কাস্টমসের বিতর্কিত সিন্ধান্ত বেনাপোল বন্দর ছেড়ে চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা
- আপলোড সময়: ০১:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
- / ৪১১ বার পড়া হয়েছে
ফারুক হাসান,বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল কাস্টমসের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারনে ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে মুখ সরিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেনাপোল বন্দরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড ৩১ এর কাঁচামালের মাঠ হিসাবে পরিচিত। ভারত থেকে আমদানিকৃত ফল, পিয়াজ,চাল,মাছ সহ অন্যান্য পচনশীল পণ্য এই ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে খালাশ হয়ে থাকে।সম্প্রতি বেনাপোল কাস্টমস ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে (টিটিআই মাঠ) এসমস্ত পচনশীল পন্য স্থানান্তর এর জন্য বেনাপোল স্থল বন্দরকে চিঠি দিয়েছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন টিটিআই মাঠে খোলা আকাশের নীচে রেখে ওই সব পচনশীল পণ্য খালাস করতে হবে। অপরদিকে ৩১ নং শেডে রাখা হবে টাটা হিরো হোন্ডা, ইয়ামাহ, টিভিএস ও রানার মোটর পার্টস ও রিকন্ডিশন মোটর পার্টস। আর রোদ বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হবে যে সব পণ্য সেসব পণ্য রাখা হবে ওই টিটিআই খোলা মাঠে। এমন সিদ্ধান্তকে হঠকারি সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা। সেই সাথে শ্রমিকরাও ওই শেডে পণ্য খালাস করবে না বলেও প্রতিবাদ করেছে। বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারি আমদানি কারক রয়েল এন্টারপ্রাইজ এর সত্বাধিকারী এনায়েত আলী বাবু বলেন, ভারত থেকে পচনশীল এবং কাঁচাপণ্য রাখার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিত ভাবে তৈরী করেছে ৩১ নং শেড। যেখানে রোদ বৃষ্টিতে এসব আমদানি পন্যর গাড়ি শেডের নীচে রাখা হয়। অপরদিকে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল মাঠে ওইসব পণ্য রাখা যাবে না। কারন ওই মাঠে কোন শেড নির্মান হয়নি। আমদানি পণ্য রাখতে হবে খোলা আকাশের নীচে। এতে পন্যের গুনগত মান যে নষ্ট হবে তেমনি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্যবসায়ীরা।এর ফলে বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা অন্য বন্দরে চলে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছে।ব্যবসায়ীরা বন্দর ছেড়ে চলে গেলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে।তিনি কাস্টমসের প্রতি আহবান জানান বিতর্কিত সিন্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য। বেনাপোল ৯২৫ এর হ্যান্ডলিং শ্রমকি ইউনিয়ান এর নেতা আব্দুল আলীম বলেন, কাঁচা মালের খালাস এর জন্য মাঠ পরিবর্তন এটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। শ্রমিকরা ওই মাঠে যেয়ে পণ্য খালাস করতে পারবে না। সেখানে খোলা আকাশের নীচে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে পণ্য খালাস করতে হবে। তাছাড়া সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার নেই। শ্রমিকদের জন্য সুপেয় পানি, বাথরুম এর ব্যবস্থা না থাকায় কি ভাবে কাজ করবে। বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, পণ্য কোথায় রাখতে হবে তার একটি আইন আছে বন্দরের। আর এ সিদ্ধান্ত বন্দর কর্তৃপক্ষ নিবে। যে মোটর সাইকেল এর কথা বলে শেড পরিবর্তন করতে চাচ্ছে তার জন্য আলাদা শেড নির্মান করা যেতে পারে। এ সিদ্ধান্ত যদি অটল থাকে তবে সরকার যেমন রাজস্ব হারাবে তেমনি ব্যবসায়ীরাও অন্য বন্দরে চলে যাবে।