ময়মনসিংহ ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ পন্ড

দৈনিক মুক্তকণ্ঠ
  • আপলোড সময়: ০৯:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ড স্থানীয় নুরুন আলা নুর দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মিরুখালী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন দেন। জানাগেছে, উপজেলার মিরুখালী গ্রামের মজিবুর রহমান গাজীর পুত্র ও মিরুখালী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমন গাজীর সাথে মাদ্রাসা পড়–য়া দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ড, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার, মঠবাড়িয়া থানার এস আই শাহনাজ পরভীন ও সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ ওই ছাত্রীর বাড়িতে গেলে বর যাত্রি পালিয়ে যায়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মেয়ের মা তাছলিমা বেগম ও ছেলের বোন পাপিয়া বেগমকে দুই হাজার টাকা করে মোট চার হাজার টাকা জড়িমানা করেন এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়েকে বিবাহ না দেয়ার শর্তে মুচলেকা দেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সব সময় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ পন্ড

আপলোড সময়: ০৯:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শাকিল আহমেদ,মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দশম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ড স্থানীয় নুরুন আলা নুর দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মিরুখালী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন দেন। জানাগেছে, উপজেলার মিরুখালী গ্রামের মজিবুর রহমান গাজীর পুত্র ও মিরুখালী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমন গাজীর সাথে মাদ্রাসা পড়–য়া দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকাশ কুমার কুন্ড, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনিকা আক্তার, মঠবাড়িয়া থানার এস আই শাহনাজ পরভীন ও সাংবাদিক ইসরাত জাহান মমতাজ ওই ছাত্রীর বাড়িতে গেলে বর যাত্রি পালিয়ে যায়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মেয়ের মা তাছলিমা বেগম ও ছেলের বোন পাপিয়া বেগমকে দুই হাজার টাকা করে মোট চার হাজার টাকা জড়িমানা করেন এবং ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়েকে বিবাহ না দেয়ার শর্তে মুচলেকা দেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকাশ কুমার কুন্ড বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সব সময় অভিযান অব্যাহত থাকবে।