ময়মনসিংহ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালুকায় সরকারী খাল ও বনভূমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৭:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারী খাল ও বনবিভাগের জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এ্যাক্সিল্যান্ট টাইলস এন্ড সিরামিক্স লিমিটেড নামে একটি কোম্পানীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে।খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় উজানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। সরেজমিন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হবিরবাড়ি ও পাড়াগাঁও গ্রামের মাঝদিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহি লাউতি খালটি ব্যবহার হতো উজানের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের রাস্তা হিসেবে।কিন্ত কিছু অসাধূ ব্যাক্তি খালটির বিভিনś স্থানে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলছে। সম্প্রতি সিডষ্টোর-বাটাজোর সড়কের পাশে পাড়াগাঁও লাউতি ব্রীজ সংলগ্ন বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে এ্যাক্সিল্যান্ট টাইলস নামে একটি সিরামিক্স ফ্যাক্টরী। ফ্যাক্টরীটির পূর্ব পাশে লাউতি খাল ও দক্ষিণে সরকারী খাসভূমি, পশ্চিম ও উত্তর পাশে রয়েছে বনবিভাগের বিশাল ভূমি। আর এসব বনভূমি দখলে নিয়ে কোম্পানী কর্তৃপক্ষ স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয় বনবিভাগ তাতে বাঁধা দেয় এবং কোম্পানীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে। স্থাণীয় লোকজন জানান, এক সময় লাউতি খালটিকে বলা হতো লাউতি নদী। আর এই নদী দিয়ে চলতো পালতুলা নৌকা। এমনকি এই নদী বা খাল থেকে মাছ শিকার করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ও বাজারে বিক্রি করে এলাকার শত শত পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে খালটি আস্তে আস্তে ভরাট করে ফেলছে বিভিন্ন কোম্পানীর অসাধূ লোকজন।সম্প্রতি এ্যাক্সিল্যান্ট সিরামিক্স কোম্পানী খালের অংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ফেলছে। ফলে যেকোন সময় মাটি ধ্বসে গিয়ে পানি নিষ্কাশন পরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া বিভিন্ন অংশে খালটি দখলে নিয়ে ভরাট করায় খালটি বর্তমানে সরু নালার মতো হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে ফ্যাক্টরীর অ্যাডমিন ম্যানেজার মোক্তার হোসেন জানান, বনবিভাগ বাঁধা দেয়ার কারণে কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। খাল দখলের বিষয়ে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, খালটি তার পূর্বের স্থানেই রয়েছে।সদ্য পদন্নতি পাওয়া সহকারী বনসংরক্ষক ও ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, পাড়াগাঁও মৌজার ২৯০ ও ২২৭ নম্বর দাগে তিন একর বনের জমি দখল করে রেখেছে এ্যাক্সিল্যান্ড সিরামিক্স নামে একটি কোম্পানী এবং স্থাপনা নির্মাণের কাজও শুরু করেছিলো। পরে বনভূমি দখল ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষে কোম্পানীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো বর্তমানে চলমান রয়েছে। তাছাড়া তারা যাতে নামজারি ও জমাখারিজ করতে না পারে, সেজন্য ভূমি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, খাস ভূমি দখলের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ভালুকায় সরকারী খাল ও বনভূমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

আপলোড সময়: ০৭:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় সরকারী খাল ও বনবিভাগের জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এ্যাক্সিল্যান্ট টাইলস এন্ড সিরামিক্স লিমিটেড নামে একটি কোম্পানীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে।খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় উজানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। সরেজমিন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার হবিরবাড়ি ও পাড়াগাঁও গ্রামের মাঝদিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহি লাউতি খালটি ব্যবহার হতো উজানের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের রাস্তা হিসেবে।কিন্ত কিছু অসাধূ ব্যাক্তি খালটির বিভিনś স্থানে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলছে। সম্প্রতি সিডষ্টোর-বাটাজোর সড়কের পাশে পাড়াগাঁও লাউতি ব্রীজ সংলগ্ন বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে এ্যাক্সিল্যান্ট টাইলস নামে একটি সিরামিক্স ফ্যাক্টরী। ফ্যাক্টরীটির পূর্ব পাশে লাউতি খাল ও দক্ষিণে সরকারী খাসভূমি, পশ্চিম ও উত্তর পাশে রয়েছে বনবিভাগের বিশাল ভূমি। আর এসব বনভূমি দখলে নিয়ে কোম্পানী কর্তৃপক্ষ স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয় বনবিভাগ তাতে বাঁধা দেয় এবং কোম্পানীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে। স্থাণীয় লোকজন জানান, এক সময় লাউতি খালটিকে বলা হতো লাউতি নদী। আর এই নদী দিয়ে চলতো পালতুলা নৌকা। এমনকি এই নদী বা খাল থেকে মাছ শিকার করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ও বাজারে বিক্রি করে এলাকার শত শত পরিবার তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু বর্তমানে খালটি আস্তে আস্তে ভরাট করে ফেলছে বিভিন্ন কোম্পানীর অসাধূ লোকজন।সম্প্রতি এ্যাক্সিল্যান্ট সিরামিক্স কোম্পানী খালের অংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে মাটি ফেলছে। ফলে যেকোন সময় মাটি ধ্বসে গিয়ে পানি নিষ্কাশন পরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া বিভিন্ন অংশে খালটি দখলে নিয়ে ভরাট করায় খালটি বর্তমানে সরু নালার মতো হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে ফ্যাক্টরীর অ্যাডমিন ম্যানেজার মোক্তার হোসেন জানান, বনবিভাগ বাঁধা দেয়ার কারণে কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। খাল দখলের বিষয়ে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, খালটি তার পূর্বের স্থানেই রয়েছে।সদ্য পদন্নতি পাওয়া সহকারী বনসংরক্ষক ও ভালুকা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন জানান, পাড়াগাঁও মৌজার ২৯০ ও ২২৭ নম্বর দাগে তিন একর বনের জমি দখল করে রেখেছে এ্যাক্সিল্যান্ড সিরামিক্স নামে একটি কোম্পানী এবং স্থাপনা নির্মাণের কাজও শুরু করেছিলো। পরে বনভূমি দখল ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষে কোম্পানীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো বর্তমানে চলমান রয়েছে। তাছাড়া তারা যাতে নামজারি ও জমাখারিজ করতে না পারে, সেজন্য ভূমি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, খাস ভূমি দখলের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।