ময়মনসিংহ ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রেতা শুণ্য গদখালি’র ফুলের বাজার পানির দামে বিক্রি হচ্ছে ফুল। পথে বসেছে শতাধিক ফুল চাষি

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ১০:৩৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ৫৬৭ বার পড়া হয়েছে

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ টানা লকডাঊনে দেশের ফুলের রাজ্যখ্যাত যশোরের গদখালি’র ফুলের বাজার এখন ক্রেতা শুণ্য। বেনাপোল বা সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম কিংবা সিলেটে যায়নি কোন পরিবহন। ফলে অবিক্রিত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে বস্তা বস্তা ফুল। শনিবার ফুল বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে উঠানো হলেও রবিবার মার্কেট বন্ধ থাকবে শুনে শেষ পর্য্যন্ত ঢাকা চট্রগ্রামের পাইকার রা ফুল কিনেনি।ফলে অবিক্রিত থেকে গেছে কয়েক কোটি টাকার ফুল। গদখালির কৃষকদের বুক জুড়ে শুরু হয়েছে কষ্টের মাতম। করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে সরকারের দেয়া সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিনেই চরম ধźস নেমেছে ফুলের বাজারে। বিশেষ করে পরিবহন বন্ধ থাকায় ফুল চাষিরা পড়েছেন মহা বিপাকে। পানির চেয়ে কম দর হেঁকেও খদ্দের পাচ্ছে না ফুল চাষিরা। আজ সকালে গদখালির ফুলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বস্তাা বস্তা গোলাপ বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে সাথে রজনীগন্ধা ও গøাডিওলাস সহ বিভিনś জাতের ফুল। ফুল চাষিদের মধ্যে বিরাজ করছে হাহাকার। রিক্সা ভ্যানে ফেরি করেও বিক্রি হচ্ছে না কোন ফুল।আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ১শ তাজা গোলাপ সাথে ২০/৩০টা রজনীগন্ধার ফ্রি ষ্টিক । তারপরও ক্রেতা নেই। নাভারন,বেনাপোল ঝিকরগাছা বাগআঁচড়া বাজারে ফেরি করেও ক্রেতা পাচ্ছে না ফেরিওয়াল। দোকানপাট বন্ধ থাকায় বাজারে লোকজনের চাপ কম। ফলে ফুলের ক্রেতা নেই বলে জানালেন ফুল বিক্রেতা হাসান। এদিকে গদখালির ফুল বাজারে শনিবারের চিত্র ছিল আরও খারাপ। বিকালের দিকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ১শ গোলাপ। রজনীগন্ধা সহ অন্যান্য ফুলের কোন ক্রেতা ছিল না বাজারে গদখালি গ্রামের ফুলচাষী লিটন জানান, সরকার ৭ দিনের লকডাউন দিয়েছে। এই ৭ দিনে গোলাপের ক্ষেতের অনেক ফুল শুকিয়ে যাবে। লকডাউন যদি কোন কারনে বেড়ে যায় তাহলে চাষিরা মারাতĄক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, এ বছর গ্লাডিওলাস চাষ করা হয়েছে হেক্টর ২৭২ রজনীগন্ধা ১৬৫ এবং গোলাপ ১০৫ হেক্টর গাদা ৫৫ জারবেরা ২২ এবং রথষ্টিক ফুলের চাষ করা হয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে। ২০১৯ সালে গøাডিওলাস বিক্রি হয়েছিল ১১ কোটি ৩৪ লাখ, রজনীগন্ধা ৪ কোটি ৯৬ লাখ এবং গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি টাকার। ফুল চাষীরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋন নিয়ে ফুল চাষ করেছে। ফুলের ন্যায্য দাম না পেলে ব্যাংক ঋন মেটাতে জমি বিক্রি ছাড়া পথ থাকবে না।
গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে চাষিরা এবছর বেশি জমিতে ফুলের চাষ করেছে। আগামী ৭ দিন লকডাউন থাকলে ১ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হবে বলে কৃষিকর্তা জানান।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

ক্রেতা শুণ্য গদখালি’র ফুলের বাজার পানির দামে বিক্রি হচ্ছে ফুল। পথে বসেছে শতাধিক ফুল চাষি

