ময়মনসিংহ ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনগণের দোরগোড়ায় ভূমি সেবা পৌঁছে দিতে মঠবাড়িয়ার এসিল্যান্ডের ব্যতিক্রম উদ্যোগ

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০২:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৬৩২ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল ভূমি সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে মঠবাড়িয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। তিনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৩দিন করে ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলার আয়োজন করেছেন। এ ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার মেলায় সাধারণ মানুষের যেমনি সময়ের অপচয় ও ভোগান্তি কমবে তেমনি করে আর্থিক খরচও বাঁচবে। মেলায় সেবার মধ্যে থাকছে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) গ্রহন, নতুন ভিটি ও মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন গ্রহন, ভিটি ও ভিপি লীজ নবায়ন। এছাড়া ই-নামজারীর আবেদন গ্রহণ, খতিয়ান চূড়ান্তকরণ, ডি,সি,আর প্রদান ও ভূমি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রদান। বুধবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড উপজেলার তুষাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলার উদ্বোধন করেন।

এসময় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলায় আগত জনগণকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো শেখ জামজেদ হোসেন, নাজির সুমন কৃষ্ণ বড়াল, সার্ভেয়ার আসাদুল্লাহ ও তুষখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমানসহ ভূমি অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার মেলায় জমির মালিকগণ তাদের কাঙ্খিত সেবা পেতে ভির জমাচ্ছেন। তুষাখালী গ্রামের ৮২ বছর বয়সী সুধীর দেবনাথ জানান, নবায়নের জন্য প্রতি বছর ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে নবায়ন করতে হতো। এতে অনেক সময় ও অর্থের অপচয় হতো। কিন্তু এ বছর বাড়ির কাছে বসে মাত্র একঘন্টায় সে কাজ হয়েছে। সুধীর দেবনাথ আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমার ৮২ বছর বয়সে এমন সেবা কখনও পাইনি।
বুড়িরচর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আসাদ তালুকদার (৫৮) জানান, ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলার মাধ্যমে আমরা যে সেবাটা পেয়েছি তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। উপজেলা সহকারী কমিশানার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড জানান, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী যে কাজ ২৮ দিনে করে দেয়ার বিধি বিধান আছে তা আমার ভ্রাম্যমান ডিজিটাল ভূমি সেবার মাধ্যমে একদিনেই করে দিচ্ছি। এতে করে জনগণের দুর্ভোগ লাগব হবে এবং সময় ও অর্থ দু’টোই বাঁচবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

জনগণের দোরগোড়ায় ভূমি সেবা পৌঁছে দিতে মঠবাড়িয়ার এসিল্যান্ডের ব্যতিক্রম উদ্যোগ

আপলোড সময়: ০২:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল ভূমি সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে মঠবাড়িয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড এক ব্যতিক্রম উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। তিনি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৩দিন করে ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলার আয়োজন করেছেন। এ ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার মেলায় সাধারণ মানুষের যেমনি সময়ের অপচয় ও ভোগান্তি কমবে তেমনি করে আর্থিক খরচও বাঁচবে। মেলায় সেবার মধ্যে থাকছে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) গ্রহন, নতুন ভিটি ও মালিকানা পরিবর্তনের আবেদন গ্রহন, ভিটি ও ভিপি লীজ নবায়ন। এছাড়া ই-নামজারীর আবেদন গ্রহণ, খতিয়ান চূড়ান্তকরণ, ডি,সি,আর প্রদান ও ভূমি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রদান। বুধবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড উপজেলার তুষাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলার উদ্বোধন করেন।

এসময় ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলায় আগত জনগণকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো শেখ জামজেদ হোসেন, নাজির সুমন কৃষ্ণ বড়াল, সার্ভেয়ার আসাদুল্লাহ ও তুষখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ খলিলুর রহমানসহ ভূমি অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভ্রাম্যমান ভূমি সেবার মেলায় জমির মালিকগণ তাদের কাঙ্খিত সেবা পেতে ভির জমাচ্ছেন। তুষাখালী গ্রামের ৮২ বছর বয়সী সুধীর দেবনাথ জানান, নবায়নের জন্য প্রতি বছর ১০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে নবায়ন করতে হতো। এতে অনেক সময় ও অর্থের অপচয় হতো। কিন্তু এ বছর বাড়ির কাছে বসে মাত্র একঘন্টায় সে কাজ হয়েছে। সুধীর দেবনাথ আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমার ৮২ বছর বয়সে এমন সেবা কখনও পাইনি।
বুড়িরচর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আসাদ তালুকদার (৫৮) জানান, ভ্রাম্যমান ভূমি সেবা মেলার মাধ্যমে আমরা যে সেবাটা পেয়েছি তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। উপজেলা সহকারী কমিশানার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড জানান, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী যে কাজ ২৮ দিনে করে দেয়ার বিধি বিধান আছে তা আমার ভ্রাম্যমান ডিজিটাল ভূমি সেবার মাধ্যমে একদিনেই করে দিচ্ছি। এতে করে জনগণের দুর্ভোগ লাগব হবে এবং সময় ও অর্থ দু’টোই বাঁচবে।