ময়মনসিংহ ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৯:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকেঃ- প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পুষ্পস্তবক অর্পন, নাটক, আর্ট ক্যাম্প, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দুইদিনব্যাপী নানাবিধ কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ে পালিত হলো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের অনুষ্ঠানে ছিল সুবর্ণজয়ন্তীর ছোঁয়া। দুই দিনব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রথম দিন ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চির উন্নত মম শির ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে সৈয়দ শামসুল হক রচিত নুরলদীনের সারাজীবন নাটকের প্রস্তাবনা অংশ, বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান ও কবিতার সাথে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এরপর জাতীয় কর্মসূচীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাত ৯টায় গোটা ক্যাম্পাসে ১ মিনিটের ব্লাক আউট কর্মসূচী পালন করা হয়। এরপর ২৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে পতাকা উত্তোলন করা হয়, এরপর সেখান থেকে শোভাযাত্রাসহকারে গিয়ে চির উন্নত মম শির ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, আইকিউএসি, অগ্নীবিণা ও দোলনচাপা হল কর্তৃপক্ষ, ডীন, কলা অনুষদ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরিবারবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলসহ অন্যান্যরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনের চত্বর থেকে পায়রা অবমুক্তকরা হয়। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান কর্মসূচীতে উপস্থিত সকলকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ত্রিশলাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই মহান দেশটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে স্বাধীন করেছি। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সেই বায়ান্ন থেকে আজ অবধি আতœত্যাগকারী প্রতিটি মানুষকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।তিনি বলেন, ‘যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমাদের জাতির পিতা থাকবেন। তিনি আমাদের মহানায়ক। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। আজ মুক্ত স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। ’নান্দনিক ও ব্যতিক্রমী কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে নানবিধ কর্মসূচীর আয়োজন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, কলা অনুষদের ডিন ও উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, সদস্য সচিব নীলা সাহা, কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. শাহাবউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস অফিস) প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ চৌধুরী, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল আহ্সান লিমন, বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি ও প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, বঙ্গবন্ধু নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিম আল মামুন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রাজু, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রেজাউল করিম রানা,বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যা সাতটায় অনলাইনে সঙ্গীত বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করা হবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

আপলোড সময়: ০৯:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১

মোহাম্মদ সেলিম,ত্রিশাল থেকেঃ- প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পুষ্পস্তবক অর্পন, নাটক, আর্ট ক্যাম্প, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দুইদিনব্যাপী নানাবিধ কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ে পালিত হলো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তিতে এবারের অনুষ্ঠানে ছিল সুবর্ণজয়ন্তীর ছোঁয়া। দুই দিনব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে প্রথম দিন ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চির উন্নত মম শির ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে সৈয়দ শামসুল হক রচিত নুরলদীনের সারাজীবন নাটকের প্রস্তাবনা অংশ, বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান ও কবিতার সাথে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। এরপর জাতীয় কর্মসূচীর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাত ৯টায় গোটা ক্যাম্পাসে ১ মিনিটের ব্লাক আউট কর্মসূচী পালন করা হয়। এরপর ২৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে পতাকা উত্তোলন করা হয়, এরপর সেখান থেকে শোভাযাত্রাসহকারে গিয়ে চির উন্নত মম শির ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, আইকিউএসি, অগ্নীবিণা ও দোলনচাপা হল কর্তৃপক্ষ, ডীন, কলা অনুষদ, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পরিবারবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলসহ অন্যান্যরা পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সামনের চত্বর থেকে পায়রা অবমুক্তকরা হয়। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান কর্মসূচীতে উপস্থিত সকলকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ত্রিশলাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই মহান দেশটি রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে স্বাধীন করেছি। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সেই বায়ান্ন থেকে আজ অবধি আতœত্যাগকারী প্রতিটি মানুষকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।তিনি বলেন, ‘যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আমাদের জাতির পিতা থাকবেন। তিনি আমাদের মহানায়ক। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। আজ মুক্ত স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। ’নান্দনিক ও ব্যতিক্রমী কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে নানবিধ কর্মসূচীর আয়োজন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, কলা অনুষদের ডিন ও উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, সদস্য সচিব নীলা সাহা, কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. শাহাবউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস অফিস) প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ চৌধুরী, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল আহ্সান লিমন, বঙ্গবন্ধু নীল দলের সভাপতি ও প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, বঙ্গবন্ধু নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিম আল মামুন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রাজু, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রেজাউল করিম রানা,বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যা সাতটায় অনলাইনে সঙ্গীত বিভাগের মুক্তিযুদ্ধের গান পরিবেশন করা হবে।