ময়মনসিংহ ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বইয়ের ধরনঃ উপন্যাস ! লেখকঃ এরশাদ আহমেদ প্রচ্ছদঃ কারুধারা প্রকাশনাঃ নব সাহিত্য প্রকাশনী মূল্যঃ ২৫০ টাকা

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
  • / ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

সাহিত্য প্রতিবেদকঃ প্রেম সেতো রঙে রঙে লাল, বসন্ত সেও লাল যৌবনও লাল, কোকিলের চক্ষু লাল-কণ্ঠও লাল! সুতরাং লালে লালে রঙ মেশানো প্রেম, বসন্ত, যৌবন সবই যে একই সুতায় গাঁথা। ‘মদিরাক্ষী’ এমনই একটি রঙে রঙে লালে লাল বসন্ত মাখা যৌবন প্রেমমধুর উপন্যাস। বসন্তে কি শুধুই ঐ লাল হলুদের ছড়াছড়ি, বসন্তে কি তবে বাহারি অন্য রঙেরা ভাসে না, নীল কিংবা সাদা কিংবা সবুজ, খয়েরী কিংবা বগুনী, মিশ্র রঙেরা কি হাসেনা- ধূসর ধূলি উড়ানো ঝরাপাতারা বসন্ত বনে বনে বসন্তপবনেতে তারা সেতো নিত্য উড়ে, বসন্ত সেতো শুধু লাল হলুদই নয় আরও কত বাহারি বাহারি রং আরও কত শত শত রং বেরঙের রঙ যার শুরু কিংবা শেষ বুঝা বড়ই মুশকিল। বসন্ত সেতো রঙা ঋতুরাজের সহস্র রঙে রাঙানো মুকুট ধূসর, লালচে, কৃষ্ণবরণ কামদেবের সুর ধ্বণি! বসন্ত সেতো সহস্র বিহঙ্গের কাকলি মুখরতায় সুমধুর তান বসুমতী বক্ষে বসন্তবাহারে বসন্ত প্রেমমধু গান আর গান! সহস্র কাটি মধুমক্ষিকার চঞ্চলা গুঞ্জরণা কাল মধু কাল। বসন্ত সেতো ঐ মকরন্দের মাদকতা সুরা নশা অগনিত পুষ্পের অবারিত কুঞ্জের স্বর্গীয় উদ্যান, যখানে রয়েছে হাজারো বিহঙ্গের হাজারো সখ্যতা গীতালি হাজারো রঙের হাজারো ফুলের হাজারে রঙাঢঙা মিতালী! এত শত কত রঙে রাঙানো এই বসন্ত তারপরও তারে শুধুই কেন বলিব সে শুধুই লাল হলুদের বসন্ত! আসলে মধুকাল সে যে প্রেমমধুর মধু মধু রঙে মধুর যৌবনাকাল- আলতা রাঙার রঙে রঙে মাখানো ঐ চপলা ষোড়শী বালার রঙা নৃত্য চরণ যেন মধুছন্দার মধুচক্রে মধুপের মাদকতা! জীর্ন পৃথিবীর রঙ্গীলা সজ্জায় নূতনের আয়োজন। বসন্ত বলতে সে যে নতুনকেই বুঝায় রঙ্গিলাকেই বুঝায় যদিও এখানে রয়েছে সব রঙের উপস্থিতি তারপরেও। বসন্ত এলেই যেমন হাজারো ফুলের মাঝে স্বর্ণ অশোককেই চোখে পড়ে, আর চোখে পড়ে যেমন লাল শিমুল, স্বর্ণ শিমুল, নাগেশ্বর, পলাশ, মহুয়াকে তেমনি চোখে পড়ে সোনালু শাখা রুদ্র পলাশ আর মান্দাটিকে! বসন্ত এলেই যেমন সাজিয়ে উঠে হলুদে হলুদে লালে উদালের বন তেমনি সাজে বাসন্তিকার হলুদ ডালি খানি আর রঙে রঙেতে মাতোয়ারা হলুদ ফাগুণ বৌ- মাধবীলতার রঙে রঙে আভা আর কৃষ্ণচূড়াটা যেন রাঙা বৌ! তারপরেও শুধু এখানেতেই থেমে নেই রঙে আর রঙেতে মাখা এই রঙের পূজার ডালি। হলুদ কিংবা লাল শাড়ীতে মাথার কেশে গাঁদার ফুল চরণ পাতায় যেন আলতা রাঙ্গায় লাল লাল টিপ ঠোঁটে কপালের টোল্- বিহগরাও