মঠবাড়িয়ায় ইজারাদারদের স্বেচ্ছাচারিতায় জিম্মি মাংস ব্যবসায়ীরা
- আপলোড সময়: ০১:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
- / ৩৬৮ বার পড়া হয়েছে
শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার পৌরশহরের মাংস ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ইজারার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পৌরকর পরিশোধ করার পরেও তাদের নিকট থেকে গরু প্রতি ২’শ টাকা নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মঠবাড়িয়ার মাংস ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন হাট থেকে গরু ক্রয় করেন। সরকার অনুমোদিত এসব হাট থেকে গরু কেনার পর ইজারা পরিশোধ করে রশিদ সংগ্রহ করেন। কিন্তু মঠবাড়িয়ায় আসার পর উক্ত বৈধ রশিদের তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো একই গরুর পুনঃরায় ইজারা আদায় করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। রশীদ বিহীন ওই টাকা নিয়মিতভাবে পরিশোধ না করলে ১০/১৫ জন লোক পাঠিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে নির্দিষ্ট স্থানে ডেকে নিয়ে শাসানো হয় বলেও জানান ভুক্তভোগীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঠবাড়িয়া পৌর ইজারা হাটের অধীন মাংস ব্যবসায়ীরা চট খাজনা বাবদ সপ্তাহে ১’শ টাকা, প্রতিটি গরু জবাই বাবদ প্রতিদিন ৫০ টাকা, প্রতি গরু বাবদ পৌরকর ৫০ টাকা নিয়মিতভাবে পরিশোধ করেন ব্যবসায়ীরা। এসব নিয়ম সঠিকভাবে মানা স্বত্তেও ইজারার নামে অতিরিক্ত দু’শ টাকা করে আদায় করাকে মেনে নিতে পারছেন না তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাংস ব্যবসায়ী জানান, সম্প্রতি ফকিরহাটের বেতাগা হাট থেকে ক্রয়কৃত গরুর ইজারা পাশ থাকা সত্বেও মঠবাড়িয়ায় এসে ইজারার নামে আবারও টাকা দিতে হয়। এভাবে সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইজারা কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া পৌর ইজারা হাটের ইজারাদার মজিবুর রহমান সিকদার জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার মধ্যে ক্রয়কৃত পশুর ইজারা পাশ রশিদ দেখালে আমরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করি না। কিন্তু মঠবাড়িয়ার বাহির থেকে ক্রয়কৃত পশুর ইজারা রশিদ দেখালেও আমরা পশুপ্রতি ২০০/২৫০ টাকা আদায় করি। ইজারা পরিশোধের বৈধ রশীদ থাকা স্বত্তেও এ আদায় অনিয়ম কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি মেয়র মহোদয়ের সাথে বসে আলাপ করতে হবে। আমি একা কিছু বলতে পারব না। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, পৌর কর পরিশোধ করার পরেও এটি কিসের টাকা নেওয়া হয় আমার জানা নেই। ইজারা পাশ রশীদ থাকা পশুর পুনরায় ইজারা নেওয়ার বিষয়টি জানতে হবে।