১১টি মটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত-২০
- আপলোড সময়: ০৫:৪৩:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১
- / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আ’লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার রাতে উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের নাগ্রাভাংগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে নাগ্রাভাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগ সমর্থিত (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছোবাহান শরীফ ও বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু হানিফ খানের (আনারস) প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আ’লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছোবাহান শরীফ জানান, শনিবার রাতে নাগ্রাভাংগা গ্রামের নুর মিয়া ফরেষ্টারের বাড়ীতে কর্মী বৈঠক শেষে সমর্থকরা বাড়ী ফিরছিল। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থী আবু হানিফ ও তার সমর্থক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লাভলু তালুকদার পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়লে তার কর্মী জাকির হোসেন (৪০) ও আলমগীর পঞ্চায়েত (৪০) গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থীর হামলায় নৌকার সমর্থক আলামিন (২৩), নুর আলম (২৫), কবির হোসেন (৫০) আহত হয়। এছাড়াও এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক সেন্টু হাওলাদার (৫০), হেলাল (৩০), আবদুল হালিম (৪০), রুম্মান (১৭) গুরুতর আহত হয়। আহতদের ওই রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে আশংকাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ জাকির হোসেন ও আলমগীর পঞ্চায়েত এবং আহত হেলাল, আবদুল হালিমকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী আবু হানিফ খান ও তার সমর্থক যুবলীগ নেতা লাভলু তালুকদারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নাগ্রাভাংগা গ্রামের জসিম খানের বাড়ীতে উঠান-বঠক চলাকালে আ’লীগ প্রার্থীর পুত্র শাহীন শরীফ ও তার দলবলের আমার ছোট ভাই আবু জাফর সহ ১০/১২জন সমর্থককে কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করে। ওই রাতে ছোট ভাই আহত আবু জাফর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে শাহীন ও তার দলবল পুনরায় মারধর করে ব্যাগে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আবু হানিফ আরও জানায়, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের বাঁধার মুখে আহতরা ভান্ডারিয়া ও আমুয়াসহ বিভিনś হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, আগুনে পোড়া ও ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্থ ১১ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।