ময়মনসিংহ ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে বে-সরকারী হাসপাতালে রোগীকে মারধোরের অভিযোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৯:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
  • / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তায় পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে রোগীকে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার বছরের শিশু সন্তান ও স্ত্রীর সামনেই রোগীকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ করে বলেন রোগীর পরিবার । শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আহত রোগী আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার (৩৮) ঝালকাঠি জেলা সদরের রমানাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে। তিনি উপজেলার মীর সিরামিক্স লিমিটেডে কারখানার শ্রমিক।আহতের স্ত্রী রুবিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী কুদ্দুস তালুকদারের বাম পায়ে লোহার কনা ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালের অভ্যর্থনা শাখায় অসুস্থের ধরণ জানিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ নেন।এসময় হাসপাতালের অভ্যর্থনা কর্মীরা পায়ের কণা বের করতে না পারলে ভিজিট ফেরত দেওয়ার শর্তে সাত’শ টাকা ভিজিট নেন। হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে দেখে পায়ের কণা বের করতে বিশেষ যন্ত্র না থাকার কথা জানান। ওই যন্ত্রটি এ হাসপাতালে না থাকায় চিকিৎসক রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরার্মশ দেন। পরে অভ্যর্থনা বুথে রোগী ভিজিট ফেরত চাইলে হাসপাতালের কর্মীরা ভিজিট ফেরত দিবেন না বলে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। ভিজিট দাবী করার এক পর্যায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক তুহিন আহমেদ এসে রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। তার সাথে হাসপাতালের কর্মীরা রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ঠোঁট, মুখসহ শরীরের বিভিনś স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় কানśা শুরু করেন, তাদের কানśাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসলে মারধোর বন্ধ করেন। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন জানান, ৯৯৯ নাইনে ফোন পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। রোগীকে চিকিৎসা শেষ করে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।হাসপাতালের ব্যবস্থাপক অভিযুক্ত তুহিন আহমেদ বলেন, রোগী নিজেও অনেক খারাপ আচরণ করেছেন। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ রোগীর ভিজিট ফেরত না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তাছাড়া রোগীর অসুস্থতার ব্যাপারে চিকিৎসক তাঁর পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বার্তার এক ফাঁকে রোগীর গায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আঘাত লেগে গেছে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

শ্রীপুরে বে-সরকারী হাসপাতালে রোগীকে মারধোরের অভিযোগ

আপলোড সময়: ০৯:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১

টি.আই সানি,নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুরঃ গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তায় পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে রোগীকে মারধোরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার বছরের শিশু সন্তান ও স্ত্রীর সামনেই রোগীকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ করে বলেন রোগীর পরিবার । শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা হেল্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক হাসপাতাল এন্ড ট্রমা সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আহত রোগী আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার (৩৮) ঝালকাঠি জেলা সদরের রমানাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে। তিনি উপজেলার মীর সিরামিক্স লিমিটেডে কারখানার শ্রমিক।আহতের স্ত্রী রুবিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামী কুদ্দুস তালুকদারের বাম পায়ে লোহার কনা ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হাসপাতালের অভ্যর্থনা শাখায় অসুস্থের ধরণ জানিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ নেন।এসময় হাসপাতালের অভ্যর্থনা কর্মীরা পায়ের কণা বের করতে না পারলে ভিজিট ফেরত দেওয়ার শর্তে সাত’শ টাকা ভিজিট নেন। হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে দেখে পায়ের কণা বের করতে বিশেষ যন্ত্র না থাকার কথা জানান। ওই যন্ত্রটি এ হাসপাতালে না থাকায় চিকিৎসক রোগীকে ঢাকায় নেওয়ার পরার্মশ দেন। পরে অভ্যর্থনা বুথে রোগী ভিজিট ফেরত চাইলে হাসপাতালের কর্মীরা ভিজিট ফেরত দিবেন না বলে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। ভিজিট দাবী করার এক পর্যায়ে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক তুহিন আহমেদ এসে রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। তার সাথে হাসপাতালের কর্মীরা রোগীকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ঠোঁট, মুখসহ শরীরের বিভিনś স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় কানśা শুরু করেন, তাদের কানśাকাটি শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসলে মারধোর বন্ধ করেন। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন জানান, ৯৯৯ নাইনে ফোন পেয়ে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। রোগীকে চিকিৎসা শেষ করে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।হাসপাতালের ব্যবস্থাপক অভিযুক্ত তুহিন আহমেদ বলেন, রোগী নিজেও অনেক খারাপ আচরণ করেছেন। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ রোগীর ভিজিট ফেরত না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তাছাড়া রোগীর অসুস্থতার ব্যাপারে চিকিৎসক তাঁর পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বার্তার এক ফাঁকে রোগীর গায়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আঘাত লেগে গেছে।