আপলোড সময়: ১০:৩৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১

ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ টানা লকডাঊনে দেশের ফুলের রাজ্যখ্যাত যশোরের গদখালি’র ফুলের বাজার এখন ক্রেতা শুণ্য। বেনাপোল বা সাতক্ষীরা ছেড়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম কিংবা সিলেটে যায়নি কোন পরিবহন। ফলে অবিক্রিত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে আছে বস্তা বস্তা ফুল। শনিবার ফুল বিক্রির জন্য ক্ষেত থেকে উঠানো হলেও রবিবার মার্কেট বন্ধ থাকবে শুনে শেষ পর্য্যন্ত ঢাকা চট্রগ্রামের পাইকার রা ফুল কিনেনি।ফলে অবিক্রিত থেকে গেছে কয়েক কোটি টাকার ফুল। গদখালির কৃষকদের বুক জুড়ে শুরু হয়েছে কষ্টের মাতম। করোনার ভয়াবহতা ঠেকাতে সরকারের দেয়া সাত দিনের লকডাউনের প্রথম দিনেই চরম ধźস নেমেছে ফুলের বাজারে। বিশেষ করে পরিবহন বন্ধ থাকায় ফুল চাষিরা পড়েছেন মহা বিপাকে। পানির চেয়ে কম দর হেঁকেও খদ্দের পাচ্ছে না ফুল চাষিরা। আজ সকালে গদখালির ফুলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বস্তাা বস্তা গোলাপ বিক্রির অপেক্ষায় পড়ে আছে সাথে রজনীগন্ধা ও গøাডিওলাস সহ বিভিনś জাতের ফুল। ফুল চাষিদের মধ্যে বিরাজ করছে হাহাকার। রিক্সা ভ্যানে ফেরি করেও বিক্রি হচ্ছে না কোন ফুল।আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ১শ তাজা গোলাপ সাথে ২০/৩০টা রজনীগন্ধার ফ্রি ষ্টিক । তারপরও ক্রেতা নেই। নাভারন,বেনাপোল ঝিকরগাছা বাগআঁচড়া বাজারে ফেরি করেও ক্রেতা পাচ্ছে না ফেরিওয়াল। দোকানপাট বন্ধ থাকায় বাজারে লোকজনের চাপ কম। ফলে ফুলের ক্রেতা নেই বলে জানালেন ফুল বিক্রেতা হাসান। এদিকে গদখালির ফুল বাজারে শনিবারের চিত্র ছিল আরও খারাপ। বিকালের দিকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ১শ গোলাপ। রজনীগন্ধা সহ অন্যান্য ফুলের কোন ক্রেতা ছিল না বাজারে গদখালি গ্রামের ফুলচাষী লিটন জানান, সরকার ৭ দিনের লকডাউন দিয়েছে। এই ৭ দিনে গোলাপের ক্ষেতের অনেক ফুল শুকিয়ে যাবে। লকডাউন যদি কোন কারনে বেড়ে যায় তাহলে চাষিরা মারাতĄক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, এ বছর গ্লাডিওলাস চাষ করা হয়েছে হেক্টর ২৭২ রজনীগন্ধা ১৬৫ এবং গোলাপ ১০৫ হেক্টর গাদা ৫৫ জারবেরা ২২ এবং রথষ্টিক ফুলের চাষ করা হয়েছে ৫ হেক্টর জমিতে। ২০১৯ সালে গøাডিওলাস বিক্রি হয়েছিল ১১ কোটি ৩৪ লাখ, রজনীগন্ধা ৪ কোটি ৯৬ লাখ এবং গোলাপ ফুল বিক্রি হয়েছিল প্রায় ১২ কোটি টাকার। ফুল চাষীরা ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋন নিয়ে ফুল চাষ করেছে। ফুলের ন্যায্য দাম না পেলে ব্যাংক ঋন মেটাতে জমি বিক্রি ছাড়া পথ থাকবে না।
গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে চাষিরা এবছর বেশি জমিতে ফুলের চাষ করেছে। আগামী ৭ দিন লকডাউন থাকলে ১ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হবে বলে কৃষিকর্তা জানান।