গায় সে যে কণ্ঠ রাঙা, রাঙা রাঙা ছন্দ রাঙানো তার সুর, যেন বসন্ত এলেই সবখানেতেই এই রঙে রঙেতে মাখা রাঙা আয়োজন কোথাও তার হলুদ রঙ্গা কোথাও বা লাল রঙা আর এত্তসব রং এখানেই যেন তবুও তার লাল হলুদের কদর আর সব রঙের চেয়ে বেশি আর সেজন্যই আমি বসন্তকে বলি লাল হলুদের বসন্তোৎসব। আজ এমনি বসন্তোৎসবে বরাবরের মতই মৌরি সরকার বাল্যসখী সানাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরা কাঁধে করে বর্হিগামী হল। আজ তাদের পড়নে হলুদ রঙা শাড়ী এবং কপালের নির্দিষ্ট অংশটিতেও ফুটে রয়েছে হলুদ রঙা টিপ আর খোঁপার বাঁধনেও গাঁথা রয়েছে গোটাকতক হলুদ রঙা গাঁদাফুল। আজ এই বসন্তে শুধু তারাই হলুদে হলুদে এই হলুদীয় সাজে সাজেনি, সেজেছে তারাও হলুদ রঙ্গা কুমাফুল সেজেছে তারাও উদালবনে, যেমনি সেজেছে আজ সমুদ্রজবারা! যেমনি সেজেছে ঐ হলদি বসন্তরা, তেমনি সেজেছে হলদে প্রভাতিরা তেমনি সেজেছে বাসন্তিকারা- তেমনি সেজেছে স্বর্ণ অশোকেরা যেমনি সেজেছে ফাগুণ বৌ কিংবা যেমনি সেজেছে সোনালু মেয়েরা যেমনি সেজেছে গুলগুলেরা তেমনি সেজেছে শিরীষেরা তেমনি সেজেছে স্বর্ণ চামেলিরা কিংবা যেমনি সেজেছে রঞ্জনারা তেমনি সেজেছে পেল্টফরামেরাও সুতরাং আজ হলুদে হলুদে মিলে যেন এক হলুদিয়া উৎসব যেন রোমাঞ্চকর হলুদিয়া উৎসব। মৌরি সরকার চপলা এক মেয়ে কে না চিনে তারে, আজ এখানে, কাল ওখানে, পরশু সেখানে, রেল ইষ্টেশনে, বট কিংবা অশ্বথতলে কিংবা দূর দিগন্ত মাঠপানে অথবা নির্জনে শুধু নির্জনে- কখনো বা নদীর চরায়, কখনো বা মাঠের খরায়, কখনো বা গহীন বনে, কখনো বা কাঁশবনে, কখনো বা মেঠোপথে, কখনো বা শুকনো তটে। কখনো বা আলগা চুলে, কখনো বা বনোফুলে অর্থাৎ যথাই খুশি তথাই যেন বিহঙ্গের মত উড়িয়ে বেড়ায়। যেন কখনো সে বন্যপরী কখনো আবার মায়ানারী কখনো বা আবার অশরীরি কখনো যেন রহস্যময়ী কখনো যেন দিক বিজয়ী যার বর্ণনা কভু শেষ নেই। কখনো বা লম্বা আঁচল ছেড়ে পথ হেঁটে চলে নিরুদ্দেশের পথে আর এভাবে পথ চলতে চলতে কোন এক দ্বিপ্রহরে বিজন বটবৃক্ষ তলে এসে তার চক্ষুদ্বয়ে দেখা মেলল এক অজানা অচেনা সুদর্শন যুবা পুরুষের। যেন সে রহস্যতীত অালোকিত লৌকিক অলৌকিক মিশ্রাণো প্রেম সিদ্ধ পুরুষ যার নাম অাদিত্য আর ধীরে ধীরে এই অচেনা যুবা পুরুষের সাথে মৌরি সরকারের পরিচয় পর্ব অতঃপর দিনের পর দিন গত হয়ে তা প্রণয়ের রূপ নিল! তারপর বাদবাকি পর্বগুলো বইয়ের ভেতরের পৃষ্ঠাতেই অজানা রয়ে গেল। মৌরি সরকার পারবে কি এই বসন্ত রঙে রঙে মাখামাখি যৌবনে অাদিত্যকে নিয়ে প্রেমের যমুনায় জীবন তরী ভাসায়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছিতে! এর শেষটুকু জানতে চাইলে সংগ্রহ করে নিতে পারেন বসন্ত যৌবন রঙে লালে লাল প্রেম মাতাল উপন্যাস ‘মদিরাক্ষী ‘।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

