ষক বাবা খুন ভালুকায় ড্রাইভার ও পথচারীদের মাঝে খাবার স্যালাইন বিতরণ ভালুকায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা ভালুকায় টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের কমিটি দেওয়ার অভিযোগ ভালুকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী সাদিকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত ভালুকায় ল্যান্ডমার্ক সিটি পার্টি সেন্টার উদ্বোধন জেলায় শ্রেষ্ঠ ওসি ভালুকা মডেল থানার ওসি”শাহ্ কামাল আকন্দ” ভালুকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে ৯ ভাইস চেঃ পদে ১২ প্রার্থী মাঠে ভালুকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের তৎপরতায় অপরাধজনক কোন ঘটনা ঘটেনি ভালুকায় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্ধোধন

প্রচন্ড তাপাদহে পুড়ছে যশোরের আম চাষিদের ভাগ্য

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ৬.৫২ পিএম
  • ২৪০ বার পাঠিত

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ গোটা যশোর জুড়ে বইছে প্রচন্ড তাপাদহ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের মুকুল। আমের দ্বিতীয় রাজধানী খ্যাত যশোর অঞ্চলে প্রচন্ড খরার কারনে এবার আমের কাংখিত ফলন হবে না। কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে আম চাষীরা এবার সর্বশান্ত হতে বসেছে। গেল বছর ঘূূণিঝড় আম্ফান এ করোনা ভাইরাসের প্রাদুভাবের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার আশা করছিলেন চাষিরা। এবছর গাছ ভর্তি আমের মুকুলে হাসি ফুটে উঠে কৃষকের মুখে। প্রচন্ড তাপাদহে আমচাষীদের সেই স্বপ্ন পুড়তে শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোর অঞ্চল দিয়ে।আম বাগান গুলোতে মুকুল আশার সাথে সাথে বেশি লাভের আশায় যত্ন শুরু করেন চাষিরা। কিন্তু প্রচন্ড দাবাদহে প্রতিদিনই বোঁটা থেকে ঝরে পড়ছে ছোট বড় আম। শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, এবছর শার্শা উপজেলায় তিন হাজার বিঘা জমিতে আম চাষ করছেন এক হাজারেরও বেশি কৃষক। দেশিলেংড়া, ফজলী, রোপালী, হিমসাগর, গোপালভোগ, আম্রপালী, মল্লিকা জাতসহ অন্তত ২৭৫ আমের বাগান রয়েছে গোটা এলাকায়। দেশের দ্বিতীয় বড় আমের হাট শার্শার বাগআঁচড়া এলাকা জুড়ে কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে আম ব্যবসায়িরা। আমচাষের সাথে জড়িত মৌসুমি প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। তারা দিনরাত আমের গুটি ঝরা বন্ধ এবং ক্ষতিকর পোকার আক্রমন থেকে রক্ষার জন্য পরিচর্যা করে যাচ্ছে। উপজেলার সামটা গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, এবছর আম গাছে অনেক গুটি এসেছিল কিন্তু প্রচন্ড তাপে আমাদের সব স্বপ্ন পুড়ে যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না আমের মুকুল। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর আমের ফলন মারাতকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। স্থানীয় হাড়িখালী গ্রামের আম ব্যবসায়ি সালাম জানান, বাগান মালিকদের বিঘা প্রতি অগ্রিম ৪০-৪৫ হাজার টাকা দিতে হয়।আবার বাগান পরিচর্যার কাজে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়।আম চাষে এখন লাভ তো দুরের কথা খরচের টাকাও উঠবে না। শুধু শার্শা নয়, এ অবস্থা বিরাজ করছে আমের উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে থাকা কলারোয়া,চৌগাছা, মহেশপুর এলাকার চাষীরা। ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষীরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।

দয়াকরে নিউজটি শেয়ার করুন

আরো পড়ুন.....

greenaronno.com

themes052459
© All rights reserved © 2018 মুক্তকণ্ঠ
Theme Download From Bangla Webs