বইয়ের ধরনঃ উপন্যাস ! লেখকঃ এরশাদ আহমেদ প্রচ্ছদঃ কারুধারা প্রকাশনাঃ নব সাহিত্য প্রকাশনী মূল্যঃ ২৫০ টাকা

আপলোড সময়: ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

সাহিত্য প্রতিবেদকঃ প্রেম সেতো রঙে রঙে লাল, বসন্ত সেও লাল যৌবনও লাল, কোকিলের চক্ষু লাল-কণ্ঠও লাল! সুতরাং লালে লালে রঙ মেশানো প্রেম, বসন্ত, যৌবন সবই যে একই সুতায় গাঁথা। ‘মদিরাক্ষী’ এমনই একটি রঙে রঙে লালে লাল বসন্ত মাখা যৌবন প্রেমমধুর উপন্যাস। বসন্তে কি শুধুই ঐ লাল হলুদের ছড়াছড়ি, বসন্তে কি তবে বাহারি অন্য রঙেরা ভাসে না, নীল কিংবা সাদা কিংবা সবুজ, খয়েরী কিংবা বগুনী, মিশ্র রঙেরা কি হাসেনা- ধূসর ধূলি উড়ানো ঝরাপাতারা বসন্ত বনে বনে বসন্তপবনেতে তারা সেতো নিত্য উড়ে, বসন্ত সেতো শুধু লাল হলুদই নয় আরও কত বাহারি বাহারি রং আরও কত শত শত রং বেরঙের রঙ যার শুরু কিংবা শেষ বুঝা বড়ই মুশকিল। বসন্ত সেতো রঙা ঋতুরাজের সহস্র রঙে রাঙানো মুকুট ধূসর, লালচে, কৃষ্ণবরণ কামদেবের সুর ধ্বণি! বসন্ত সেতো সহস্র বিহঙ্গের কাকলি মুখরতায় সুমধুর তান বসুমতী বক্ষে বসন্তবাহারে বসন্ত প্রেমমধু গান আর গান! সহস্র কাটি মধুমক্ষিকার চঞ্চলা গুঞ্জরণা কাল মধু কাল। বসন্ত সেতো ঐ মকরন্দের মাদকতা সুরা নশা অগনিত পুষ্পের অবারিত কুঞ্জের স্বর্গীয় উদ্যান, যখানে রয়েছে হাজারো বিহঙ্গের হাজারো সখ্যতা গীতালি হাজারো রঙের হাজারো ফুলের হাজারে রঙাঢঙা মিতালী! এত শত কত রঙে রাঙানো এই বসন্ত তারপরও তারে শুধুই কেন বলিব সে শুধুই লাল হলুদের বসন্ত! আসলে মধুকাল সে যে প্রেমমধুর মধু মধু রঙে মধুর যৌবনাকাল- আলতা রাঙার রঙে রঙে মাখানো ঐ চপলা ষোড়শী বালার রঙা নৃত্য চরণ যেন মধুছন্দার মধুচক্রে মধুপের মাদকতা! জীর্ন পৃথিবীর রঙ্গীলা সজ্জায় নূতনের আয়োজন। বসন্ত বলতে সে যে নতুনকেই বুঝায় রঙ্গিলাকেই বুঝায় যদিও এখানে রয়েছে সব রঙের উপস্থিতি তারপরেও। বসন্ত এলেই যেমন হাজারো ফুলের মাঝে স্বর্ণ অশোককেই চোখে পড়ে, আর চোখে পড়ে যেমন লাল শিমুল, স্বর্ণ শিমুল, নাগেশ্বর, পলাশ, মহুয়াকে তেমনি চোখে পড়ে সোনালু শাখা রুদ্র পলাশ আর মান্দাটিকে! বসন্ত এলেই যেমন সাজিয়ে উঠে হলুদে হলুদে লালে উদালের বন তেমনি সাজে বাসন্তিকার হলুদ ডালি খানি আর রঙে রঙেতে মাতোয়ারা হলুদ ফাগুণ বৌ- মাধবীলতার রঙে রঙে আভা আর কৃষ্ণচূড়াটা যেন রাঙা বৌ! তারপরেও শুধু এখানেতেই থেমে নেই রঙে আর রঙেতে মাখা এই রঙের পূজার ডালি। হলুদ কিংবা লাল শাড়ীতে মাথার কেশে গাঁদার ফুল চরণ পাতায় যেন আলতা রাঙ্গায় লাল লাল টিপ ঠোঁটে কপালের টোল্- বিহগরাও গায় সে যে কণ্ঠ রাঙা, রাঙা রাঙা ছন্দ রাঙানো তার সুর, যেন বসন্ত এলেই সবখানেতেই এই রঙে রঙেতে মাখা রাঙা আয়োজন কোথাও তার হলুদ রঙ্গা কোথাও বা লাল রঙা আর এত্তসব রং এখানেই যেন তবুও তার লাল হলুদের কদর আর সব রঙের চেয়ে বেশি আর সেজন্যই আমি বসন্তকে বলি লাল হলুদের বসন্তোৎসব। আজ এমনি বসন্তোৎসবে বরাবরের মতই মৌরি সরকার বাল্যসখী সানাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি ডিএসএলআর (DSLR) ক্যামেরা কাঁধে করে বর্হিগামী হল। আজ তাদের পড়নে হলুদ রঙা শাড়ী এবং কপালের নির্দিষ্ট অংশটিতেও ফুটে রয়েছে হলুদ রঙা টিপ আর খোঁপার বাঁধনেও গাঁথা রয়েছে গোটাকতক হলুদ রঙা গাঁদাফুল। আজ এই বসন্তে শুধু তারাই হলুদে হলুদে এই হলুদীয় সাজে সাজেনি, সেজেছে তারাও হলুদ রঙ্গা কুমাফুল সেজেছে তারাও উদালবনে, যেমনি সেজেছে আজ সমুদ্রজবারা! যেমনি সেজেছে ঐ হলদি বসন্তরা, তেমনি সেজেছে হলদে প্রভাতিরা তেমনি সেজেছে বাসন্তিকারা- তেমনি সেজেছে স্বর্ণ অশোকেরা যেমনি সেজেছে ফাগুণ বৌ কিংবা যেমনি সেজেছে সোনালু মেয়েরা যেমনি সেজেছে গুলগুলেরা তেমনি সেজেছে শিরীষেরা তেমনি সেজেছে স্বর্ণ চামেলিরা কিংবা যেমনি সেজেছে রঞ্জনারা তেমনি সেজেছে পেল্টফরামেরাও সুতরাং আজ হলুদে হলুদে মিলে যেন এক হলুদিয়া উৎসব যেন রোমাঞ্চকর হলুদিয়া উৎসব। মৌরি সরকার চপলা এক মেয়ে কে না চিনে তারে, আজ এখানে, কাল ওখানে, পরশু সেখানে, রেল ইষ্টেশনে, বট কিংবা অশ্বথতলে কিংবা দূর দিগন্ত মাঠপানে অথবা নির্জনে শুধু নির্জনে- কখনো বা নদীর চরায়, কখনো বা মাঠের খরায়, কখনো বা গহীন বনে, কখনো বা কাঁশবনে, কখনো বা মেঠোপথে, কখনো বা শুকনো তটে। কখনো বা আলগা চুলে, কখনো বা বনোফুলে অর্থাৎ যথাই খুশি তথাই যেন বিহঙ্গের মত উড়িয়ে বেড়ায়। যেন কখনো সে বন্যপরী কখনো আবার মায়ানারী কখনো বা আবার অশরীরি কখনো যেন রহস্যময়ী কখনো যেন দিক বিজয়ী যার বর্ণনা কভু শেষ নেই। কখনো বা লম্বা আঁচল ছেড়ে পথ হেঁটে চলে নিরুদ্দেশের পথে আর এভাবে পথ চলতে চলতে কোন এক দ্বিপ্রহরে বিজন বটবৃক্ষ তলে এসে তার চক্ষুদ্বয়ে দেখা মেলল এক অজানা অচেনা সুদর্শন যুবা পুরুষের। যেন সে রহস্যতীত অালোকিত লৌকিক অলৌকিক মিশ্রাণো প্রেম সিদ্ধ পুরুষ যার নাম অাদিত্য আর ধীরে ধীরে এই অচেনা যুবা পুরুষের সাথে মৌরি সরকারের পরিচয় পর্ব অতঃপর দিনের পর দিন গত হয়ে তা প্রণয়ের রূপ নিল! তারপর বাদবাকি পর্বগুলো বইয়ের ভেতরের পৃষ্ঠাতেই অজানা রয়ে গেল। মৌরি সরকার পারবে কি এই বসন্ত রঙে রঙে মাখামাখি যৌবনে অাদিত্যকে নিয়ে প্রেমের যমুনায় জীবন তরী ভাসায়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছিতে! এর শেষটুকু জানতে চাইলে সংগ্রহ করে নিতে পারেন বসন্ত যৌবন রঙে লালে লাল প্রেম মাতাল উপন্যাস ‘মদিরাক্ষী ‘।